কোহলির সেঞ্চুরি এসেছে ভারতের জয়ের শেষ লগ্নে। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে। স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান ছিল না কোহলির সেঞ্চুরি পূর্ণ করার জন্য। তবে কেএল রাহুলের আত্মত্যাগে এবং কোহলির চতুর প্ল্যানিংয়ে শেষে কোহলি ওয়ানডে কেরিয়ারের ৪৮তম শতরান পূর্ণ করে যান।
শেষদিকে কোহলি ৯৪ বলে ৯৭ রানে ব্যাটিং করছিলেন। সেই সময় জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল মাত্র ২ রান। ব্যাপক অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল কোহলির সেঞ্চুরি ঘিরে। ৪২ তম ওভারে বল করছিলেন বাংলাদেশি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াইড বল করেন, যাতে কোহলির সেঞ্চুরি আটকানো সম্ভব হয়।
তবে আম্পায়ার বোলারের ওয়াইড বলের স্ট্র্যাটেজিতে সাড়া দেননি। এর জন্যই পাকিস্তান এবং বাংলাদেশি সমর্থকরা আইসিসিকে একহাত নেন। বলা হতে থাকে, ওয়াইড বল হলেও কেন তা দেওয়া হল না। কোহলির সেঞ্চুরির কথা মাথায় রেখেই কি আম্পায়ার আইসিসির নিয়ম বদলেছেন, এমনভাবেই আম্পায়ার কেটেলবরোর ওপর চড়াও হন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সমর্থকদের একাংশ।
তবে ঘটনা হল, নিয়ম মেনেই ওয়াইড বল দেননি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। সম্প্রতি ওয়াইড বলের নিয়মে বড়সড় বদল ঘটেছে। এমসিসি ক্রিকেট নিয়মের ২২.১.১ ধারায় বলা হয়েছিল, কোনও বোলারের বল নো বল না হলে, বল যদি ব্যাটারের স্ট্যান্সের অথবা যে জায়গায় গার্ড নিয়েছে, সেই সীমানার বাইরে দিয়ে গেলেও ওয়াইড বল গণ্য হবে।
তবে এই নিয়মের বদল ঘটেছিল ২০২২-এর মার্চে। এমসিসির তরফে কিছু নিয়ম বদলানো হয়েছিল। এমসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটাররা ক্রিজে বল করার আগে অনেক নড়াচড়া করেন। বোলার বল করার ঠিক আগে ব্যাটার যে পজিশনে দাঁড়িয়েছিলেন (পরে শাফল করে অন্য জায়গায় মুভ করে গিয়ে), সেই জায়গা দিয়ে বল অতিক্রম করলে ওয়াইড দেওয়া মোটেই যুক্তিযুক্ত হবে না।"
ঘটনা হল, কোহলি নাসুমের সেই বহু আলোচিত ডেলিভারির সময় কোহলি লেগ স্ট্যাম্প গার্ড করে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে শাফল করে অফ স্ট্যাম্পের দিকে সরে যান। তাই লেগ স্ট্যাম্প দিয়ে বল চলে গেলেও আম্পায়ার কেটেলবরো ওয়াইড দেননি।"
আম্পায়ারের সঠিক নিয়ম আসলে কোহলির সেঞ্চুরির পক্ষে সহায়ক হয়। যাইহোক, বিরাট নাসুমের এই ট্যাকটিক্সে যথেষ্ট ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। তাঁর প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট। তবে বিরাটকে আশ্বস্ত করেই যেন আম্পায়ারের ওয়াইড বলের সিগন্যাল দেওয়া থেকে বিরত থাকা। সেই ওভারের তৃতীয় বলেই কোহলি সটান ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন। এবং নিজের ৪৮তম ওয়ানডে শতরান পূর্ণ করে যান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা কোহলির তৃতীয় এবং চলতি সংস্করণে প্ৰথম শতরান।