এরপরে সময় যত গড়িয়েছে ততই অজি ব্যাটিংয়ের হাড়-কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছিল। ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর অজি ব্যাটিং পুরোটাই দাঁড়িয়েছিল মার্নাস লাবুশেনের অভিজ্ঞতার ওপর। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি রান আউট হয়ে যান। অজি লোয়ার অর্ডারে ধস নামান রশিদ খান। সেখান থেকেই অজিদের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৯১/৭-এ। প্রায় ২০০ রান তখনও বাকি ছিল। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার বলতে ছিলেন কেবল ম্যাক্সওয়েল। তিনিই সেই রান চেজ করে দেখিয়ে দিলেন। ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে। যিনি অন্যপ্রান্তে ৬৮ বল ফেস করলেন। কোনওরকমে পার্টনারশিপ টিকিয়ে রাখার তাগিদে করলেন ১২রান। অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপে দুজনে যোগ করলেন ২০২ রান। যার পুরোটাই এল ম্যাক্সওয়েলের বল্লা থেকে।
তার আগে আফগানিস্তান প্ৰথমে ব্যাট করে বড়সড় স্কোর করে ইব্রাহিম জাদরানের শতরানে ভর করে। ইনিংসে ওপেন করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার-ই অপরাজিত থাকেন জাদরান। ১৪৩ বলে ১২৯ করার পথে তিনিই বিশ্বকাপে প্রথম আফগান ব্যাটার হিসাবে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব অর্জন করেন। শেষদিকে ঝড় ওঠে রশিদ খানের ব্যাটে। ১৮ বলে ৩৫ করে দলকে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি পৌঁছে দেন।
টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। রহমনুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান দলকে ভালো সূচনা উপহার দিয়েছিলেন। গুরবাজ হ্যাজেলউডের শিকার হওয়ার আগে ২৫ বলে ২১ করে যান। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৩৮ রান। রহমত শাহের (৩০) সঙ্গে দ্বিতীয় জুটিতে ইব্রাহিম ৮৩ রান যোগ করেন। এই জুটিতে ভাঙন ধরান ম্যাক্সওয়েল। অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ শাহিদিও (২৬) বেশিদূর খেলতে পারেননি। তবে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে সাহায্য করে যান। নবি এবং ওমরজাইকে (২২) ডেথ ওভারে ফিরিয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল, হ্যাজেলউড।
শেষদিকে, রশিদ খান এবং ইব্রাহিম জাদরান রান তোলার গতি বাড়ান। গোটা ইনিংস জুড়েই মন্থর খেলছিলেন শতরানকারী ইব্রাহিম। তবে শেষদিকে মারণ মূর্তি ধরেন তিনি। রশিদ খানের সঙ্গে শেষ পাঁচ ওভারে ৫৮ রান যোগ করেন তিনি। সবমিলিয়ে নিজের ইনিংসে ৮টা বাউন্ডারির পাশাপাশি তিনটে ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। রশিদ খান প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ঝড় তোলেন। হাঁকান দুটো বাউন্ডারি, তিনটে বিশাল ছক্কা।