বাংলাদেশ: ২০৪/১০
পাকিস্তান: ২০৫/৩
অবশেষে ভাই বাংলাদেশকে হারিয়ে স্বস্তির জয়ে ফিরল পাকিস্তান। শুরুর দিকে জোড়া জয়ের পর টানা চার হারে সেমিফাইনালে দৌড় থেকে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান। সেই হারের ধাক্কা ঘুচল কলকাতায় এসে। বাংলাদেশকে হারিয়ে ফের জয়ের সরণিতে ফিরল পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেই শোচনীয় ব্যাটিং বিপর্যয়ের ধাক্কা এদিনও বহাল রাখল। প্ৰথমে ব্যাটিং করে ২০৪-এই অলআউট হয়ে গিয়েছিল টাইগার বাহিনী। জবাবে সেই রান পাকিস্তান চেজ করল প্রায় ১৮ ওভার এবং ৭ উইকেট নিয়ে।
বিশাল ব্যবধানে জিতে নেট রানরেট-ও পাকিস্তান বাড়িয়ে রাখল বাংলাদশের বিপক্ষে। পাক বোলাররা এদিন স্বমহিমায়। বল হাতে শাহিন আফ্রিদি নিজের চেনা ছন্দে নতুন বলে উইকেট নিলেন। হ্যারিস রউফও ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। বাংলাদেশ ইনিংসের লেজ ছোট করলেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। শেষদিকে তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস তিনি বেঁধে দিয়েছিলেন মাত্র ২০৪ রানে।
অফ ফর্মে থাকা ইমাম-উল হককে বসিয়ে পাকিস্তান খেলিয়ে দিল ফখর জামানকে। যাঁকে প্ৰথম ম্যাচের পরেই বাদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি রান চেজ করতে নেমে কামব্যাক করলেন ৮১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে। অন্য ওপেনার আব্দুল্লা শফিক ৬৮ করেন। ওপেনিং জুটিতেই ১২৪ উঠে যাওয়ার পর পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। দুই ওপেনার এবং ক্যাপ্টেন বাবর আজম আউট হয়ে গেলেও ইফতিকার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচ ফিনিশিং করে যান মহম্মদ রিজওয়ান।
টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদি নিজের প্ৰথম ওভারেই একশোতম ওয়ানডে উইকেট শিকার করে যান। তানজিদ হাসানকে লেগ বিফোর করেন তিনি। তিনে নামা নাজমুল শান্তকেও ফিরিয়ে দেন তিনি তৃতীয় ওভারে। হ্যারিস রউফ অন্যপ্রান্তে শিকার করেন মুশফিকুর রহিমকে।
৬ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ শুরুতেই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। ২৩/৩ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংসে কিছুটা স্থিরতা আসে লিটন দাস এবং মাহমুদউল্লাহের ৭৯ রানের পার্টনারশিপে।
তবে লিটন দাস ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েও ইফতিকার আহমেদের বলে কার্যত উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন।
হঠাৎ করেই ফের একটা স্পেলে বাংলাদেশ ইনিংসের ধস নামে। ১০২/৩ থেকে হঠাৎ ১৪০/৬ হয়ে যায় লিটন, মাহমুদুল্লাহ এবং তৌহিদ হৃদয় আউট হয়ে যাওয়ায়।
এরপরে সাকিব-মিরাজ ভালো খেলছিলেন। দুজনে ভরসা জাগানোর মত পার্টনারশিপ করছিলেন। ৪৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে আড়াইশোর বেশি রানের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন দুজনে। তবে হ্যারিস রউফ শর্ট বলের ফাঁদে ফেলে ক্যাপ্টেন সাকিবকে ফেরাতেই কেল্লাফতে। শেষ ৪ উইকেট পাকিস্তান হারায় স্কোরবোর্ডে ১৯ রান যোগ করার ফাঁকে।