আর মাত্র একটা ম্যাচ। বিজয়ীর বরমাল্য পরলেই ইতিহাসে ঢুকে যাবেন চিরস্থায়ীভাবে। বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্যাপ্টেন কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের মত কিংবদন্তিদের ব্র্যাকেটে উঠে যাবেন সরাসরি।
মেগা ফাইনাল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামার সর্বগ্রাসী টেনশন যেন পেড়ে ফেলেছে শান্তশিষ্ট রোহিতকেও। এমনিতে ঠান্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল তিনি। মেজাজ হারানোর চিত্র বিরল। তবে ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালের নামার মঞ্চে গোটা দেশের মত তিনিও আক্রান্ত 'চাপ'-এ।
২৪ ঘন্টা পরেই ফাইনাল। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন চিন্তার ভাঁজ কপালে ফেলে। সমস্ত প্রশ্নের জবাব যথাযথভাবে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়েই উপস্থিত এক সাংবাদিকের ফোন বেজে উঠলে দৃশ্যতই অসন্তোষ প্রকাশ করেন হিটম্যান। জবাব থামিয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে বেশ রূঢ় ভাবেই বলে দেন, "আরে ফোন বন্ধ রাখুন।"
যাইহোক, রোহিত দলের প্ৰথম একাদশ নিয়ে কিছু খোলসা করতে চাননি। বলে দেন, পিচের চরিত্র বোঝার পরেই প্ৰথম একাদশ ঠিক করবেন তিনি। এছাড়াও যা যা বললেন তিনি:
প্ৰথম একাদশ: "আমরা এখনও ঠিক করিনি। পিচ দেখে আগামীকাল ঠিক করা হবে। ১২-১৩ জন নির্ধারিত। দেখতে হবে আমাদের শক্তি কোথায়। আগামীকাল ঠিক করব"
প্রসঙ্গ শামি: ওয়ার্ল্ড কাপে প্ৰথম দিকে বসে থাকতে হয়েছিল ওঁকে। এটা মোটেও সহজ ছিল না। এমনকি সিরাজকেও যথাসম্ভব সাহায্য করে যাচ্ছিল। অনুশীলনে নিজের বোলিং নিয়ে খাটছিল ও। সেই ফলাফল মাঠের পারফরম্যান্স-এ বোঝা যাচ্ছে। দলের অংশ হতে না পারাটা মোটেই সহজ হয়নি ওঁর জন্য। একবার সুযোগ পাওয়ার পর ও পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে।"
রাহুলের ভূমিকা: "ওঁর ভূমিকা বৃহত্তর। আমি যেভাবে ক্রিকেট খেলছি আর ওঁর খেলার ধরণ পুরোপুরি আলাদা। ওঁকে নিজের মত করে খেলার স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। ও জাতীয় দলের জন্য যা করেছে, সেই ভূমিকা অনস্বীকার্য।"
পিচ এবং কন্ডিশন: "পিচে এখনও কিছু ঘাস রয়েছে। ওপর থেকে দেখে শুকনো মনে হচ্ছে। স্লো হবে ট্র্যাক। জানি না আগামীকাল শিশির পড়বে কিনা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ডের আগে অনুশীলনের সময় প্রচুর শিশির ছিল। যদিও ম্যাচের সময় সেভাবে শিশির ছিল না। টস মনে হয়না ফলাফলে কোনও প্রভাব ফেলবে।"