স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি। টানা তিন বছর অফফর্মে ছিলেন। শতরানের মুখ দেখেননি দীর্ঘদিন। তবে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রেখেছেন। বিশ্বকাপে কোহলি-ম্যানিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্ৰথম ম্যাচেই দলকে ২/৩ অবস্থা থেকে ট্রেডমার্ক ভঙ্গিতে উদ্ধার করেছিলেন। কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে অজিদের বিপক্ষে জয়ের সারথি ছিলেন।
এরপরে আফগানিস্তান ম্যাচে ফের একবার হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ৮৫ রান করে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন। পাকিস্তান ম্যাচে রান না পেলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ফের একবার জ্বলে উঠেছেন তিনি। কেরিয়ারের ৪৮ তম ওয়ানডে শতরান করে ফেলেছেন। আর এক সেঞ্চুরিতেই ছুঁয়ে ফেলবেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরকে।
আর কোহলির সঙ্গে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট মহলের একাংশের তরফে তুলনা করা হয় বাবর আজমকে। যিনি বর্তমানে ওয়ানডে ক্রমতালিকায় একনম্বরে রয়েছেন। ওয়ানডের শীর্ষ স্থানে থাকা ব্যাটারের ব্যাট অবশ্য ওয়ার্ল্ড কাপে এখনও পর্যন্ত নিশ্চুপ রয়েছে। ভারতের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি ছাড়া বাবর আজম নেদারল্যান্ডস তো বটেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও খাপ খুলতে পারেননি। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান চেজ করতে নেমে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
কোহলি যেখানে রান চেজ করে কঠিন সময়ে প্রত্যেকবারেই দলকে জিতিয়ে ফিরেছেন, বাবরের কিন্তু সেই পরিসংখ্যান মোটেই উজ্জ্বল নয়। সেই আলোচনায় নিজেকে তুলে আনার মোক্ষম সুযোগ ছিল বাবরের কাছে। তবে ৩৬৮ রানের বিশাল লক্ষ্য চেজ করতে নেমে বাবর ১৪ বলে মাত্র ১৮ করে আউট হয়ে যান। এতেই টানা দ্বিতীয় হার হজম করতে হয় পাকিস্তানকে।
বাবরের এমন ইনিংসের পরেই একহাত নিয়েছেন হরভজন সিং। জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা বর্তমানে বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি বাবরকে সমালোচনায় ভাসিয়ে দিয়েছেন।
টুইটারে টার্বুনেটর লিখে দিয়েছেন, "কোহলি আধুনিক ক্রিকেটের গ্রেট তারকা, কিংবদন্তি। যে কোনও পরিস্থিতিতে, যে কোনও অবস্থায় ভারতকে জিতিয়েছে। বাবর তো বটেই বাকি সকলেরই কিং কোহলির থেকে শেখা উচিত। আলোচনা এখানেই খতম। কারোর কোনও সন্দেহ রয়েছে?"
এর আগে একইভাবে রবি শাস্ত্রী টার্গেট করেছিলেন, শাহিন আফ্রিদিকে। বলে দিয়েছিলেন, "শাহিন ভালো বোলার সন্দেহ নেই। তবে ও মোটেই আক্রম নয়। ওঁকে নিয়ে এত বেশি হাইপ তোলাও উচিত নয়।"