প্রথম টি২০ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। ডারবানের কিংসমিডের পর এবার ভারত দ্বিতীয় টি২০ খেলতে নামছে মঙ্গলবার। পোর্ট এলিজাবেথে। কুড়ি কুড়ি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজের গুরুত্ব অপরিসীম। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। এর পরে জানুয়ারিতে আফগানিস্তান সিরিজ।
এই দুই সিরিজের ফলাফলের ওপর ভরসা করে ভারত বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করবে। তাই প্রোটিয়াজ সফরে টি২০-র ওপর দল কম্বিনেশনের জন্য বড় ভরসা করে রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এমন অবস্থায় কিংসমিডে প্ৰথম ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় টিম ইন্ডিয়ার কপালে চিন্তার ভাঁজ।
পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই বড় আপডেট। জানা যাচ্ছে, আইসিসির নতুন নিয়ম মেনে আইডেন মারক্রাম, সূর্যকুমার যাদবরা মোকাবিলা করতে নামবেন।
আইসিসি কয়েকদিন আগেই স্টপ-ক্লক নিয়ম চালু করেছিল। সীমিত ওভারের খেলায় গতি আমদানির জন্য এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এই নিয়মই চালু হয়ে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড টি২০ সিরিজে। একই নিয়ম প্রযুক্ত হচ্ছে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের সীমিত ওভারের ম্যাচেও। টি২০ এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই দুই দল এই নতুন নিয়মে খেলবে।
কী এই স্টপ ক্লক নিয়ম?
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ওভার শেষ হলে, বোলিং দলকে পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে। দুই ওভারের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্যই স্টপ ক্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। একই ইনিংসে দুই বার এই নিয়ম ভঙ্গ করা হলে সতর্ক করা হবে। তবে তৃতীয় বারের ক্ষেত্রে পেনাল্টি রান পাবে ব্যাটিং দল। অতিরিক্ত ৫ রান যুক্ত হবে ব্যাটিং দলের সঙ্গে।
তবে এই নিয়মের কিছু সাব-ক্লজও রয়েছে। স্টপ ক্লক বন্ধ করা হবে তিনটে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে।
১) দুই ওভারের মধ্যে নতুন ব্যাটসম্যানের ক্রিজে আগমন ঘটলে।
২) ড্রিংকস ব্রেক ডাকা হলে।
৩) ক্রিজে কোনও ব্যাটার বা আউটফিল্ডে আহত হলে ইনজুরির পরিচর্যা করার জন্য সময় অপচয় হলে।
৪) ফিল্ডিং দলের নিয়ন্ত্রণে নেই, এরকম অবস্থায় সময় অপচয় হলে।
আইসিসির তরফে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে দুই সিরিজে এই নিয়ম চালু করা হবে। এই দুই সিরিজের নতুন নিয়ম কতটা প্রভাব ফেলে, তার ওপরেই এই নিয়ম ভবিষ্যতে রেখে দেওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।