বলা হয়েছিল মাত্র এক ম্যাচের জন্য হার্দিক পান্ডিয়ার সার্ভিস পাবে না টিম ইন্ডিয়া। তবে নতুন আপডেট, আরও অন্তত দুটো ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়াকে ছাড়াই নামতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। লখনৌয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচে খেলতে পারবেন না তারকা অলরাউন্ডার।
নভেম্বরের ৫ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইডেনে খেলবে ভারত। গ্রুপের শেষ ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচে হার্দিককে পাওয়া যাবে, এমনটা ধরে নিয়েই এগোচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।
গত সপ্তাহে পুনেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিং করার সময় গোড়ালি মচকে যায় হার্দিকের। লিটন দাসের ড্রাইভ আটকাতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পা মচকে পড়ে যান তিনি। এরপরে উঠে দাঁড়ালেও দৃশ্যতই অস্বস্তিতে ছিলেন তিনি। সঙ্গেসঙ্গে টিমের ফিজিও ছুটে আসেন। কপালে উদ্বেগের ভাঁজ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনা সারতে দেখা যায় রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিকে। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হয় হার্দিককে। ম্যাচ সেই সময় পাঁচ মিনিট বন্ধ রাখতে হয়।
ম্যাচ শেষে দ্রুত তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এনসিএ-তে। ইংল্যান্ড থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রয়োজনে ইঞ্জেকশন-ও দেওয়া হতে পারে তাঁকে। আপাতত তিনি রিকভারি সারছেন বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে। দলের মেডিক্যাল টিম চাইছে এনসিএ-তে আরও কয়েকদিন থেকে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠুন তারকা। জাতীয় দলের সঙ্গে তিনি মুম্বই অথবা কলকাতায় যোগ দিতে পারেন।
তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না টিম ম্যানেজমেন্টও। পুরোপুরি ফিট হয়েই তিনি গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে খেলুক চাইছে দল। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে কার্যত পৌঁছেই গিয়েছে ভারত। সেমিফাইনালে একদম তরতাজা হার্দিককে প্রয়োজন হবে। সেইজন্যই গ্রুপের জন্য বেশি ভাবা হচ্ছে না তারকাকে।
অক্টোবরের ২২ তারিখে হার্দিক ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেননি হার্দিক। তিনি চোট পাওয়ার পর বোর্ড সচিব জয় শাহ বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার মাঠে বল করার সময় গোড়ালিতে চোট পান হার্দিক। তাঁকে স্ক্যান করার পরে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে থাকবেন তিনি।
দলের এমনিতে অপরিহার্য অংশ। কুইক ফাস্ট বল, বাউন্সারে ব্যাটারকে চমকে দেওয়া হোক বা স্লোয়ারে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করা- বোলার হার্দিকের তুনে রয়েছে সমস্ত উপকরণই। লোয়ার অর্ডারে পাওয়ার হিটিংয়ে বোলারদের কাছে আবার সাক্ষাৎ ত্রাস তিনি।
হার্দিকের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত নিজেদের কম্বিনেশনে রদবদল ঘটাতে বাধ্য হয়েছিল। শার্দূল ঠাকুরকে বসিয়ে মহম্মদ শামি এবং হার্দিকের জায়গায় সূর্যকুমার যাদব ছিলেন প্ৰথম এগারোয়। হাতে মাত্র পাঁচ বোলার নিয়ে নেমেছিল ভারত। অর্থাৎ কোনও কারণে কোনও বোলার ফর্ম হারালেও অন্য কোনও বোলারের শরনাপন্ন হওয়ার সুযোগ ছিল না ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার কাছে।
সেই পাঁচ বোলারেই বাজিমাত করে ভারত। মহম্মদ শামি চলতি বিশ্বকাপে প্ৰথম ম্যাচ খেলতে নেমেই পাঁচ উইকেট শিকার করে যান। সেই কম্বিনেশনই আপাতত ধরে রাখা হবে ইংল্যান্ড ম্যাচে।