এশিয়ান গেমসের ফাইনাল ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। কোনও ফলাফল হয়নি। আফগান ইনিংসের সময়েই বৃষ্টি নামে। তারপরে খেলা পুনরায় আর চালু করা যায়নি। ভেস্তে যাওয়া ম্যাচে ভারতকে সোনাজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়।
আর বিশ্বকাপে নামার ঠিক আগেই এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়া আফগানিস্তান তারকা ফরিদ আহমেদ হতাশা ব্যক্ত করলেন। সটান বলে দিলেন, বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর ভারতের হাতে সোনা তুলে দেওয়া অনৈতিক হয়েছে।
হাংঝৌ এশিয়ান গেমসে ছিলেন। দলকে ফাইনালে পৌঁছতে সাহায্য করেছিলেন। সেই ইভেন্টের পর সরাসরি যোগ দিয়েছেন বিশ্বকাপে। আর ভারত ম্যাচের আগে তিনিই ক্ষোভ প্রকাশ করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলে দিলেন, "সোনার পদককে দু-ভাগে ভাগ করা উচিত ছিল। দুই দলেরই এই পদক প্রাপ্য। অদ্ভুত কারণেই জন্যই ভারত সোনা পেল। বৃষ্টি না হলে ম্যাচ আরও ক্লোজ হতে পারত।"
সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পিছনে মুখ্য ভূমিকা ছিল ফরিদের। ১৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখল করে তিনি পাক ব্যাটিংয়ে মাটিতে শুইয়ে দেন। আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অন্যতম রিজার্ভ তারকা হিসাবে তিনি যোগ দিয়েছেন ভারতে। হাংঝৌয়ে আফগানিস্তান ব্যাটিং করার সময় ১৮.২ ওভার পরে বৃষ্টি নামে। সেই সময় আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ১১২/৫। ভারতকে সোনা দেওয়ার পিছনে কারণ ছিল টিম ইন্ডিয়া যেহেতু ক্রমতালিকায় আফগানিস্তানের থেকে এগিয়ে, তাই এককভাবে সোনা দেওয়া হয় রুতুরাজ গায়কোয়াডের নেতৃত্বাধীন দলকে।
এশিয়ান গেমসে খেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফরিদ জানাচ্ছেন, "এশিয়ান গেমসে খেলে দারুণ অভিজ্ঞতা হল। মাঠ ভীষণ ছোট ছিল। এছাড়া চিনা দর্শকরাও বেশ মজাদার ছিল। আমাদের খেলা দেখতে ওঁরা বেশ উত্তেজিত ছিল। ছক্কা হোক, বা বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি- সবেতেই ওঁরা হাততালি দিচ্ছিলেন। ওঁদের জন্যও এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল।"
এশিয়ান গেমসে আফগানিস্তানেইলর অধিনায়ক গুলাবদিন নাইব, শারাফুদ্দিন আশরাফ এবং ফরিদ খান ইভেন্ট শেষের পরেই মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে চলে আসেন। বল হাতে ফরিদকে বেশ ক্ষিপ্র দেখাল। এমনকি দলের তারকা উইকেটকিপার ব্যাটার রহমনুল্লাহ গুরবাজকেও ব্যতিব্যস্ত করলেন বেশ কয়েকবার। একবার তো স্ট্যাম্পই উড়িয়ে দিলেন। মজা করে তিনি এরপরে বলে দিলেন, "কেকেআরের তারকা ব্যাটারকে আউট করলাম। এবার গুজরাট টাইটান্স-এর সহ অধিনায়ককে (রশিদ খান) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ব। রশিদকে আউট করলে গুজরাট টাইটান্স কি আমাকে নিলাম থেকে কিনবে?"