পাকিস্তান: ২৮৬/১০
নেদারল্যান্ডস: ২০৫/১০
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮১ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল পাকিস্তান। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান পুরো পঞ্চাশ ওভার টিকতে পারেনি। ৪৯ ওভারেই ২৮৬ তোলার ফাঁকে সমস্ত উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। পাক ব্যাটিং শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। তবে মিডল অর্ডারে সাউদ শাকিল এবং মহম্মদ রিজওয়ান দলকে বিপদের হাত ঘেকও5 রক্ষা করেন। শেষের দিকে মহম্মদ নওয়াজ এবং শাদাব খান তিরিশ প্লাস স্কোর করে দলকে ২৮৬ পর্যন্ত টেনে দেন।
জবাবে নেদারল্যান্ডস ২০৫-এর বেশি করতে পারেনি। ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং এবং ম্যাক্স ডড শুরুতে আশা জাগিয়েছিলেন। এই জুটিতে ভাঙন ধরান হাসান আলি। এরপরে বাস ডে লিড যোগ দেন বিক্রমজিৎ সিংয়ের সঙ্গে। দুজনে ডাচদের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ডে লিডকে (৬৭) ফেরান মহম্মদ নওয়াজ। বিক্রমজিৎ সিংকে (৫২) আউট করেন শাদাব খান। এরপরে পাকিস্তান বোলিংয়ের সামনে আর কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
নেদারল্যান্ডস টসে জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। শুরুতেই পাক ব্যাটিং জোরালো ধাক্কা খেয়েছিল ফখর জামান, ইমাম উল হক এবং বাবর আজম ৩৮ রানের মধ্যে ফিরে যাওয়ায়। এমন অবস্থা থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধার করেন সাউদ শাকিল (৬৮) এবং মহম্মদ রিজওয়ান (৬৮)। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন। ১২০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজনে। মাঝে ইফতিকার আহমেদ, রিজওয়ান, শাকিল ফিরে যাওয়ার পর পাকিস্তান একসময় ১৮৮/৬ হয়ে গিয়েছিল। শেষদিকে পাক দলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান দুই স্পিনার শাদাব খান (৩২) এবং মহম্মদ নওয়াজ (৩৯)। দুজনে ৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে পাকিস্তানকে রক্ষা করে যান।
শুরুতে ম্যাক্স ও'ডডকে হারাতে হলেও নেদারল্যান্ডসের হয়ে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল একারম্যান এবং বিক্রমজিৎ সিং। একারম্যান আউট হয়ে যাওয়ার পর বাস ডে'লিড ৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দুজনে হাফসেঞ্চুরিও করেন। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল, নেদারল্যান্ডস হয়ত অঘটনের পথে হাঁটছে, সেই সময়েই পরপর উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যায় ডাচ বাহিনী।
১২০/৩ থেকে হঠাৎ করেই ১৫৮/৬ হয়ে যায়। ডে লিড একপ্রান্ত আগলে একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তিনিই বেশিদূর টানতে পারেননি। শেষদিকে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে লোগান ভ্যান উইক দর্শকদের আনন্দ দেন। তবে এতেও ৮১ রানের হার এড়ানো যায়নি।