ধোনি শেষ বলে ভরসা রেখে বল তুলে দিয়েছিলেন। তিনিই ভারতকে প্রথমবার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ এনে দিয়েছিলেন। সেই যোগিন্দর শর্মা ফের একবার ত্রাতার ভূমিকায়। যাকে স্যালুট করছে আইসিসিও। বর্তমানে পুলিশের কর্তব্যরত আধিকারিক হিসাবে করোনা মোকাবিলায় যেভাবে অক্লান্ত ভাবে কাজ করে চলেছেন প্রাক্তন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা, তাকেই কুর্নিশ করছে বিশ্ব।
আইসিসি শনিবার যোগিন্দর শর্মাকে নিয়ে একটি টুইট করে। যোগিন্দরের দুটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। বাঁ দিকের ছবিটি বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তের। ডান দিকের ছবিতে দেখা যাচ্ছে পুলিশের উর্দি পরে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
*Prevention is the only cure for Coronavirus,Let’s be together and fight with this Pandemic situation..Please cooperate with us* Jai Hind pic.twitter.com/Cl36TanfJP
— Joginder Sharma (@jogisharma83) March 24, 2020
আইসিসি নিজেদের টুইটে লিখেছে, “২০০৭: বিশ্বকাপ নায়ক। ২০২০: বিশ্বের প্রকৃত নায়ক। গোটা বিশ্বের সার্বজনীন সংকটের মধ্যে যাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তাঁদের মধ্যে ক্রিকেট পরবর্তী অধ্যায়ে যোগিন্দর শর্মাও রয়েছেন।”
যোগিন্দরের এই ছবি সামনে আসার পরই ক্রিকেট বিশ্বে প্রশংসার বন্যা। যোগিন্দর দক্ষিণ আফ্রিকায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে দুরন্ত বল করে ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন। তিনি নিজের নতুন দায়িত্বের কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, “২০০৭ সাল থেকেই ডিএসপির দায়িত্বে রয়েছি। পুলিশ হিসাবে এখন এই দায়িত্ব সামলানো নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। যদিও আগে অনেক চ্যালেঞ্জ সামলেছি।”
2007: #T20WorldCup hero ????
2020: Real world hero ????In his post-cricket career as a policeman, India’s Joginder Sharma is among those doing their bit amid a global health crisis.
[???? Joginder Sharma] pic.twitter.com/2IAAyjX3Se
— ICC (@ICC) March 28, 2020
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে প্রাক্তন এই অলরাউন্ডার বলেছেন, “আমাদের ডিউটি শুরু হয় সকাল ৬টায়। গোটা এলাকায় আমরা পেট্রলিং করে থাকি। লোকজনদের সচেতন করার পাশাপাশি দুঃস্থদের সাহায্য করা, যারা মজা করার জন্য রাস্তায় বেরোয় তাদের বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানো, অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া সবই আমরা করে থাকি।”
৩৬ বছরের তারকা বর্তমানে হিসারে রয়েছেন লক ডাউন চলাকালীন পর্যবেক্ষক হিসাবে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশে লক ডাউন জারি করা হয়েছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ২০ হাজারেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন মারণ ভাইরাসের প্রকোপে।