ICC World Cup 2019, Australia vs West Indies Highlights: প্রথম ম্য়াচে পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের কাছে এসেও ম্যাচ হাতছাড়া করলেন ক্যারিবিয়ানরা। অজি বনাম ক্যারিবিয়ান যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ানদের জয় এল ১৫ রানের ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ানদের ব্যাটে বলে নায়ক যথাক্রমে নাথান কুইল্টার নাইল ও মিচেল স্টার্ক। প্রথম জন ৬০ বলে ৯২ রান করে দলকে ২৮৮ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। দ্বিতীয় জন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বল হাতে ক্যারিবিয়ানদের ব্য়াটিং লাইন আপ ভাঙলেন। নিলেন পাঁচ উইকেট।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে একসময় অস্ট্রেলিয়া ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেখান থেকে অজিদের ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক স্মিথ। ক্রমাগত উইকেট পতনের মুখে দাঁড়িয়ে একপ্রান্তে শিট অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করে ১০৩ বলে ৭৩ করে যান। তাঁকে ইনিংস গড়তে যোগ্য সহায়তা করেন উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারে (৪৫)।
Australia vs West Indies Highlights, Australia vs West Indies 2019 World Cup 2019
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়মিত উইকেট হারালেও জয়ের নির্দিষ্ট পথেই ছিল। সাই হোপ (৬৮) একপ্রান্তে টিকে ছিলেন। অন্যপ্রান্তে নিকোলাস পুরান (৪০), হেটমায়ার (২১)-দের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভাল এগিয়েও নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারপর খেলা ধরেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (৫১)। তবে ব্রেথওয়েটের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে নিশ্চিত জয়ের পথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন। তবে স্টার্ক পরপর ফিরিয়ে দেন হোল্ডার, ব্রেথওয়েট এবং কটরেলকে। তারপরে আর পারেনি ক্যারিবিয়ানরা।
Live Blog
Australia vs West Indies Live Scorecard, Australia vs West Indies 2019 World Cup 2019
গতকাল জিতেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে জয় ছিনিয়ে এনেছে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। হাতে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। বল হাতে কামাল করেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। একাই তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। ব্যাট হাতে শাসন করেছেন রোহিত শর্মা। সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ ওভারে ২৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রান দূরে ২৭৩ রানেই থেমে যেতে হল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। স্টার্কের এক ওভারে ব্রেথওয়েট ও হোল্ডারের ফিরে যাওয়াই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন নার্স ও ওশানে থমাস। ম্য়াচের সেরা কুইল্টার নাইল।
কটরেলের উইকেট ছিটকে দিলেন স্টার্ক। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট দখল করলেন স্টার্ক। ১০ ওভারের কোটা শেষে ৪৬ রান খরচ করে তুলে নিলেন ৫ উইকেট। হাতে ১ উইকেট ক্যারিবিয়ানদের। ৪৮ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ । ১২ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৩ রান।
উত্তেজক ম্যাত পেন্ডুলামের মতো দুলছে। ব্রেথওয়েট-হোল্ডারের ৩৬ রানের পার্টনারশিপ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছিল। তখই স্টার্কের ওভারে পরপর আউট ব্রেথওয়েট ও হোল্ডার। প্রথমে লং অনে ক্যাচ তুলে বিদায় ব্রেথওয়েটের। তারপরে চালাতে গিয়ে আউট হোল্ডার। হঠাৎ অনিশ্চয়তার আমদানি এই ম্য়াচে। ৪৬ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানরা ২৫২ ।২৪ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৭ রান।
ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট! হাফসেঞ্চুরি করে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন জেসন হোল্ডার (৫৪ বলে ৫১)। ব্রেথওয়েট ১৫ বলে ১৬ রান করে ব্যাট করছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩০ বলে তুলতে হবে ৩৮ রান। হাতে ৪ উইকেট।
৪০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২২১ । হাতে ৪ উইকেট। এর মধ্যেই ক্যারিবিয়ানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৬৮ রান।
শুরু থেকেই ঝড়ের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। ১১ বলে ১৫ রান করে আউট সুপারস্টার। এর মধ্যেই জোড়া বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাকিয়েছেন তিনি। ফেরালেন স্টার্ক। লেগ স্ট্যাম্পের ইয়র্কার লেংথের বল হাকাতে গিয়ে ডিপ মিড অফে ক্যাচ আউট তিনি। পিছনে দিকে ছুটে দুরন্ত ক্যাচ ধরলেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিজে ব্রেথওয়েট। তবে এর মধ্যেই ওয়ান ডে কেরিয়ারে ১০০০ রান পূর্ণ করে নিলেন তিনি।
