ভারতীয় পেসারদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান রাজা। বলে দিয়েছিলেন, বলে কারচুপির কারণেই ভারতীয় বোলাররা এত সফল হচ্ছে। সেই হাসান রাজাকেই এবার একহাত নিলেন মহম্মদ শামি।
এবিএন-নিউজে হাসান রাজা বলেছিলেন, "সিরাজ এবং শামি যেভাবে বল সুইং করছে, মনে হচ্ছে, আইসিসি, বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ওঁদের দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য কোনও বল দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। বলে ওপর অতিরিক্ত কোটিং করা হচ্ছে হয়ত যাতে বল বেশি সুইং করে।"
শামি এবার হাসান রাজাকে একহাত নিলেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে। লিখে দিলেন, "একটু লজ্জা থাকুক। ম্যাচেই ফোকাস রয়েছে আমাদের, এরকম ননসেন্সে নয়। কখনও কখনও অন্যের সাফল্যের উপভোগ করতে হয়। এটা ওয়ার্ল্ড কাপ। কোনও স্থানীয় টুর্নামেন্ট না। তুমিও একসময় প্লেয়ার ছিলে, তাই তো? ওয়াসিম (আক্রম) ভাই নিশ্চয় ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিজের প্লেয়ারের ওপরেও ভরসা রয়েছে? স্রেফ নিজেই নিজের গুনগান করে চলেছ তুমি।"
বলে কারচুপির অভিযোগ আনার পর হাসান রাজাকে একহাত নিয়েছিলেন ওয়াসিম আক্রম-ও। এ স্পোর্টস-এ আক্রম খোলামেলা বলে দেন, "গত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে খুব আলোচনা শুনছি। ওঁরা যা নিচ্ছে (নেশার দ্রব্য), সেটা আমারও চাই। মনে হচ্ছে, মজা করে বলেছে। প্লিজ বিশ্বের কাছে আমাদের এভাবে হাস্যম্পদ করো না। এই অপমান নিজের কাছেই রাখো।"
এর আগে ডিআরএস-এও কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। বলে দিয়েছিলেন, " “আজ তো জাদেজাও পাঁচ উইকেট নিয়ে নিল। এক ইনিংসে যা ওঁর কেরিয়ারের সেরা। আমরা প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলছি যেখানে ডিআরএস নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকান আসল ব্যাটার ভ্যান দার ডুসেন। বাঁ হাতি স্পিনারের বল টার্ন নেওয়ার পর যেকোনও জায়গায় যেতে পারে। লেগ স্ট্যাম্পে বল পিচ করার পর সেই বল কীভাবে মিডল স্ট্যাম্পে ধেয়ে আসে? ইমপ্যাক্ট ইন লাইন ছিল। আর বল লেগ স্ট্যাম্পে যাচ্ছিল।”
"আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারত যখন ব্যাটিং করছে তখন রীতিমত ভালো ব্যাটিং করছে। তবে ভারতের বোলিং করার সময়েই বল যেন কথা বলছে। ৭-৮ টা ডিআরএস কল হচ্ছে। সবক’টিই ভারতের পক্ষে যাচ্ছে। যেভাবে শামি-সিরাজ বল সুইং করছে, মনে হচ্ছে আইসিসি-বিসিসিআইয়ের তরফে অন্য বল ভারতকে দেওয়া হচ্ছে। বল নিয়ে বলে হয় তদন্তের প্রয়োজন হয়। বলের ওপর অতিরিক্ত কোটিং দেওয়া হচ্ছে কিনা, দেখতে হবে।”
এই বিষয়ে সকলে। নিজেদের মতামত দিচ্ছে। আমার মতামত খুব স্পষ্ট। এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হোক। ডিআরএস-এ কারচুপি করা হচ্ছে। সেটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এটাই প্ৰথম বিতর্কিত ডিআরএস ছিল না। আগের দুটো-তিনটে রিভিউ দেখো! এরপরে পাকিস্তানের কথা বলব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কতটা ক্লোজ ম্যাচ হল। লাস্ট উইকেটের পার্টনারশিপ হল। আর ওঁরা ক্ষমাও চাইল না। হোম কন্ডিশনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে।”
ভারতের পেস ত্রয়ী বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আট ম্যাচে তিন পেসার ৪১ উইকেট তুলে নিয়েছে। মাত্র চার ম্যাচ খেলেই শামির নামের পাশে ১৬ উইকেট। তিনিই ভারতীয় পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বিশ্বকাপে জাহির খান, জাভাগাল শ্রীনাথকে (৪৪) পেরিয়ে তিনিই আপাতত ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৪৬)।
ভারতের একনম্বর পজিশন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে ভারত খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
সিরাজদের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলেন! সাবান ছাড়াই পাক তারকাকে ধুয়ে দিলেন মহম্মদ শামি
