ভারতের কাছে শোচনীয় হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে দেখা গিয়েছিল কোহলির সই সম্বলিত জার্সি সংগ্রহ করতে। শনিবার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এমন কাণ্ড দেখেই গর্জে উঠলেন ওয়াসিম আক্রম।
কোহলি এবং বাবর বরাবর একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর আগেও একাধিকবার দুই দল মুখোমুখি হলেও বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধায় ঘাটতি হয়নি ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন! দেশের জন্য দুই তারকা একে অন্যের প্রতি অবদানকে যথেষ্ট সম্ভ্রমের চোখে দেখেন। শনিবার-ও সেই ঘটনায় ব্যতয় হয়নি। বাবর আজম বিরাট কোহলির অটোগ্রাফ সম্বলিত জার্সি ম্যাচের শেষে নেন।
এতেই পাক ক্যাপ্টেনকে একহাত নিয়েছেন ওয়াসিম আক্রম। সরাসরি সমালোচনায় ভাসিয়ে দিয়েছেন বাবরকে। পাক কিংবদন্তি পেসার ক্রিকেট পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছেন, "মাঠে বাবরের উচিত হয়নি কোহলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার। কোহলির সঙ্গে প্রকাশ্যে সাক্ষাৎ করার পরিস্থিতি ছিল না। বাবরের উচিত ছিল একান্তে কোহলির জার্সি সংগ্রহ করা।"
ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে আক্রম আরও বলেন, "যদি চাচার ছেলে কোহলির জার্সির জন্য আবদার করে থাকে, তাহলে ম্যাচের শেষে ড্রেসিংরুমে গিয়ে চেয়ে নাও।"
শনিবার ভাবা হয়েছিল ভারতকে যথেষ্ট বেগ দেবে পাকিস্তান। কানায় কানায় পূর্ণ স্টেডিয়ামে লড়াই অবশ্য হল একদমই একপেশে। কোনও বিভাগেই ভারতকে টক্কর দিতে পারেনি পাকিস্তান। রোহিতরা ৭ উইকেটে ধ্বংস করে দেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের।
১৯২ রানের সামান্য টার্গেট চেজ করে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ঝড় তোলেন ব্যাট হাতে। ৬৩ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে পাক বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে যান হিটম্যান। সন্ধ্যার সময় স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটান মহাতারকা। হ্যারিস রউফ, শাহিন আফ্রিদিকে মাঠের বাইরে ফেলতে ফেলতে ক্লান্তও হয়ে যান রোহিত। ১৯.৩ ওভার বাকি থাকতেই ভারত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হাতে ৭ উইকেট নিয়ে। পুরো একশো ওভারের ম্যাচে সাকুল্যে খেলা হল মাত্র সাড়ে ৭৩ ওভার। রাত আটটাতেই ভারত রান চেজ করে ফেলে।
১৯৯২ থেকে বিশ্বকাপে ভারতকে কখনই বিশ্বকাপের মঞ্চে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সেই রেকর্ড মোদি স্টেডিয়ামেও অক্ষুণ্ন থাকল। আপাতত স্কোরলাইন দাঁড়াল ৮-০।
বল হাতে ভারতের দুই সিমার মহম্মদ সিরাজ এবং জসপ্রীত বুমরা ছিঁড়ে ফেলেন পাক ব্যাটিং লাইনআপকে। যোগ্য সহায়তা করেন দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ভাল বোলিং করেন হার্দিক পান্ডিয়াও। সবমিলিয়ে দলগত নিখুঁত ক্রিকেট খেলে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় ভারত।