বিশ্বকাপে ঝড় তুলে দিয়েছেন মহম্মদ শামি। টিম কম্বিনেশনের কারণে প্ৰথম চার ম্যাচেই নামার সুযোগ পাননি। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধর্মশালায় সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই তুফানি গতিতে নাস্তানাবুদ করে চলেছেন মহম্মদ শামি। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেই তাঁর নামের পাশে ২৩ উইকেট।
শামির পারফরম্যান্স কুর্নিশ করছে গোটা বিশ্ব। শেষ ম্যাচে সেমিফাইনালেও দুই দলের ফারাক গড়ে দিয়েছেন স্পিডস্টার। এক ইনিংসে সাত সাতটা উইকেট নিয়ে শামি আপাতত ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতীয়দের মধ্যে সেরা ফিগারের মালিক। বিশ্বকাপে দ্রুততম পঞ্চাশ উইকেট প্রাপক হিসেবেও রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তারকা। জাহির খান, জাভাগাল শ্রীনাথদের সরিয়ে তিনিই আপাতত ওয়ার্ল্ড কাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। চলতি ওয়ার্ল্ড কাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিকে এবার সম্মান জানাল স্বয়ং যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
শামির গ্রামে এবার ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়তে উদ্যোগী হল উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশের সাহসপুরের আমরোহার এলাকার আলিনগরের বাসিন্দা শামি। সেই গ্রামেই এবার মিনি স্টেডিয়াম এবং ওপেন জিম গড়তে উদ্যোগী হল আমরোহা প্রশাসন। সেমিতে শামি কিউইদের উড়িয়ে দেওয়ার পরেই যোগী সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। শুক্রবারেই আমরোহার ডিএম রাজেশ ত্যাগী বিষয়টি কনফার্ম করেছেন।
সংবাদসংস্থাকে রাজেশ ত্যাগী জানিয়েছেন, "মহম্মদ শামির গ্রামে এক স্টেডিয়াম এবং খোলা জিম তৈরির প্রস্তাব এসেছে আমাদের কাছে।" গোটা প্রস্তাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকার সাংসদ রাষ্ট্রীয় লোক দলের জয়ন্ত সিং। তিনি টুইটারে লিখে দিয়েছেন, "এমপি ল্যাড ফান্ডের টাকা থেকে মহম্মদ শামির গ্রামে ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে।"
যাইহোক, শামির উত্তরপ্রদেশের ভূমিপুত্র হলেও ক্রিকেটে পরিচিতি কিম্বা বেড়ে ওঠা পুরোটাই বাংলায়। টাউন ক্লাবের হয়ে খেলতে উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় পাড়ি দিয়েছিলেন স্পিডস্টার। তারপর মোহনবাগানে সই করেন। বাকিটা ইতিহাস। প্ৰথমে বাংলার রঞ্জি দল এবং তারপরেই আইপিএল এবং জাতীয় দল। বাংলার ক্রিকেটারকেই সম্মানিত করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মহম্মদ শামির অবশ্য শেষ চ্যালেঞ্জ রবিবারের ফাইনাল। ২০০৩-এর বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে ফের কি শামির সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করবে ক্যাঙারুরা? অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘন্টার।