কোহলিকে কিছুটা অসম্মান-ই করেছিলেন। তবে অবশেষে স্বীকার করে নিলেন। ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চাইলেন শ্রীলঙ্কান নেতা কুশল মেন্ডিস। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। মাইলস্টোন সেঞ্চুরিতে শচীনকেও ছুঁয়ে ফেলেছেন কোহলি। রেকর্ড গড়া শতরানের পর শ্রীলঙ্কান ক্যাপ্টেনকে নতুন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে শুনতে হয়েছিল, তিনি কোহলিকে শুভেচ্ছা জানাতে চান কিনা!
তবে সকলকে অবাক করে দিয়ে কুশল মেন্ডিস বাংলাদেশ ম্যাচের নামার আগে বিতর্কের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। বলে দেন, কুশল মেন্ডিস বলে দেন, তিনি কেন কোহলিকে শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন! যাতে প্রবল বিতর্ক দানা বেঁধে গিয়েছিল। সাধারণত, প্রতিপক্ষ দলের তারকাদের কীর্তিতে সৌজন্যের খাতিরে শুভেচ্ছা জানান ক্রিকেটাররা। তবে সেই সৌজন্যের যেন বাঁধ ভেঙে দিয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস।
নিজের ভুল অবশেষে বুঝতে পেরেছেন কুশল মেন্ডিস। বিশ্বকাপ অভিযান শেষে দেশে ফিরে গিয়েছে লঙ্কান দল। দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমে কুশল নিজের ভুল স্বীকার করে জানান, "সেই সময় কোহলির শতরানের বিষয়ে অবহিত ছিলাম না। হঠাৎ করেই কোনও এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বসেছিলেন। আমি প্ৰশ্ন ভালোভাবে বুঝতেও পারিনি। তবে ওয়ানডেতে ৪৯ সেঞ্চুরি করা মোটেও সহজ কাজ নয়। যা বলেছি ভুল ছিল। এখন অনুভব করতে পারছি।"
বিশ্বকাপে স্বপ্নের ফর্ম চলছে কোহলির। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন রচিন রবীন্দ্র, কুইন্টন ডিকক-এর পরে। তবে কোহলি ডাচদের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করে আপাতত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় একনম্বরে। কোহলির নামের পাশে আপাতত ৫৯৪ রান।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেছে শোচনীয়ভাবে। প্ৰথম আট দলের মধ্যে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতেও পারবে না শ্রীলঙ্কা।
এর মধ্যেই দেশের ক্রিকেট বোর্ড সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য আইসিসির তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের ওপর। অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবে না দ্বীপরাষ্ট্রটি। সবমিলিয়ে দেশের ক্রিকেটের এই ডামাডোলের মধ্যেই ক্ষমা চাইলেন কুশল মেন্ডিস।