নিজের গুরু শচীনের রেকর্ড পেরিয়ে রেকর্ডের মহাশৃঙ্গে উঠে পড়লেন বিরাট কোহলি। বিশ্বক্রিকেটের ইতিহাসে প্ৰথম তারকা হিসাবে ওয়ানডেতে ৫০টি শতরানের কীর্তি গড়লেন। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই এল কোহলির এই মাইলস্টোন সেঞ্চুরি। স্রেফ শচীনকে পেরোনোই নয়, একদিনের ক্রিকেটে প্ৰথম ব্যাটার হিসেবে ৫০ সেঞ্চুরির কীর্তি এল বিরাটের ব্যাটে।
চলতি বিশ্বকাপে এই নিয়ে তৃতীয় শতরানে পৌঁছলেন কোহলি। এর আগে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে শতরান করেছিলেন তিনি। বুধবার প্ৰথমবার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে শতরান করলেন তিনি। সেঞ্চুরি এল ১০৬ বলে।
আর সেঞ্চুরির ব্যাটন শচীনের হাতছাড়া হওয়ার পর মায়েস্ত্র নিজে স্বয়ং টুইটারে কোহলিকে বার্তা পাঠালেন। "প্ৰথমবার যখন তোমাকে ভারতের ড্রেসিংরুমে দেখি, তোমাকে নিয়ে সবাই মজা করছিল আমার পা ছোঁয়ার জন্য। সেদিন হাসি থামাতে পারিনি। তবে শীঘ্রই তুমি আমার হৃদয় ছুঁয়ে নিয়েছিল প্যাশন এবং স্কিলের মাধ্যমে। সেই তরুণ এরকম 'বিরাট' ক্রিকেটার হয়ে ওঠায় আমি সত্যি আনন্দিত। একজন ভারতীয় আমার রেকর্ড ভাঙছে, এর থেকে বেশি খুশির আর কী হতে পারে। তাও আবার ওয়ার্ল্ড কাপের সেমিফাইনালের মত বড়সড় মঞ্চে, আমার হোম গ্রাউন্ডে। অনেকটা সোনায় সোহাগা র মত ব্যাপার।" লিখেছেন শচীন।
নকআউট পর্বে প্ৰথমবার সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি কোহলি শচীনের একটি বিশ্বকাপের সংস্করণে ৬৭৩ রানের রেকর্ডও ভেঙে দেন। কোহলির ঐতিহাসিক শতরান এবং শ্রেয়স আইয়ারের দুর্ধর্ষ শতরানে ভর করে ভারত কিউইদের কাছে ৩৯৮ রানের টার্গেট খাড়া করেছে।
আরও পড়ুন- IND vs NZ Semi Final Live: শামির বলে বেলাইন নিউজিল্যান্ড! জোড়া ওপেনার শিকার করলেন তারকা
টসে জিতে রোহিত ব্যাটিং নেন। উড়ন্ত সূচনা করে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। যথারীতি। ২৯ বলে ৪৭ রানের ঝড় তোলা ইনিংসের পর রোহিত ফিরে যান। রোহিত আউট হওয়ার পর গিয়ার বদলান শুভমান গিল। ৪১ বলে ফিফটি পূরণ করে যান তিনি। নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। তবে মুম্বইয়ের কুখ্যাত ডিহাইড্রেশনের শিকার হন। পায়ে ক্র্যাম্প লাগায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ৭৯ রানে ফিরতে হয় তাঁকে।
গিল রিটায়ার্ড হার্ট হলেও রান তোলার গতিতে ভাঁটা পারেনি। শ্রেয়স আইয়ার কিউই বোলারদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ খাড়া করেন। আক্রমণাত্মক ইনিংসে শ্রেয়সও কোহলির সঙ্গে ঝোড়ো পার্টনারশিপ গড়ে যান। কোহলির সঙ্গে তালমিলিয়ে সেঞ্চুরি করে যান তিনিও। শেষদিকে কেএল রাহুল ২০ বলে ৩৯ করে দলকে ৩৯৭ রানের পাহাড়ে চাপিয়ে দেন। গিল পরে ক্রিজে নামেন। ৮০ রানে অপরাজিতও থাকেন।