গত মে মাসে কাতারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আল জাজিরা’র স্টিং অপারেশনে উঠে এসেছিল ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ৫৪ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘ক্রিকেট’স ম্যাচ-ফিক্সার্স’-এ আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল ক্রিকেটবিশ্বে। রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে আইসিসি-র। একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।
এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অন্যতম মূল চক্রী ছিলেন অনিল মুনাওয়ার। এমনকি আল জাজিরা তাদের দ্বিতীয় তথ্যচিত্র এই মানুষটিকে মাথায় রেখেই করতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। আইসিসি-র দুর্নীতি দমনশাখা, এসিইউ (অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট) এই সন্দেহভাজন ফিক্সার মুনাওয়ারের তথ্য জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এজন্যই তারা টুইটারে ও অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মুনাওয়ারের ছবি ছাপিয়ে তাঁর সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহের জন্য জনগণের দ্বারস্থ হয়েছে। এসিইউ-র তদন্তেরই একটা অংশ এটা। যোগাযোগের জন্য আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে হটলাইন নম্বর ও মেইল আই-ডি দিয়েছে।
আইসিসি-র জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলছেন, “আসল তথ্যচিত্রে দেখানো প্রত্যেককেই আমরা সনাক্ত করেছি। ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে তাঁদের অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। মুনাওয়ার আমাদের কাছে একটা রহস্য। এই পুরো বিষয়টায় ওর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা আইন প্রয়োগকারী ও অভিবাসনের সূত্র ধরেও তাঁর হদিশ পাইনি। সেই জন্যই আমরা জনগণের কাছে আবেদন করেছি যাতে কেউ যদি কোনও তথ্য দিয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারে।” আইসিসি আলজাজিরার সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে র ফুটেজ ও অনান্য তথ্যের জন্য।
আরও পড়ুন: ভারতে ম্যাচ-ফিক্সিংয়ে জড়িত দু’জন অস্ট্রেলীয়, তিনজন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার?
আল জাজিরার তথ্যচিত্রে উঠে এসেছিল যে, ভারতে ম্যাচ-ফিক্সিংয়ে জড়িত দু’জন অস্ট্রেলীয় ও তিনজন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার রয়েছে। যদিও কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম উঠে আসেনি। কিন্তু ম্যাচ ফিক্সার হিসেবে মুম্বইয়ের প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার রবিন মরিস ও প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার হাসান রাজার নাম উঠে এসেছে। এছাড়াও দুবাইয়ের ব্যবসায়ী গৌরব রাজকুমারেরও যোগ রয়েছে ম্যাচ গড়াপেটায়। শোনা যাচ্ছে এঁরা প্রত্যেকেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পাশাপাশি পিচ বিকৃত করার জন্য মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সাহায্য চেয়েছিলেন।