বিশ্বকাপে কোহলির স্বপ্নের ফর্ম অব্যাহত। ইডেনে নিজের ৩৫ তম জন্মদিনে চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শতরান হাঁকিয়ে গেলেন কিং কোহলি। যা ওয়ানডেতে তাঁর ৪৯তম শতরান। একদিনের ক্রিকেটে শতরানের নিরিখে কোহলি ছুঁয়ে ফেললেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকার নামক মহীরুহকেও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা কোহলির ৭৯তম শতরান। ১১৯ বলে ১০ বাউন্ডারির সাহায্যে কোহলি রবিবার নিজের স্বপ্নের শতরান পূর্ণ করেন।
আর নিজের রেকর্ড কোহলি ছুঁতেই প্রতিক্রিয়া জানালেন মাস্টার ব্লাস্টার। টুইটারে লিখে দিলেন, "দারুণ খেলেছ বিরাট। ৪৯ থেকে ৫০তম শতরানে পৌঁছতে আমার ৩৬৫ দিন লেগেছিল। আশা করব, তুমি আগামী কয়েকদিনেই ৪৯ থেকে ৫০তম সেঞ্চুরি করে আমার রেকর্ড ভেঙে দেবে। অভিনন্দন।"
আর নিজের আইকনকে ছুঁতে পেরে আবেগে বিহ্বল হয়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলিও। ইনিংসের মধ্যের বিরতিতে কোহলি বলে দিয়েছেন, "ভারতের হয়ে প্রত্যেকবার খেলার সুযোগ আমার কাছে অনেক বড় অর্জন। আর এমন রেকর্ড (৪৯তম শতরান) তাও আবার জন্মদিনে ইডেন গার্ডেন্সে এত দর্শকের সামনে, অনেকটা স্বপ্নের মত। বাচ্চাবেলায় এগুলোয় চাওয়া ছিল। ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ এরকম মুহূর্তের সাক্ষী থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য। সমর্থকদের কাছ থেকে এত ভালবাসা পাচ্ছি! যেকোনও ভাবে এভাবেই দলকে সাহায্য করা চালিয়ে যেতে চাই।"
চলতি বিশ্বকাপে স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন চেজ মাস্টার। বাংলাদেশের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ভঙ্গিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তবে দু-বার নিশ্চিত সেঞ্চুরির দেখাও পাননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৮ করে ফিরতে হয়েছিল। তবে ইডেন খালি হাতে ফেরায়নি কিংবদন্তিকে।
রবিবার আগুনে মেজাজে শুরু করেছিল টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মা-শুভমান গিলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কোনও উত্তরই খুঁজে পাচ্ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। মাত্র ৪.৩ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৫০ তুলে দেয় ভারত। ওপেনিং পার্টনারশিপের ৬২ রানের মধ্যে ৪০ রান একাই করে যান রোহিত। নিজের আগ্রাসী ইনিংসে রোহিত হাফডজন বাউন্ডারির পাশাপাশি জোড়া ছক্কাও হাঁকিয়ে যান। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা তুমুলভাবে ম্যাচে ফেরে। দুই ওপেনার-ই অল্প রানের ব্যবধানে আউট হয়ে যান।
রোহিত শর্মাকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। নিজের প্ৰথম ওভারেই রাবাদার বলে মিড অফের ওপর দিয়ে হাঁকাতে গিয়ে ক্যাপ্টেন বাভুমার হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। গিলকে স্বপ্নের ডেলিভারিতে আউট করেন কেশব মহারাজ।
এরপরে ইডেন পুরোটাই কোহলি-ময়। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে কোহলি ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের বড় রানের মঞ্চ গড়ে দেন। শ্রেয়স আইয়ার ৮৭ বলে ৭৭ করে ফেরেন। সূর্যকুমার যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজা যথাক্রমে ২২ এবং ২৯ করে দলকে ৩২৬ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। কোহলি ১২১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থেকে যান।