বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থবারের মত আয়োজক দেশের দায়িত্বে ভারত। এবারের বিশ্বকাপের এককভাবে আয়োজক দেশ ভারত। সমস্ত ম্যাচই হবে দেশের মাটিতে। আর স্টেডিয়ামে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান মিস করতে চাইছেন না কোনও সমর্থকই। ফলাফল একটাই, টিকিটের জন্য অতলান্ত হাহাকার। যা এখন মর্মভেদী কান্নায় পর্যবসিত।
গ্রুপ পর্বে ভারত দেশের নয় ভেন্যুতে খেলবে। অক্টোবরের ৮ তারিখে এবারের আয়োজক দেশ মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। চেন্নাইয়ে। বেঙ্গালুরুতে ভারত গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
শেষবার ভারত যখন বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল, তখন খেতাব জিতে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারেও রোহিত শর্মার দল কাপ জয়ের একনম্বর ফেভারিট। আর ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছেও টিকিটের জন্য হাহাকার জুড়ে দিয়েছেন সমর্থক থেকে বন্ধুবান্ধবরা।
কোহলিও এর ব্যতিক্রম নন। তার কাছেও টিকিটের জন্য আবদার জুড়ে দিয়েছেন ঘনিষ্ঠ বৃত্তের বন্ধুবান্ধবরা। এতেই কোহলি নিজের ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে লিখতে বাধ্য হলেন। পরামর্শ দিলেন, "ঘর থেকেই খেলা উপভোগ কর। ওয়ার্ল্ড কাপের দিকে যতই আমরা অগ্রসর হচ্ছি, সকলের কাছে সবিনয়ে নিবেদন করছি, অনুগ্রহ করে আমার কাছে টিকিট চেও না। ঘর থেকেই ম্যাচ উপভোগ করো, প্লিজ।"
১০ দলের অংশগ্রহণকারী এই টুর্নামেন্টের সমস্ত দলের বিপক্ষেই খেলবে ভারত। তারপর পয়েন্ট তালিকায় প্ৰথম চারের মধ্যে থাকতে হবে। তারপরেই মিলবে সেমিফাইনালে খেলার টিকিট। ২০১৯-এ এই ফরম্যাটেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারত সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয় সেবার।
যাইহোক, টিকিটের অপর্যাপ্ততা নিয়ে ক্রিকেট সমর্থকদের রোষানলে বিসিসিআই এবং আইসিসি। টিকিটের ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্যই বোর্ড এবং আইসিসির তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে। ওয়াংখেড়েতে এবার পাঁচটা ম্যাচ হবে। ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পাশাপাশি একটি সেমিফাইনাল আয়োজনের দায়িত্বও পেয়েছে ওয়াংখেড়ে। সেই জন্যই মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা অতিরিক্ত আরও ৯০০০ টিকিট ছাড়তে চলেছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের অসিফিয়াল টিকেটিং পার্টনার বুকমাইশো থেকে সরাসরি টিকিট কাটা যাবে।