পাক তারকাকে একহাত নিলেন মহম্মদ শামি
Follow Us
ভারতীয় পেসারদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান রাজা। বলে দিয়েছিলেন, বলে কারচুপির কারণেই ভারতীয় বোলাররা এত সফল হচ্ছে। সেই হাসান রাজাকেই এবার একহাত নিলেন মহম্মদ শামি।
এবিএন-নিউজে হাসান রাজা বলেছিলেন, "সিরাজ এবং শামি যেভাবে বল সুইং করছে, মনে হচ্ছে, আইসিসি, বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ওঁদের দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য কোনও বল দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। বলে ওপর অতিরিক্ত কোটিং করা হচ্ছে হয়ত যাতে বল বেশি সুইং করে।"
শামি এবার হাসান রাজাকে একহাত নিলেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে। লিখে দিলেন, "একটু লজ্জা থাকুক। ম্যাচেই ফোকাস রয়েছে আমাদের, এরকম ননসেন্সে নয়। কখনও কখনও অন্যের সাফল্যের উপভোগ করতে হয়। এটা ওয়ার্ল্ড কাপ। কোনও স্থানীয় টুর্নামেন্ট না। তুমিও একসময় প্লেয়ার ছিলে, তাই তো? ওয়াসিম (আক্রম) ভাই নিশ্চয় ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিজের প্লেয়ারের ওপরেও ভরসা রয়েছে? স্রেফ নিজেই নিজের গুনগান করে চলেছ তুমি।"
বলে কারচুপির অভিযোগ আনার পর হাসান রাজাকে একহাত নিয়েছিলেন ওয়াসিম আক্রম-ও। এ স্পোর্টস-এ আক্রম খোলামেলা বলে দেন, "গত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে খুব আলোচনা শুনছি। ওঁরা যা নিচ্ছে (নেশার দ্রব্য), সেটা আমারও চাই। মনে হচ্ছে, মজা করে বলেছে। প্লিজ বিশ্বের কাছে আমাদের এভাবে হাস্যম্পদ করো না। এই অপমান নিজের কাছেই রাখো।"
এর আগে ডিআরএস-এও কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। বলে দিয়েছিলেন, " “আজ তো জাদেজাও পাঁচ উইকেট নিয়ে নিল। এক ইনিংসে যা ওঁর কেরিয়ারের সেরা। আমরা প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলছি যেখানে ডিআরএস নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকান আসল ব্যাটার ভ্যান দার ডুসেন। বাঁ হাতি স্পিনারের বল টার্ন নেওয়ার পর যেকোনও জায়গায় যেতে পারে। লেগ স্ট্যাম্পে বল পিচ করার পর সেই বল কীভাবে মিডল স্ট্যাম্পে ধেয়ে আসে? ইমপ্যাক্ট ইন লাইন ছিল। আর বল লেগ স্ট্যাম্পে যাচ্ছিল।”
"আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারত যখন ব্যাটিং করছে তখন রীতিমত ভালো ব্যাটিং করছে। তবে ভারতের বোলিং করার সময়েই বল যেন কথা বলছে। ৭-৮ টা ডিআরএস কল হচ্ছে। সবক’টিই ভারতের পক্ষে যাচ্ছে। যেভাবে শামি-সিরাজ বল সুইং করছে, মনে হচ্ছে আইসিসি-বিসিসিআইয়ের তরফে অন্য বল ভারতকে দেওয়া হচ্ছে। বল নিয়ে বলে হয় তদন্তের প্রয়োজন হয়। বলের ওপর অতিরিক্ত কোটিং দেওয়া হচ্ছে কিনা, দেখতে হবে।”
এই বিষয়ে সকলে। নিজেদের মতামত দিচ্ছে। আমার মতামত খুব স্পষ্ট। এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হোক। ডিআরএস-এ কারচুপি করা হচ্ছে। সেটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এটাই প্ৰথম বিতর্কিত ডিআরএস ছিল না। আগের দুটো-তিনটে রিভিউ দেখো! এরপরে পাকিস্তানের কথা বলব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কতটা ক্লোজ ম্যাচ হল। লাস্ট উইকেটের পার্টনারশিপ হল। আর ওঁরা ক্ষমাও চাইল না। হোম কন্ডিশনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে।”
ভারতের পেস ত্রয়ী বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আট ম্যাচে তিন পেসার ৪১ উইকেট তুলে নিয়েছে। মাত্র চার ম্যাচ খেলেই শামির নামের পাশে ১৬ উইকেট। তিনিই ভারতীয় পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বিশ্বকাপে জাহির খান, জাভাগাল শ্রীনাথকে (৪৪) পেরিয়ে তিনিই আপাতত ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৪৬)।
ভারতের একনম্বর পজিশন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে ভারত খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।