স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন বিরাট কোহলি। ক্রিকেট বিশ্বের যে কোনও রেকর্ড কোহলির সামনে সুরক্ষিত মনে হচ্ছে না। প্রত্যেক ম্যাচে ব্যাট হাতে নামলেই রেকর্ড করা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে কিং কোহলির কাছে। বিশ্বকাপে তাঁর নামের পাশে সাতশো প্লাস রান। তিনটে সেঞ্চুরি।
ভেঙে দিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকরের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের সবথেকে বেশি শতরানের (৪৯টি) নজির। ক্রিকেট ইতিহাসের প্ৰথম ব্যাটার হিসাবে গড়েছেন ৫০টি শতরানের কীর্তি। ওয়ার্ল্ড কাপে সবথেকে বেশি রানের মালিকও আপাতত কোহলি।
কোহলি এই অবিশ্বাস্য ফর্ম নিয়েই খেলতে নামছেন ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালে। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে। আর মেগা ফাইনালের আগে হঠাৎই কোহলি শিরোনামে ক্রিকেটীয় কারণে নয়। কোহলির রিস্ট ব্যান্ড নিয়েই যাবতীয় আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপে বারবার কোহলির হাতে রহস্যজনক রিস্ট ব্যান্ড দেখা গিয়েছে। প্ৰথমে ভাবা হয়েছিল এপলের কোনও ব্যান্ড বোধহয় ব্যবহার করছেন কোহলি।
তবে পরে জানা যায়, কোহলির হাতে রয়েছে কোটি কোটি টাকা দামের হুপ ব্যান্ড। যা কিনা এখন ভারতে লঞ্চই হয়নি। কী এই হুপ ব্যান্ড? লেব্রন জেমস, মাইকেল ফেলপস, কোহলির প্ৰথম সারির এথলিটরা এই ব্যান্ড ব্যবহার করেন। শরীরের যে কোনও জায়গায় এই ব্যান্ড পরা যায়।
আদতে এই ব্যান্ড হল ফিটনেস ট্র্যাকার। শরীরের রক্তচাপ, হৃদগতি, অক্সিজেন সম্পৃক্ততা, দৌড়নোর সময় গতি- সমস্ত কিছু ২৪ ঘন্টা ট্র্যাক করে এই ব্যান্ড। এন্ড্রয়েড অথবা ios কোনও ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ করার পরে সেই ডিভাইসেই সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এই ব্যান্ডের বিশ্বজনীন জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হল, এপল কিংবা অন্যান্য ফিটনেস ট্র্যাকারের মত এই ব্যান্ডের কোনও স্ক্রিন নেই। চার্জ দেওয়ার জন্য শরীর থেকে খোলারও প্রয়োজন হয়না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ব্যান্ড চার্জড হয়ে যায়।
২০১৫-এ এই হুপ ট্র্যাকার প্ৰথম বিশ্বের বাজারে লঞ্চ করা হয়েছিল। তারপর বেশ কয়েকবার আপডেট ঘটিয়ে বেশ কয়েকটি সংস্করণ বাজারে ছাড়া হয়েছে। ২০২১-এ শেষবার ছাড়া হয়েছিল হুপ ৪ ব্যান্ড।
হুপ ব্যান্ড ব্যবহারের জন্য আদতে মাসিক সাবসক্রিপশনের দরকার। প্ৰথম ৩০ দিন ব্যবহারের পর বার্ষিক ১৪৪ ডলারের বিনিময়ে সাবস্ক্রাইব করতে হয়।