বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় বিপর্যয় অব্যাহত। সাত নম্বর বিশ্বকাপ খেলে ফেলল বাংলাদেশ। উন্নতির নাম গন্ধও চোখে পড়েনি। আফগানিস্তান যেখানে তৃতীয়বারের বিশ্বকাপ অভিযানে এসে স্মরণীয় পারফরম্যান্স করে গিয়েছে, চারটে ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানকে সেমিফাইনালের দৌঁড়ে কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের নিট ফল জিরো। মাত্র দুটো জয়ে কোনওরকমে শেষ থেকে তৃতীয় হয়েছে।
উপমহাদেশের কন্ডিশনে বাংলাদেশ ভাল পারফর্ম করবে, এমনটাই ভাবা হয়েছিল। তবে টাইগারদের গর্জনের বদলে বারবার ওয়ার্ল্ড কাপে শোনা গিয়েছে মিউ মিউ ধ্বনি। আর বাংলাদেশের ব্যর্থতায় প্রকট হয়ে গিয়েছে ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানের অফফর্ম। তামিমকে বাদ দিয়ে এমনিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলের একাংশের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি।
এবার বিশ্বকাপের ব্যর্থতার আবহে আরও বিপদে পড়লেন বাঘেদের নেতা সাকিব। বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন, সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরি এবং ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানের কাছে আইনি নোটিশ পৌঁছে গেল। সরাসরি পদত্যাগ করতে বলা হল। ত্রয়ীকে নোটিশ ধরিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। আইনজীবীর তরফে নোটিশ পাঠিয়ে বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের বলা হয়েছে পুরো কোচিং স্টাফকেই যেন বাতিল করা হয়। এছাড়াও বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অধিনায়ক হয়েও সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি সাকিব। ব্যাটে-বলে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই নিষ্প্রভ ছিলেন তারকা। গ্রুপ পর্বের সাত ম্যাচে খেলে সাকিব মাত্র ১৮৬ রান করেছেন। দখল করেছেন মাত্র ৯ উইকেট। ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব উজ্জ্বল পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিলেন। ৫০০ প্লাস রানের পাশাপাশি ১০ উইকেট দখল করেছিলেন। এবার তিনি যেন অতীতের ছায়া মাত্র। যে তামিমকে ফিটনেসের অজুহাতে দলে জায়গা দেননি, সেই ফিটনেস সমস্যা তাঁকে বারবার ভুগিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আঙুলে চোটের কারণে খেলেননি। শ্রীলঙ্কা ম্যাচ-ই হয়ে থেকেছে সাকিবের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে ৮২ করেন তারকা।
মাঠের বাইরে বারবার আলোচনায় উঠে এসেছেনম নেতিবাচকভাবে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে এঞ্জেলো ম্যাথিউসকে যেভাবে টাইম আউট করেছেন সাকিব, তাতে গর্জে উঠেছে ক্রিকেট বিশ্ব। সমালোচনায় জর্জরিত হয়ে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন তারকা। এবার আইনি নোটিশ পাওয়ার পর সাকিব কি অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ান কিনা, সেদিকেই নজর রাখছে ক্রিকেট মহল।