ভাবা হয়েছিল গোড়ালির চোট সারিয়ে বিশ্বকাপেই প্রত্যাবর্তন ঘটবে হার্দিক পান্ডিয়ার। তবে তা আর হল না। পুরোপুরি বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। আইসিসির তরফে শনিবারই কনফার্ম করে জানানো হল।
পুনেতে বাংলাদেশ ম্যাচে লিটন দাসের ড্রাইভ আটকাতে গিয়েছিলেন। নিজের বোলিংয়ের ফলো থ্রুতে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়েছিলেন। তারপরেই ভারসাম্য হারিয়ে গোড়ালি মচকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এরপরে উঠে দাঁড়িয়ে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে ছিলেন তিনি। নিচু হতে পারছিলেন না। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হয় তারকাকে। সঙ্গেসঙ্গেই জরুরিকালীন ভিত্তিতে রিহ্যাব সারতে এনসিএ-তে পাঠানো হয় পান্ডিয়াকে।
ভাবা হয়েছিল গ্রুপ পর্বের শেষদিকে অথবা সেমিতে পদার্পণ ঘটবে তারকার। তবে জানা যাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে ফিট হয়ে উঠতে পারবেন না তিনি। টিম ইন্ডিয়ার তরফে আইসিসির কাছে প্রসিধ কৃষ্ণের নাম পরিবর্ত হিসাবে পাঠানো হয়। সেই আবেদন আইসসি মঞ্জুর করে দিয়েছে। প্রসিধ কৃষ্ণ নিজেও ইনজুরি সারিয়ে খেলবেন। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ইতিমধ্যেই ১৭ ওয়ানডে খেলে ২৯ উইকেট দখল করেছেন।
ইংল্যান্ড থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তাঁর চিকিৎসা চলছে আপাতত। একদম শেষ অস্ত্র হিসাবে ভাবা হয় ইঞ্জেকশন-ও। ইঞ্জেকশন দিয়ে বিশ্বকাপে নামিয়ে দেওয়ার প্ল্যান ছিল টিম ইন্ডিয়ার। তবে সেসব আদতে কাজেই এল না। আপাতত তিনি রিকভারি সারছেন বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে।
দলের এমনিতে অপরিহার্য অংশ। কুইক ফাস্ট বল, বাউন্সারে ব্যাটারকে চমকে দেওয়া হোক বা স্লোয়ারে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করা- বোলার হার্দিকের তুনে রয়েছে সমস্ত উপকরণই। লোয়ার অর্ডারে পাওয়ার হিটিংয়ে বোলারদের কাছে আবার সাক্ষাৎ ত্রাস তিনি।
হার্দিকের অনুপস্থিতিতে ভারত নিজেদের প্ৰথম একাদশের কম্বিনেশন রদবদল ঘটাতে বাধ্য হয়েছে। হার্দিকের জায়গায় সূর্যকুমার এবং শার্দূল ঠাকুরকে বসিয়ে নেওয়া হচ্ছে মহম্মদ শামিকে। পাঁচ বোলারে খেলতে বাধ্য হয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
তবে হার্দিকের অভাব বুঝতে দেননি মহম্মদ শামি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধর্মশালায় প্ৰথম ম্যাচে নেমেই শামি পাঁচ উইকেট তুলে নেন কিউইদের বিপক্ষে। এরপরে একে একে শামি ইংল্যান্ড ম্যাচে চার উইকেট এবং সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও ফিফার পেয়েছেন। মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই ১৪ উইকেট শামির নামের পাশে।