ঠিক একমাস আগে ভারত খেলতে নেমেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ঝড় তুলে সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত শর্মা। মাত্র ৬৩ বলে এসেছিল শতরান। বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্রুততম ভারতীয় হিসাবে এই রেকর্ডের অধিকারী হয়েছিলেন হিটম্যান। তবে টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন কি তখন জানতেন, এই বিশ্বকাপের মঞ্চেই তাঁর রেকর্ড ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। ক্যাপ্টেনের রেকর্ড ভেঙে দেবেন সহ-অধিনায়ক-ই। সেটাই ঘটল বেঙ্গালুরুতে। রোহিতের ৬৩ বলে সেঞ্চুরির কীর্তি পিছনে সরিয়ে দিল হার্দিক পান্ডিয়ার ৬২ বলে শতরান। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর রাহুল-ই আপাতত বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্রুততম শতরানের মালিক।
রাহুলের সঙ্গেই রবিবার সেঞ্চুরির দেখা পেলেন শ্রেয়স আইয়ার। ৯৪ বলে ১২৮ রানের বিধ্বংসী এল তাঁর ব্যাট থেকেও। জোড়া সেঞ্চুরি এবং তিনটে হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ভারত নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪১০/৪ তুলল।
টসে জিতে ভারত প্ৰথমে ব্যাটিং নিয়েছিল। আর ভারতকে মারকাটারি সূচনা উপহার দেন রোহিত-গিলের ওপেনিং পার্টনারশিপ। মাত্র ১১ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ১০০ তুলে দেন দুজনে। শুভমান গিল ৩৪ বলে ৫১ করে আউট হন। রোহিত ৫৪ বলে ৬১ করেন। বিরাট কোহলি তিন নম্বরে নেমে ৫৬ বলে ৫১ করে যান।
এরপরেই নেদারল্যান্ডসকে আরও ব্যাকফুটে ফেলে দেয় শ্রেয়স আইয়ার-কেএল রাহুলের বিস্ফোরক পার্টনারশিপ। মাত্র ১২৮ বলে ২০৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান দুজনে। আর দুজনের ব্যাট থেকেই বেরোয় শতরান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও দলের শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান-ই ফিফটি বা তার বেশি রান করার নজির গড়লেন একই ম্যাচে।
কেএল রাহুল শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে ১০১ করে আউট হন। বিশ্বকাপে মোটামুটি পারফর্ম করছিলেন রাহুল। তবে সেমিফাইনালে নামার আগে তাঁর শতরান তাঁকে নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে যাবে। ৯ ম্যাচে তাঁর রান দাঁড়াল ৩৪৭।
ইনিংসের বিরতিতে রাহুল বলে গেলেন, "শেষ দুই ম্যাচে ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। এদিন ক্রিজে বেশ কিছু সময় কাটাতে পেরে ভালো লাগছে। ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আত্মবিশ্বাস পাওয়া জরুরি। শেষদিকে ছক্কা হাঁকানোয় আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ল। শেষ ১০ ওভারে রান তোলার গতি বাড়াতেই হত। এটা কোনও রকেট সায়েন্স নয়।"