শনিবার নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানের কলঙ্কের হার হজম করল বাংলাদেশ। তা-ও আবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ম্যাচের পর ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান স্বীকার করে নিলেন, এটাই বাংলাদেশের নিকৃষ্টতম ওয়ার্ল্ড কাপ অভিযান। চলতি সংস্করণে দলীয় পারফরম্যান্সের প্রশ্ন ভেসে আসতেই সাকিব সরাসরি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন, "এটা বলা যেতে পারে (বাংলাদেশের সবথেকে খারাপতম বিশ্বকাপ)। আমিও দ্বিমত হব না।"
সাকিবের আরও সংযোজন, "আমাদের মধ্যে প্রস্তুতির অভাব ছিল। তবে এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না।" ওয়ার্ল্ড কাপে নামার আগেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবথেকে বিতর্কিত ঘটনা ঘটে গিয়েছিল সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে কেন্দ্র করে। প্রকাশ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ির পর্যায়ে নেমে এসেছিল সেই দ্বৈরথ।
বাংলাদেশি ক্রিকেটের দুই মহীরুহ একসময় ঘনিষ্ঠতম বন্ধু ছিলেন। বর্তমানে কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ। তামিমেয়ে ব্যাটিং অর্ডার বদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সাকিব এবং বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে। তবে বাঁ হাতি ওপেনার নিজের জেদ বজায় রেখে ব্যাটিং অর্ডার বদলে রাজি হননি। শেষমেশ তাঁকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপের দল গড়া হয়েছিল। সেই ঘটনাই কি এবার দলীয় পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব আরও খুল্লামখুল্লা।
জানিয়ে দিলেন, "হয়ত এটা দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কোনও ব্যক্তির মনে কি চলে, সেটা কখনই আন্দাজ করা যায় না। তবে আমি এতেও দ্বিমত হচ্ছি না।"
এর আগেও সাকিব খোলামেলা বাংলাদেশি ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করেছিলেন। বলে দিয়েছিলেন, ব্যাটিংয়ের জন্যই ভরাডুবি হয়েছে দলের। "গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই আমাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্স খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। এখনও সামনে ক্রিকেট বাকি রয়েছে। তবে আমাদের নিজেদেরই নিজেদের চাগাতে হবে। এটা কঠিন। তবে টুর্নামেন্টের শেষটা আমরা ভালো করতে চাই। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা হোঁচট খেয়ে চলেছি। জানি না প্লেয়ারদের মনে কী রয়েছে!" বলেছিলেন সাকিব।
বোলারদের পারফরম্যান্স-এ মোটের ওপর খুশিই তিনি। তবে ফিল্ডিং নিয়ে সাকিব খুল্লামখুল্লা, "আমার মতে আমরা ভালোই বোলিং করেছি। তবে ফিল্ডিংয়ে আমরা অনেকটাই শ্লথ ছিলাম। যে জায়গায় আমরা ছিলাম সেখান থেকে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০-১৭০'এর মধ্যে আটকে রাখা উচিত ছিল।"
প্ৰথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে প্ৰথম দল হিসেবে ছিটকে গেল সরকারিভাবে।