বিশ্বকাপের মধ্যেই নেতৃত্বে বদল ঘটল টিম ইন্ডিয়ার। হার্দিক পান্ডিয়া বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতেই নতুন ভাইস ক্যাপ্টেন করা হল কেএল রাহুলকে। শনিবার সকালেই আইসিসির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, হার্দিক পান্ডিয়ার রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে অনুমোদন করা হল। বিশ্বকাপের আগে হার্দিক পান্ডিয়াকে ভাইস ক্যাপ্টেন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ম্যাচ চোট পাওয়ার পর একাধিক ম্যাচ মিস করেছেন তারকা অলরাউন্ডার। আর হার্দিক পান্ডিয়া সরকারিভাবে ছিটকে যাওয়ার পর কেএল রাহুলকে সহ অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিলেন নির্বাচকরা।
বোর্ডের এক আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "বাকি বিশ্বকাপে কেএল রাহুলকে সহ অধিনায়ক করল বোর্ড। শনিবার সকালে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকার রাহুলকে তাঁর নিয়োগের বিষয়ে অবহিত করেন। আগারকার অবশ্য জাতীয় দলের সঙ্গেই রয়েছেন।"
এতদিন বোলার্স এবং ব্যাটসম্যানদের মিটিংয়ে স্পেশ্যালিস্ট উইকেটকিপার হিসাবে উপস্থিত থাকতেন তিনি। এবার দলের যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে রাহুলের মতামতের ভূমিকা থাকবে।
কেন জসপ্রীত বুমরার মত তারকাকে পেরিয়ে রাহুলের হাতে উঠল সহ-অধিনায়কের আর্মব্যান্ড? জানা যাচ্ছে, উইকেটকিপার পজিশনে খেলার জন্য ম্যাচের যে কোনও মুহূর্তে রাহুলের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর গেম রিডিং-ও ভালো। উইকেটকিপার হিসাবে চলতি বিশ্বকাপে কেএল রাহুল অসাধারণ পারফর্ম করছেন। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, বাইরের সমালোচনা আটকানোর জন্য তাঁর চামড়া অনেকটাই পুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি পেশাদারদের থেকেও সাহায্য নিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার দেখানো পথে তিনি চলার চেষ্টা করছেন।
রাহুল বলেছেন, "এই পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। বহুবার ভেবেছি, বাইরের সমালোচনায় হয়ত আক্রান্ত হব না। তবে গত কয়েক বছর ধরে এটা আমার ওপর প্রভাব ফেলছিল। এই বিষয়েও নিরন্তর চেষ্টা করে গিয়েছি। মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে। গায়ের চামড়া আরও পুরু হতে হবে। এতে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং এমনকি মনোবিদও থাকেন। তাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য যাওয়া যেতে পারে। আমি ওঁদের পরামর্শ-ও নিয়েছি।"