বিশ্বকাপ চলাকালীনই ছোটখাটো বিতর্কের অবতারণা ঘটেছে টিম ইন্ডিয়া শিবিরে। হার্দিক পান্ডিয়াকে নকআউটে পাওয়া যাবে ভেবেই এগোচ্ছিল ভারত। তবে আচমকা খারাপ খবর শুনতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। এনসিএ-তে ফিট হয়ে বোলিং করার সময়ে ফের অস্বস্তি অনুভব করেন হার্দিক। তারপরেই টিম ইন্ডিয়ার তরফে ডেকে নেওয়া হয় প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে।
আর আইসিসির তরফে এমন খবর কনফার্ম করার পরেই ভারতীয় ক্রিকেট মহলে চোখ কপালে ওঠে। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঢোকার দাবিদার রয়েছেন একাধিক তারকা। হার্দিক পান্ডিয়ার মত পেসার অলরাউন্ডারের কোটায় আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে থাকা শিবম দুবে, বা দীপক চাহারকে নেওয়া হতে পারত। অথবা সঞ্জু স্যামসন, অক্ষর প্যাটেল, রিঙ্কু সিংরাও বিশ্বকাপে খেলার দাবিদার ছিলেন। স্রেফ পেসার নিতে হলে অর্শদীপ সিংকেও নেওয়া যেতে পারত। তবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে ডাকার পরেই অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। কোন সমীকরণে হার্দিকের বদলি কর্ণাটকি পেসার, অনেকেই বুঝতে পারছেন না। সকলেরই বক্তব্য এমনিতেই ভারতের হাতে চারজন পেসার রয়েছে। শামি-সিরাজ-বুমরার সঙ্গে রিজার্ভে রয়েছেন শার্দূল ঠাকুর, তারপরেও কোন যুক্তিতে কৃষ্ণের অন্তর্ভুক্তি?
আর এমন বিতর্কের অবসান ঘটাতেই এবার মুখ খুলতে বাধ্য হলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে টেবিল টপার হওয়ার লড়াইয়ে নামার আগে দ্রাবিড় বলে দিয়েছেন, আসল কারণ।
ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষ্ণকে বাছাই করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় দ্রাবিড়কে। তিনি বলেন, "হার্দিক চোটের কবলে পড়ার পর আমরা তিন সিমার নিয়ে দল সাজাচ্ছি। রিজার্ভে আমাদের হাতে অলরাউন্ডার হিসাবে শার্দূল রয়েছে, স্পিনার কোটায় রয়েছে অশ্বিন। তবে আমাদের একজন ব্যাক আপ ফাস্ট বোলারের দরকার ছিল।"
এক বছর চোটের কারণে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। তারপর চোট সারিয়ে কৃষ্ণের প্রত্যাবর্তন ঘটে আয়ারল্যান্ড সিরিজে। এবার সরাসরি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেয়ে গেলেন তিনি। কিছুটা আলোচনার জন্ম দিয়েই।
যাইহোক, পুনেতে বাংলাদেশ ম্যাচে লিটন দাসের স্ট্রেট ড্রাইভ আটকাতে গিয়েছিলেন। নিজের বোলিংয়ের ফলো থ্রুতে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়েছিলেন। তারপরেই ভারসাম্য হারিয়ে গোড়ালি মচকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এরপরে উঠে দাঁড়িয়ে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে ছিলেন তিনি। নিচু হতে পারছিলেন না। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হয় তারকাকে। সঙ্গেসঙ্গেই জরুরিকালীন ভিত্তিতে রিহ্যাব সারতে এনসিএ-তে পাঠানো হয় পান্ডিয়াকে।