শচীনের শহরে কিংবদন্তিকে ছোঁয়া হয়নি। সেই প্রতীক্ষা জমিয়ে রেখেছিলেন নিজের ৩৫ তম জন্মদিনের জন্য। সেটাই করলেন বিরাট কোহলি। নিজের ৪৯তম ওয়ানডে শতরান কোহলি হাঁকালেন জন্মদিনের বাইশ গজে। শচীনের হিমালয় সদৃশ ওয়ানডে শতরান সংখ্যা ছুঁয়ে ফেললেন মহাতারকা।
আর স্মরণীয় এই ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা। ইডেন গার্ডেন্স। ইডেনের পিচ মন্থর। খেলা যত গড়িয়েছে ততই পিচের গতি কমেছে। ব্যাটে বলে টাইমিং হয়ে দাঁড়িয়েছে দুরূহ। পিচ এবং দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের চ্যালেঞ্জের বাধা পেরিয়ে এল কোহলির স্মরণীয় শতরান।
মার্কো জ্যানসেন, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি, তাব্রিজ শামসি, কেশব মহারাজ- কেউ থামাতে পারলেন না বিশ্বক্রিকেটের ব্যাটিং মহীরুহকে।
সবমিলিয়ে এটা কোহলির আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৭৯তম সেঞ্চুরি। মাইলফলক সেঞ্চুরিতে কোহলি পৌঁছলেন মাত্র ১১৯ বলে। হাঁকালেন ১০ বাউন্ডারি। চলতি বিশ্বকাপে এটা কোহলির দ্বিতীয় শতরান।
চলতি বিশ্বকাপে স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন চেজ মাস্টার। বাংলাদেশের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ভঙ্গিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তবে দু-বার নিশ্চিত সেঞ্চুরির দেখাও পাননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৮ করে ফিরতে হয়েছিল। তবে ইডেন খালি হাতে ফেরায়নি কিংবদন্তিকে।
রবিবার আগুনে মেজাজে শুরু করেছিল টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মা-শুভমান গিলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কোনও উত্তরই খুঁজে পাচ্ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। মাত্র ৪.৩ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৫০ তুলে দেয় ভারত। ওপেনিং পার্টনারশিপের ৬২ রানের মধ্যে ৪০ রান একাই করে যান রোহিত। নিজের আগ্রাসী ইনিংসে রোহিত হাফডজন বাউন্ডারির পাশাপাশি জোড়া ছক্কাও হাঁকিয়ে যান। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা তুমুলভাবে ম্যাচে ফেরে। দুই ওপেনার-ই অল্প রানের ব্যবধানে আউট হয়ে যান।
রোহিত শর্মাকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। নিজের প্ৰথম ওভারেই রাবাদার বলে মিড অফের ওপর দিয়ে হাঁকাতে গিয়ে ক্যাপ্টেন বাভুমার হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। গিলকে স্বপ্নের ডেলিভারিতে আউট করেন কেশব মহারাজ।
এরপরে ইডেন পুরোটাই কোহলি-ময়। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে কোহলি ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের বড় রানের মঞ্চ গড়ে দেন। শ্রেয়স আইয়ার ৮৭ বলে ৭৭ করে ফেরেন। সূর্যকুমার যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজা যথাক্রমে ২২ এবং ২৯ করে দলকে ৩২৬ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। কোহলি ১২১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থেকে যান।