নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে স্লো পিচেই খেলতে নামছে টিম ইন্ডিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া। পছন্দের পিচই পেতে চলেছেন রোহিত শর্মারা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যে পিচে হয়েছিল সেই পুরোনো পিচেই নামবে দুই দল।
মন্থর এই পিচে বল ল্যান্ড করার পর ব্যাটারের ব্যাট পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগবে। শুক্রবার ভারতের অপশনাল ট্রেনিং সেশন ছিল। সেই ট্রেনিংয়ে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে দেখা যায় গভীরভাবে পিচ পর্যবেক্ষণ করতে। কালো মাটির পিচ সাধারণত ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও ধীর গতির হয়ে যায়।
ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে সহজেই জয়ী হয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ১৯১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। জবাবে ভারত সাত উইকেট হাতে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। জানা যাচ্ছে, ফাইনালের পিচে স্পিনাররা যথারীতি প্রধান ভূমিকা নেবে।
অজি দলের পেস আক্রমণ দুনিয়ার অন্যতম সেরা। জস হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ সেমিফাইনালেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটি ধরিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যদি বিচার্য হয়, তাহলে ভারতের হাতে রয়েছে এই মুহূর্তে দুনিয়ার সেরা পেস বোলিং ইউনিট। শামি-সিরাজ-বুমরা মিলে প্রতিপক্ষকে ম্যাচের পর ম্যাচ গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন।
ওয়াংখেড়েতে ভারত সেমিফাইনাল খেলার পর থেকেই পিচ যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়েছে। বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে পিচ বদলের অভিযোগ উঠেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেই আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, কীভাবে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে টিম ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ওয়াংখেড়ের কিউরেটরদের পিচের ঘাস উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যাতে পিচ আরও স্লো হয়ে পড়ে। ভারত আদতে হোম কন্ডিশনের পুরোপুরি ফায়দা নিতে চাইছে। তবে এই পিচ বদলের বিতর্ককে বাদ দিয়ে ভারতীয় দল এই মুহূর্তে নিজেদের অসামান্য ফর্ম দেখিয়ে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে।