ইংল্যান্ড: ৩৩৭/৯
পাকিস্তান: ২৪৪/১০
সেমির আশা টসে হারের সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে নিউজিল্যান্ডকে পয়েন্ট তালিকা ছুঁতে পারল না পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল পাকিস্তান। টসে জিতে ইংল্যান্ড দুর্ধর্ষ ব্যাটিং পারফরম্যান্সের নমুনা তুলে ধরে স্কোরবোর্ডে ৩৩৭ তুলে দিয়েছিল। সেই রান চেজ করতে নেমে পাকিস্তান হোঁচট খেয়ে পড়ল মাত্র ২৪৪ রানে। ৯৩ রানে জিতে ইংল্যান্ড শেষ আটে ফিনিশ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার যোগ্যতাও নিশ্চিত করে নিল সেই সঙ্গে।
বড় রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান প্ৰথম তিন ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছিল। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা ডেভিড উইলি পাক ওপেনারদের ফিরিয়ে দিয়ে শুরুতেই যে ধাক্কা দিয়েছিলেন, তা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।
ক্যাপ্টেন বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। দলকে ভালো পজিশনে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই তারকা। তবে এই জুটিতে ভাঙন ধরান গ্যাস আটকিনসন। এরপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। মহম্মদ রিজওয়ানকে ফেরান মঈন আলি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ২৪৪-এ ধসে গিয়েছে পাক দল। শেষদিকে সালমা আগা একপ্রান্ত আগলে হাফসেঞ্চুরি না করলে আরও বড় ব্যবধানে হার হজম করতে হত পাকিস্তানকে। শাহিন আফ্রিদিও শেষদিকে মরিয়া হয়ে ২৫ না করলে খারাপ অবস্থায় ফিনিশ করত পাকিস্তান।
১৯১/৯ হয়ে গিয়েছিল একসময় পাকিস্তান। তবে শেষ জুটিতে মারমুখি হ্যারিস রউফ এবং মহাম্মফ ওয়াসিমের হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপে হারের ব্যবধান একশোর কমে নেমে আসে। হ্যারিস রউফ কলঙ্কের কীর্তি গড়েছেন বল হাতে। এশিয়ার প্ৰথম বোলার হিসাবে কোনও বিশ্বকাপের এক সংস্করণের ইতিহাসে ৫০০-এর বেশি রান খরচ করেছেন। সেই কলঙ্ক কিছুটা মুছে দিয়ে শেষদিকে ইডেনে উত্তেজনার সঞ্চার করে গেল রউফের ব্যাট। গ্যাস আটকিনসন, উইলিদের বারবার মাঠের বাইরে পাঠালেন। ২৩ বলে ৩৫ করলেন তিনটে করে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে।
তার আগে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল ইংল্যান্ড। আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বেন স্টোকস। পাকিস্তান ম্যাচেও জ্বলে উঠলেন তিনি। শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হওয়ার আগে স্টোকসের ব্যাট থেকে বেরিয়ে এল ঝকঝকে ৭৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। তবে ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় জীবন পেয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার।
বেঁচে যাওয়ার পর জো রুটের সঙ্গে ১৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান তিনি। ওপেনিং জুটিতে জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড মালান ইংল্যান্ডকে দারুণ শুরু উপহার দিয়েছিলেন। দুজনে ৮২ রান তুলে দেন প্রথম উইকেটেই। ১৪তম ওভারে এই জুটিতে ভাঙন ধরান ইফতিকার আহমেদ। মালান ৩১ করে আউট হয়ে গেলেও বেয়ারস্টো হাফসেঞ্চুরি করে যান। হ্যারিস রউফের বলে ফিরতে হয় তাঁকে। জো রুট ৭২ বলে ৬০ করে যান। ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষদিকে জস বাটলার (১৮ বলে ২৭), হ্যারি ব্রুক (১৭ বলে ৩০) ব্যাট হাতে অবদান রাখেন।
পাক বোলারদের মধ্যে সফলতম হ্যারিস রউফ। ৩ উইকেট দখল নেন তিনি। দুটো করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।