একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেন অভ্যেস করে ফেলেছে জয় শাহের বিসিসিআই। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে পদে পদে ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
জয় শাহের বোর্ড যে বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে প্ৰথম থেকেই ল্যাজে গোবরে দশায় পড়েছে, তা আর নতুন কিছু ব্যাপার নয়। ভেন্যু বাছাই, ধর্মশালার আন্ডার প্রিপেয়ার্ড টার্ফ হোক বা টিকিট কেলেঙ্কারি, সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অনুপস্থিতি গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের মুখ পুড়িয়েছে জয় শাহের বিসিসিআই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না করলেও বোর্ডের তরফে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ভারত-পাক ম্যাচের আগে দর্শকদের মনোরঞ্জন করার জন্য সঙ্গীত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে। যেখানে অরিজিৎ সিং, সুখবিন্দর সিং, শঙ্কর মহাদেবন, নেহা কক্কর, সুনিধি চৌহানের মত বলিউডের নামি-দামি গায়ক-গায়িকাদের।
তবে সেই অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। যে বিশ্বকাপ কোনও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেনি, সেই ইভেন্টে হঠাৎ করেই গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে এরকম জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। দর্শকদের আবেগ, ভিউয়ারশিপের দিক থেকে বিবেচ্য হলে ভারত বনাম পাক দ্বৈরথ বরাবর-ই আলাদা। তবে আয়োজক হিসাবে নিরপেক্ষতার সঙ্গে বিশ্বকাপের সমস্ত ম্যাচ একইভাবে জমকালো করার, প্রমোট করার দায়িত্ব বিসিসিআইয়ের।
তবে নতুন বিতর্ক এই সঙ্গীতানুষ্ঠানের জন্য নয়। এই অনুষ্ঠান মোদি স্টেডিয়ামে মহা সমারোহে করা হল। তবে কোনওরকম সম্প্রচার ছাড়াই। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরই ব্রডকাস্টিং চ্যানেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। স্রেফ মাঠের দর্শকরাই এই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।
যে সময় আবার অনুষ্ঠান হল, তা ম্যাচ শুরু হওয়ার ঘন্টা দেড়েক আগে। সেই সময় অধিকাংশ দর্শকই লাইন দিয়ে মাঠে প্রবেশে ব্যস্ত। তাই অনেকে টিকিট কেটেও অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারলেন না।
এমন কাণ্ডের পরেই গোটা দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলোধোনা করলেন বিসিসিআই এবং আইসিসিকে। কবে টনক নড়বে জয় শাহদের, প্রশ্ন এটাই।