পাকিস্তান: ১৫৫/১০
বাংলাদেশ: ১৫০/১০
ICC U-19 World Cup, BAN u19 vs PAK U19 Super Six stage: ভারত ২৪ ঘন্টা আগেই সুপার সিক্স পর্ব থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছনোর টিকিট কেটে ফেলেছে নেপালকে হারিয়ে। গ্রুপ-এ'র দ্বিতীয় দল হিসেবে কে শেষ চারে পৌছবে, তা ঠিক করার ম্যাচ ছিল শনিবারের পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ। আর যুব বিশ্বকাপের এই ম্যাচেই লো স্কোরিং থ্রিলারে জিতে সেমিতে চলে গেল পাকিস্তান। টানটান ম্যাচে পাকিস্তানের জয় এল মাত্র ৫ রানে।
ম্যাচের পেন্ডুলাম কখনও পাকিস্তান, কখনও আবার বাংলাদেশের দিকে ঢলল। অল্প রান তাড়া করতে নেমে বারবার উইকেট এবং ছোট ছোট পার্টনারশিপে কার্যত লক্ষ্য পূরণ করেই ফেলেছিল টাইগাররা। তবে শেষ হাসি হাসল পাকিস্তানই।
নাসিম শাহের ভাই উবেইদ শাহকে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা ধরা হচ্ছে। কেন, প্রমাণ করে গেলেন এই ম্যাচেই। তাঁর পাঁচ উইকেটে ভর করেই গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করল পাকিস্তানের অনুর্দ্ধ-১৯ দল।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণি পিচ কেন হচ্ছে বারবার! জয় শাহের বোর্ডকে বেনজির আক্রমণ সৌরভের, তুঙ্গে ক্ষোভ
ডু অর ডাই ম্যাচে নামার আগে সুবিধাজনক জায়গায় ছিল পাকিস্তান-ই। তিনটে ম্যাচ জিতে ছয় পয়েন্ট আগেই অর্জন করে ফেলেছিল পাক দল। অন্যদিকে, বাংলাদেশের যুবারা সংগ্রহ করেছিল ৪ পয়েন্ট। পাকিস্তানকে হারালেও টাইগারদের সেমিতে পৌঁছনো এমনিতেই কঠিন ছিল রান রেটের কারণে।
পাকিস্তানের রান রেট (১.০৬৪) পেরোনোর জন্য বাংলাদেশকে (০.৩৪৮) বড়সড় ব্যবধানে জিততে হত। তবে তা আর হল কই!
টসে জিতে বেনোনিতে প্ৰথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্ধেক কাজ সেরেই দেন তাঁদের বোলাররা। শক্তিশালী পাকিস্তানের ব্যাটিংকে মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন যুব টাইগাররা। পাক ব্যাটারদের মধ্যে ওপেনার শাহজাইব খান (২৬) এবং সাতে নামা আরাফাত মিনহাস (৩৪) বাকি ব্যাটাররা কেউ ২০-র গন্ডিও পেরোতে পারেননি। রোহানাত দৌল্লা বরসন এবং শেখ পারভেজ জীবন দুজনেই ৪টে করে উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন পাক ব্যাটিং লাইনআপকে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ কখনই স্বস্তিতে ছিল না। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। তবে ম্যাচ তখনও বাংলাদেশের অনুকূলে ছিল। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিন-আরিফুল ইসলাম ২৯ রান যোগ করেন। তবে পরপর দুই ওভারে দুজনে আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান। কিছুক্ষণ পর জীবন-ও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন।
৮৩/৬ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ প্রবলভাবে ম্যাচে ফেরে শিহাব জেমস এবং মাহফুজুর রহমানের জুটিতে। দুজনে সপ্তম উইকেটে ৪০ রান যোগ করে পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছিলেন। তবে জেমস এবং মাহফুজুর রহমান পরপর দু ওভারে আউট হতেই ভাবা হয়েছিল খেল খতম বাংলাদেশের। তবে দশম উইকেটে শেষদিকে বরসন ২৪ বলে ২১ করে বাংলাদেশকে প্রায় একাই সেমিতে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তবে মারুফ মৃধাকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেন মহম্মদ জিশান।