অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন বিরাট কোহলি। জন্মদিনে প্ৰথম ভারতীয় হিসাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে শতরান। তাও আবার সেই শতরান যদি হয় শচীনের রেকর্ড সংখ্যক ওয়ানডে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার, তাহলে কেন কুর্নিশ জানাবে না ক্রিকেটবিশ্ব? রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে মহা-সেঞ্চুরির পরেই বাঁধ ভেঙেছে ক্রিকেট মহলের। সকলেই কিং কোহলিকে স্যালুট জানাচ্ছেন।
Advertisment
তবে এই উৎসবের লগ্নেই যেন কিছুটা চোনা ফেলে দিলেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কা সোমবার নতুন দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে খেলতে নামছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর কাছে কোহলির রেকর্ড গড়া শতরান নিয়ে প্রশ্ন ভেসে আসে।
তবে সকলকে অবাক করে দিয়ে কুশল মেন্ডিস বলে দেন, তিনি কেন কোহলিকে শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন! যাতে প্রবল বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সাধারণত, প্রতিপক্ষ দলের তারকাদের কীর্তিতে সৌজন্যের খাতিরে শুভেচ্ছা জানান ক্রিকেটাররা। তবে সেই সৌজন্যের যেন বাঁধ ভাঙলেন কুশল মেন্ডিস।
যাইহোক, বিশ্বকাপে কোহলির স্বপ্নের ফর্ম অব্যাহত। ইডেনে নিজের ৩৫ তম জন্মদিনে চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শতরান হাঁকিয়ে গেলেন কিং কোহলি। যা ওয়ানডেতে তাঁর ৪৯তম শতরান। একদিনের ক্রিকেটে শতরানের নিরিখে কোহলি ছুঁয়ে ফেললেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকার নামক মহীরুহকেও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা কোহলির ৭৯তম শতরান। ১১৯ বলে ১০ বাউন্ডারির সাহায্যে কোহলি রবিবার নিজের স্বপ্নের শতরান পূর্ণ করেন। চলতি বিশ্বকাপে আট ম্যাচে ৫৪৩ রান করে কোহলি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের দৌড়ে রয়েছেন।
আর তাঁর রেকর্ড কোহলি ছুঁতেই প্রতিক্রিয়া জানালেন মাস্টার ব্লাস্টার। টুইটারে লিখে দিলেন, “দারুণ খেলেছ বিরাট। ৪৯ থেকে ৫০তম শতরানে পৌঁছতে আমার ৩৬৫ দিন লেগেছিল। আশা করব, তুমি আগামী কয়েকদিনেই ৪৯ থেকে ৫০তম সেঞ্চুরি করে আমার রেকর্ড ভেঙে দেবে। অভিনন্দন।”
Well played Virat. It took me 365 days to go from 49 to 50 earlier this year. I hope you go from 49 to 50 and break my record in the next few days. Congratulations!!#INDvSApic.twitter.com/PVe4iXfGFk
নিজের আইকনকে ছুঁতে পেরে আবেগে বিহ্বল হয়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলিও। ইনিংসের মধ্যের বিরতিতে কোহলি বলে দিয়েছেন, “ভারতের হয়ে প্রত্যেকবার খেলার সুযোগ আমার কাছে অনেক বড় অর্জন। আর এমন রেকর্ড (৪৯তম শতরান) তাও আবার জন্মদিনে ইডেন গার্ডেন্সে এত দর্শকের সামনে, অনেকটা স্বপ্নের মত। বাচ্চাবেলায় এগুলোয় চাওয়া ছিল। ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ এরকম মুহূর্তের সাক্ষী থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য। সমর্থকদের কাছ থেকে এত ভালবাসা পাচ্ছি! যেকোনও ভাবে এভাবেই দলকে সাহায্য করা চালিয়ে যেতে চাই।”