শনিবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে খেলতে নেমে দুঃসহ অভিজ্ঞতার সঙ্গী হলেন বাবর আজম। এতদিন হায়দরাবাদে জামাই আদর পেয়ে এসেছিলেন পাক তারকারা। তবে আহমেদাবাদে ব্লকবাস্টার ম্যাচে খেলতে নেমে দর্শকদের টিটকিরির মুখে পড়লেন পাকিস্তান ক্যাপ্টেন।
যে মুহূর্তে বাবর আজম রোহিতের সঙ্গে টস করতে নামলেন, সেই সময়েই বাবর আজমকে উদ্দেশ্য করে প্রায় এক লাখি জনতা চিৎকার করে উঠলেন, "ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া" শব্দবন্ধনী। টসে জিতেছিলেন রোহিত শর্মা। তিনি বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
প্রেজেন্টার রবি শাস্ত্রী যখন পুনরায় বাবরকে জিজ্ঞাসা করছেন তাঁর দলের একাদশ কেমন হবে? তখন ফের একবার দর্শক পুনরায় চিৎকার করতে থাকে। সেই শব্দবন্ধনীতে চাপা পড়ে গেল বাবরের কথাবার্তা। তবে মেজাজ হারাননি পাক ক্যাপ্টেন। হাসি মুখে তিনি কথা চালিয়ে যান।
বাবর বলে দেন, "আমরাও প্রথমে বল করতে চাইতাম টস জিতলে। জোড়া জয় পেয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং মোমেন্টাম বেশ উঁচুতে। দর্শক ভর্তি এই স্টেডিয়ামে আমরা উপভোগ করতে চলেছি। মাঠে আমরা ভালো খেলতে মরিয়া। বেশ কয়েকটা ভালো অনুশীলন করছি। একই দল নামাতে চলেছি আমরা।"
যাইহোক, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারল না পাকিস্তান। মাত্র ১৯১ রানেই খতম হয়ে গেলেন বাবর আজমরা। শুরুটা খারাপ না করলেও এভাবে যে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ধসে যাবে পাকিস্তান ভাবা যায়নি। দুই ওপেনার ফেরত যাওয়ার পর পাকিস্তানকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাবর আজম-মহম্মদ রিজওয়ান জুটি। তবে বাবর-রিজওয়ানের ৮২ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে যাওয়ার পরেই পাকিস্তান কার্যত ধসে পড়ল। একসময় পাকিস্তান ১৫৫/২ ছিল। সেখান থেকে পাকিস্তান খতম ১৯১-এ! শেষ ৩৬ রানে পাকিস্তান হারাল ৮ উইকেট। এতেই স্পষ্ট বাবরদের ব্যাটিং বিপর্যয়। শার্দূল ঠাকুর বাদে সকল ভারতীয় বোলারই সফল এদিন। সিরাজ, বুমরা, জাদেজা, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ সকলেই দুটো করে উইকেট নেন।
মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাকিস্তানকে প্ৰথমে ব্যাট করতে নামান রোহিত শর্মা। সিরাজ-বুমরার আক্রমণের সামনে পাকিস্তান শুরুটা ভাল করেছিল। বুমরার সামনে খাপ খুলতে না পারলেও সিরাজ পরপর বাউন্ডারি হজম করছিলেন। ইমাম-উল হক এবং শ্রীলঙ্কা ম্যাচের নায়ক আব্দুল্লা শফিক পজিটিভ ভঙ্গিতে শুরু করেন স্লো লো বাউন্স পিচে। এই পিচেই প্ৰথম ভারতকে উইকেট এনে দেন মহম্মদ সিরাজ।
শুরুর স্পেলে খারাপ বোলিং করলেও সিরাজ দ্রুত কামব্যাক করেন। ক্রস সিমে হার্ড লেন্থে বল করে লেগ বিফোর করেন শফিককে। কিছুক্ষণ পরেই হার্দিক পান্ডিয়ার সেই বহু আলোচিত উইকেট।
৭৩/২ হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ম্যাচে ফেরে মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমের পার্টনারশিপে ভর করে। দুজনে যখন ভারতীয় বোলারদের হতাশা বাড়াচ্ছিলেন, সেই সময় ফেলে একবার ঝটকা দেন মহম্মদ সিরাজ। ক্রস সিমেই ফেরান হাফসেঞ্চুরিয়ন বাবর আজমকে। ভাঙন ধরান ৮২ রানের পার্টনারশিপে।
এরপরেই ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তান ভেঙে পড়ল অসহায়ভাবে।