আইসিসির ডিজিটাল টিমের অংশ হিসাবে ভারতে বিশ্বকাপ কভার করতে এসেছিলেন পাকিস্তানি সঞ্চালিকা জয়নাব আব্বাস। তবে আচমকাই ভারত ছেড়েছিলেন তিনি। রটে গিয়েছিল, তাঁর পুরোনো হিন্দু এবং ভারত বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্যই নাকি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। তারপরেই নাকি আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছিল।
বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র চার দিনের মাথায় গত সোমবার ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন জয়নাব। জল্পনা ছড়ায় তাঁকে হয়ত তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ভারত থেকে। এমনকি পাক সঞ্চালিকা ভারতে পা রাখার পরেই কোর্টে ধর্ম অবমাননার দায়ে মামলা করেন এক ব্যক্তি। পাক প্রচার মাধ্যম দ্য ডন-এ বলা হয়েছিল, নতুন দিল্লিতে এক আইনজীবী জয়নাবের নামে মামলা দায়ের করেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আইনজীবী বিনীত জিন্দাল মামলা করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর পুত্র জয় শাহকে (বিসিসিআই সচিব) চিঠি লিখে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
তাঁর হিন্দু এবং ভারত বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য। এমন জল্পনার মধ্যেই জয়নাব মুখ খুললেন বৃহস্পতিবার। প্ৰথমবার। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্টের জন্য ক্ষমাও চাইলেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে জয়নাব অবশেষে লিখলেন, "আমাকে মোটেও ভারত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। বা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে প্রচার চলচিল তাতে আতঙ্কিত বোধ করছিলাম। আমি, আমার পরিবার, দুই দেশের বন্ধুবান্ধবদের নিরাপত্তার নিয়ে সরাসরি কোনও আশঙ্কা না থাকলেও আমার নিজের জন্য স্রেফ একটু স্পেস দরকার ছিল। কী হতে চলেছে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার প্রয়োজন ছিল।"
"আমার যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ছড়িয়েছে, তাতে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত লাগার জন্য আমি একান্তভাবে দুঃখিত। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, ওই মতামত মোটেই ব্যক্তি হিসেবে আমার এবং নিজস্ব মূল্যবোধকে প্রতিনিধিত্ব করে না।"
২০১৫ থেকেই ক্রীড়া সংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জয়নাব। ২০১৯-এ প্রথমবার পাকিস্তানের কোনও মহিলা সাংবাদিক এবং ধারাভাষ্যকার হিসাবে বিশ্বকাপ কভার করেছিলেন। যাইহোক, শনিবার ভারত-পাক মহারণ আহমেদাবাদে। সেই ম্যাচে থাকা হচ্ছে না জয়নাবের।