বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান একদমই ভালো ভাবে শুরুয়াত হয়নি। প্ৰথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন টাইগাররা। তবে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে টানা দুটো ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ অভিযান টালমাটাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পরেই আরও বড় দুঃসংবাদ।
ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান চোট পেয়েছেন। স্ক্যান করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারকাকে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানে নামার ঠিক আগেই অনুশীলনে পায়ের পাতায় ইনজুরি পেয়ে বসেছিলেন। তবে কিউই ম্যাচে ফের একবার চোটের কবলে তিনি।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছিলেন। গোটা ইনিংস স্বচ্ছন্দে না থাকলেও সাকিবের ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল মূল্যবান ৪০ রান। যা বাংলাদেশের প্রায় আড়াইশো রানের টার্গেটে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছিল।
তবে চেন্নাইয়ে ব্যাটিং করার সময়েই পেটের পেশিতে ক্র্যাম্প লাগে তারকার। সেই সময় প্রাথমিক পরিচর্যা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান। নিজের কোটার পুরো সময়ের বোলিংও করেন তিনি।
তবে কিউইদের ইনিংসের একদম শেষ লগ্নে সাকিবকে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। পরে অনুষ্ঠান বিতরণী অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি তাঁকে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। তিনি জানিয়ে দেন, সাকিবকে স্ক্যান করতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই বোঝা যাবে চোটের অভিঘাত কতটা সিরিয়াস।
যাইহোক, সাকিব, মুশফিকুর এবং শেষদিকে রিয়াদের ব্যাটে ভর করে কোনওরকমে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ২৪৫ তুলেছিল। তবে চেন্নাইয়ে এই রান কিউইদের থামানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেই দলকে জিতিয়ে দিলেন। তাঁকে উইলিয়ামসন হাতে বলের আঘাত হজম করে ৭৮ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। ড্যারেল মিচেল ৮৯ করে দলকে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আসা নাজমুল হাসান শান্ত জানিয়েছেন, "আমরা মোটেই ভাল ব্যাট করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। আগের ম্যাচেও প্রথম ১০-১৫ ওভার ভাল ব্যাটিং করতে পারিনি আমরা। উইকেট যথেষ্ট ভাল ছিল। নতুন বলে বোলাররা বাউন্স পেয়েছেন। আমাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে হত। আমাদের পেসাররা ভালো বোলিং করেছে। সবথেকে বড় উন্নতি হয়েছে পেস বোলিং বিভাগেই। তবে আমাদের ব্যাট হাতে আরও ভাল করতে হবে।"