- ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপে থাকছে পাঁচটি করে দল। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সুপার এইটে যাবে।
- গ্রুপ এ: ভারত, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- গ্রুপ বি: ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান
- গ্রুপ সি: নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি
- গ্রুপ ডি: দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল
শুক্রবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করেছে। বহুদেশীয় এই টুর্নামেন্টে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহ-আয়োজক। মোট ২০টি দল টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার আইসিসির কোনও বড় টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে। মোট ১৬টি ম্যাচ হবে। যার মধ্যে আটটি ম্যাচ নিউইয়র্কে মডুলার ব্যবস্থায় হবে। নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেটির নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি, সেখানে ৯ জুন হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। পাকিস্তানের খেলা ছাড়াও, শেষ হওয়ার আগে ভারত একই মাঠে আয়ারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলবে। ফ্লোরিডায় গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে কানাডার বিরুদ্ধে।
নিউইয়র্কের উপকণ্ঠে একটি মডুলার ব্যবস্থা করতে ৩০ মিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে। এই অস্থায়ী কাঠামো, এক সপ্তাহ পরে ভেঙে দেওয়া হবে। স্থায়ী কাঠামো তৈরির জন্য বিপুল আর্থিক খরচ। তাই সেই রাস্তায় হাঁটছেন না আয়োজকরা। ভেন্যু হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেওয়ার কারণ, আইসিসি ক্রিকেটকে বিভিন্ন দেশে প্রসারিত করতে চায়। সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই আইসিসির পাখির চোখ। যদিও, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ম্যাচের যে সময় বাছা হয়েছে, তাতে স্থানীয় দর্শক পাওয়া মুশকিল। প্রতিটি স্টেডিয়ামে দর্শকাসন সংখ্যা থাকবে ৩০ হাজার। আর, সেখানকার ম্যাচগুলো হবে ভারতীয় প্রাইম টাইমে। সেক্ষেত্রে বাইরের দেশের দর্শকরাই দর্শকাসন ভরাবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
তার মধ্যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হতে পারে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে। কিন্তু, যেখানে খেলা হবে, সেই নাসাউ কাউন্টি নিউ ইয়র্ক শহর থেকে বেশ দূরে। সেখানে যাওয়ার দ্রুততম উপায় হল নিজস্ব যানবাহন। আর, ট্রেন এবং বাস মিলিয়ে গেলে সময় লাগবে প্রায় এক থেকে দুই ঘণ্টা। ম্যাচের দিনগুলোতে যানজট বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। তাই নাসাউ কাউন্টির দিকে যাওয়ায় সময় বেশি লাগবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'অনেকে হয়তো ভাবছেন, জায়গাটা নিউ ইয়র্ক শহরের কাছে। কিন্তু, তা নয়। অনেকটাই দূরে। নিউ ইয়র্কে লোকজন পাতাল রেলের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। কিন্তু, নাসাউ কাউন্টিতে সেটা হয় না। বাসে গিয়েও আইজেনহাওয়ার পার্কে যেতে হাঁটতে হবে। ম্যাচগুলো হবে সকালে। মানে, স্থানীয়দের উইকেন্ড-এ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে। সেটা কার্যত অসম্ভব। তাই, স্থানীয় দর্শক পাওয়া কঠিন।'
শুধু স্থানীয় দর্শক না-পাওয়াই নয়। মাঠের অবস্থাও তথৈবচ। এখন পর্যন্ত মাঠের যে ছবি পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে তা, ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়নি। বর্তমানে তা সবুজ খোলা মাঠের পর্যায়ে রয়েছে। আইসিসি অবশ্য আশাবাদী, উপযুক্ত সময়ের মধ্যেই যাবতীয় ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ড্রপ-ইন পিচ ব্যবহার করা হতে পারে। ইতিমধ্যে বিসিসিআই সচিব জয় শাহের নেতৃত্বাধীন আইসিসির আর্থিক কমিটিও গোটা ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কারণ, অনেক খরচা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেট দলগুলোর অনুশীলনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। আইসিসি অবশ্য জানিয়েছে, ডালাস, ফ্লোরিডা এবং নিউ ইয়র্কের কাছাকাছি বিভিন্ন জায়গায় এই সুবিধা আছে। তবে, সেটা কতটা সত্যি তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।