বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাকি ক্রিকেট সংস্থা গুলির তুলনায় গুজরাট যেন বেশি অগ্রাধিকার সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। এমনই বড়সড় অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সাংসদ সাকেত গোখলে। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। তার আগে ভেন্যু ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
কেন্দ্রের বিরোধী দলের একাধিক নেতা জয় শাহের বোর্ডের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন। আহমেদাবাদ তিনটে মার্কি ইভেন্ট আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়েছে। উদ্বোধনী এবং ফাইনাল তো বটেই এমনকি ভারত-পাক ধুন্ধুমার ম্যাচও ফেলা হয়েছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। মোহালি, ইন্দোর, নাগপুরের মত আইকনিক ভেন্যুতে ফেলা হয়নি একটিও ম্যাচ।
আরও পড়ুন: মোদি স্টেডিয়ামেই কেন তিনটে মার্কি ম্যাচ! বিশ্বকাপে জয় শাহদের বিপক্ষে রাজনীতির ভয়ঙ্কর অভিযোগ
বুধবার টুইটে তৃণমূলের সাংসদ সাকেত গোখলে টুইট করে বসেন, "আইপিএল উদ্বোধনী ম্যাচ: নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। আইপিএল ফাইনাল: নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ উদ্বোধনী ম্যাচ: নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল ম্যাচ: নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ সবসময় নিশ্চিত করেছেন অন্যান্য ক্রিকেট সংস্থা গুলির থেকে গুজরাট যেন অগ্রাধিকার বেশি পায়।"
মঙ্গলবার আইসিসির সরকারি ঘোষণার পর জানা যায়, ১০ টি আয়োজক শহরের ভেন্যুর নাম- কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, পুণে, হায়দরাবাদ, লখনৌ, ধর্মশালা। ব্রাত্য ভেন্যুর তালিকায় রয়েছে নাগপুর, ইন্দোর, রাঁচি, মোহালির মত বড় বড় স্টেডিয়াম।
সাধারণত, বড় কোনও ইভেন্টে আয়োজক দেশের অর্গানাইজিং কমিটির তরফে আইসিসির কাছে ভেন্যুর তালিকা পাঠানো হয়। আইসিসি স্রেফ সেই তালিকায় সিলমোহর দিলেই তা চূড়ান্ত হয়ে যায়।
ঘটনাচক্রে, ভেন্যু বাছাইয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট, পাঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও। বিতর্কের এই জল কতদূর গড়ায় সেটাই আপাতত দেখার।
Read thw full article in ENGLISH