ইডেনে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে তুমুল বিতর্ক। টিকিটে কালোবাজারির অভিযোগে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যে অভিযোগ-নামায় সিএবি তো বটেই বিসিসিআই এবং বিশ্বকাপের টিকেটিং পার্টনার বুক মাই শো-র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে বিসিসিআই, সিএবি এবং বুক মাই শো-র যোগসাজশে প্রচুর টিকিট সরিয়ে রাখা হয়েছে কালোবাজারিতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
মহামেডান তাঁবুর সামনে থেকে একাধিক ব্ল্যাকারকে গ্রেফতার করায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পায়। শেষমেশ কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করা হয়।
শেষমেশ গোটা বিতর্কে এবার প্রবেশ করলেন স্নেহাশিসের ভাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সিএবি এবং বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি সরাসরি দাদার পাশে দাঁড়িয়ে পরোক্ষে একহাত নিয়েছেন জয় শাহের বোর্ডকে।
বৃহস্পতিবার ইডেন পরিদর্শনে এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলে দিয়েছেন, "দোষীদের পুলিশ ধরতেই পারে। সিএবির এতে কোনও ভূমিকাই নেই। ইডেনের ধারণ ক্ষমতা ৬৭ হাজার দর্শক। আর টিকিটের চাহিদা এক লাখের বেশি। এটা সব জায়গায় ঘটে। টিকিটের এতটাই চাহিদা যে এটা সামলানো যায় না।এতে কারোর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশ-ই একমাত্র এদের ধরতে পারে।"
কালোবাজারে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট চারগুন এমনকি পাঁচগুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর গোটা ইস্যুতে যেভাবে সিএবির ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে, তাতে বোর্ডের কোর্টে দায় খেলেছেন মহারাজ। বলে দিয়েছেন, "এটা দুর্ভাগ্যজনক যে সিএবির হাতে টিকিট বিক্রির কোনও দায়িত্বই নেই। ইডেন গার্ডেন্স থেকে একবার টিকিট বেরিয়ে গেলে সেই তথ্যও সিএবির কাছে থাকে না। কোথায় কোথায় চড়া দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে, সেটাও কেউ জানে না।"
ইডেনের সামনে সিএবির লাইফ মেম্বাররাও বিক্ষোভ দেখিয়েছে টিকিট না পাওয়ায়। এই ইস্যুতে সৌরভের সাফ জবাব, "সিএবির কোনও সংবিধানেই লেখা নেই যে লাইফ মেম্বাররা আজীবন টিকিট পেয়ে যাবেন। সিএবি ৩০০০ টিকিট দিয়েছে।"