ICC U-19 World Cup, IND u19 vs BAN U19: ভারত বনাম বাংলাদেশ মাঠে মুখোমুখি হলেই মারকাটারি প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়। ক্রিকেট হোক বা ফুটবল- ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। যুব বিশ্বকাপেও সেই ট্রেন্ড বজায় থাকল। তবে ভারতের সঙ্গে আগ্রাসী হতে গিয়ে ম্যাচ থেকেই হারিয়ে গেল যুব টাইগাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপের প্ৰথম ম্যাচে শুরুটা ভালোই করেছে টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশকে ৮৯ রানে হারিয়ে দিয়ে সহজ জয় পেয়েছে। প্ৰথমে ব্যাট করে ভারত ২৫১ তুলেছিল ওপেনার আদর্শ সিং এবং ক্যাপ্টেন উদয় শরণ-এর হাফসেঞ্চুরির দৌলতে।
ভারত পাওয়ার প্লেতেই আর্শিন কুলকার্নি এবং মুশির খানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল। তবে ভারতকে ম্যাচে ফেরায় আদর্শ-উদয়ের ১১৬ রানের পার্টনারশিপ। এই জুটি ক্রিজে দুর্দান্ত খেলার সময়েই বিতর্ক। বাংলাদেশি অধিনায়ক আরিফুল ইসলাম এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বির সঙ্গে সরাসরি ঝামেলা লেগে যায় উদয় শরণের। শেষে আম্পায়ারকে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়।
ভারতীয় ইনিংসের ২৫ তম ওভারে দ্বিতীয় ডেলিভারির ঘটনা। সেই সময় বল করছিলেন বাংলাদেশের স্পিনার আরিফুল ইসলাম। ফুল লেংথের একটি বল উদয় সাহারান শর্ট ফাইন লেগে পাঠিয়ে সিঙ্গলস নেন। এতেই আচমকা হতাশ হয়ে আরিফুলকে কিছু একটা বলতে দেখা যায়।
এতে পাল্টা দেন টিম ইন্ডিয়া ক্যাপ্টেন-ও। এতে আরও উত্তেজনা বাড়ে। শেষে আম্পায়ার পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসতে হয়।
উস্কানি ছিল বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটারদের-ই। ভারতের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পেসার মারুফ মৃধা কুৎসিতভাবে প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার অঙ্গভঙ্গি করছিলেন। এতে পরিস্থিতি আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল। তাতে ঘি ঢালার কাজ করেন আরিফুলের উস্কানি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের প্ৰথম ম্যাচেই ল্যাজ কাটল বাঘের! নাগিন-দেশকে লজ্জা দিয়ে হারাল ভারত
ভারতের চ্যালেঞ্জিং স্কোর চেজ করতে নেমে ১৬৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি টাইগাররা। স্পিনার সৌম্য পান্ডে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ৪ উইকেট নিয়ে। মুশির খান নেন ২ উইকেট। বাকি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন লিম্বানি, প্রিয়াংশ মোলিয়া এবং আর্শিন কুলকার্নি।
মুশির খান এই জুটিতে ভাঙন ধরানোর পরেই বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। শেষ ৬ উইকেট হারায় স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যোগ করার ফাঁকে।
যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। বিশ্বকাপের প্ৰথম ম্যাচেই সেই হারের প্রতিশোধ নিল টিম ইন্ডিয়া, একেবারে সুদে-আসলে।
স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তোলার ফাঁকেই বাংলাদেশ টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। পঞ্চম উইকেটে শিহাব জেমস এবং আরিফুল ইসলাম ৭৭ রান যোগ করলেও কাজের কাজ হয়নি।