পাঁচবার ডিআরএস নিয়ে বাঁচলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা।
একদিকে টিকে গিয়েছিলেন সাই হোপ (৬৮)। তিনি এবার বিদায় নিলেন। সেই সঙ্গে বাঁচলেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডারও (২৪ বলে ২৪)। প্যাট কামিন্স বড় ঝটকা দিলেন সাই হোপকে আউট করে। হোল্ডারকে রিভিউ নিয়ে বাঁচতে হল। ক্রিজে আন্দ্রে রাসেল। নাইটদের একের পর এক ম্যাচ জিতিয়েছেন। তিনি কী পারবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঙ্খিত ফিনিশিং টাচ দিতে। ৩৬ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯১ । ৮৪ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৯৮।
খেলা ধরে নিয়েছিলেন হেটমায়ার। সাই হোপের সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপও গড়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবে বেশিক্ষণ টিকলেন না তিনি। ২৮ বলে ২১ রান করে রান আউট হয়ে গেলেন তিনি। ক্রিজে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (৭), যিনি আবার আউট হয়ে যাওয়ার পরে রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন। ৩০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬০। শেষ ২০ ওভারে ১২৯ তুলতে হবে তাঁদের। এর মধ্যে ওপেনার সাই হোপ হাফসেঞ্চুরি করে ব্যাট করছেন।
পুরান আউট হওয়ার পরে এবার হেটমায়ারও নজর কাড়ছেন। শিট অ্যাঙ্কর হিসেবে একপ্রান্ত ধরে রেখেছেন সাই হোপ (৭০ বলে ৩৯ রান)। অন্যদিকে, রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন হেটমায়ার (২৮ বলে ২১ রান)। ২৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৮। হাতে রয়েছে এখনও ৭ উইকেট।
ব্য়াট হাতে মাঠ মাতাতে না পারলেও গেইল রেকর্ড গড়ে ফেললেন।
স্টার্ক বনাম গেইলে প্রাথমিকভাবে গেইল জিতলেও, শেষমেষ সেই আউট গেইল। তৃতীয়বার ডিআরএসের আবেদন বাঁচাতে পারল না কিং হেনরিকে। দেখে নিন ভিডিও।
৬৮ রানের পার্টনারশিপে ভাঙন! ফিরে গেলেন ফর্মে ব্যাট করতে থাকা নিকোলাস পুরান (৩৬ বলে ৪০)। গেইল আউট হওয়ার পরে পুরান-সাই হোপ (৫৯ বলে ২৭) ধীরে ধীরে খেলা ধরে নিয়েছিলেন। তবে দলীয় ৯৯ রানে আউট হয়ে ফিরলেন পুরান। আত্মবিশ্বাসী মেজাজে ব্যাট করছিলেন তরুণ তুর্কি। জাম্পার বল এক্সট্রা কভার এরিয়ার উপর দিয়ে পাঠাতে গিয়ে অ্যারন ফিঞ্চের হাতে ক্যাচ তুলে আউট তিনি। ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০২। ক্রিজে এলেন হেটমায়ার।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে একপ্রান্তে শিট অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করলেন স্মিথ। তাঁর দেখানো পথেই প্রত্যাবর্তন অস্ট্রেলিয়ার।
৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। সেখান থেকে দলের উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন নিকোলাস পুরান (১৯ বলে ২৯) ও সাই হোপ (৩৭ বলে ১১)। ইতিমধ্যেই ৪১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছেন দু-জনে। ১৩ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭২। প্যাট কামিন্স বলে আগুন ঝড়াচ্ছেন। ৪ ওভারের প্রথম স্পেল শেষে ৩ ওভার-ই মেডেন তাঁর।
স্টার্কের আগের ওভারে জোড়া রিভিউয়ে জয়ী হয়েছিলেন গেইল। তবে স্টার্কের বিরুদ্ধে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না তিনি। ১৭ বলে ২১ রান করে আউট তিনি। গেইলের বিরুদ্ধে ফুল লেংথের বল অস্ত্র করেছিলেন স্টার্ক। এবারেও সেই বল সরাসরি প্যাডে আছড়ে পড়েছিল। তবে রিভিউ নিয়েও আর রক্ষা পাননি তারকা। দেখা যায় বল উইকেটে লাগার আগে তাঁর প্যাডে আছড়ে পড়ে। ৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১ রান, ২ উইকেটের বিনিময়ে।
আগের ওভারেই জোড়া রিভিউয়ে নিজে নির্ভুল প্রমাণিত হয়েছেন। তারপরেই প্যাট কামিন্সের উপরে প্রহার শুরু করলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। কামিন্সের চতুর্থ ওভারে তিনটে বাউন্ডারি সমেত তুললেন ১৫ রান! বিধ্বংসী গেইলকে পাওয়া যাবে, আজকের ম্যাচে? আর গেইল এদিনই পৌঁছে গেলেন নয়া মাইলস্টোনে। বিশ্বকাপে ১০০০ রান পূর্ণ করে ফেললেন তিনি।
যত নাটক নটিংহ্যামে। মিচেল স্টার্ক দু-বার 'আউট' করলেন গেইলকে। তবে দু-বারই রিভিউয়ে গেইল নট আউট প্রমাণিত হলেন। প্রথমে গেইলকে কট বিহাইন্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে আত্মবিশ্বাসী গেইল সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউয়ের আবেদন জানান। দেখা যায়, বল ব্য়াট স্পর্শ করেনি। ঠিক একবল পরেই স্টার্কের ইয়র্কার সরাসরি পায়ে আছড়ে পড়ে গেইলের। লেগ বিফোর দেওয়ার পরে গেইল ফের একবার ডিআরএস নেন। দেখা যায়, বল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী গেইল জমজমাট শুরুতেই।
বল হাতে প্রথম ওভারেই আগুন ছড়ালেন প্যাট কামিন্স।
দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় এভিন লুইসের। প্রথম ওভারে মিচেল স্টার্ক ৭ রান খরচ করেছিলেন। দ্বিতীয় ওভারেই এসে প্যাট কামিন্স ফেরালেন লুইসকে। ওভারে কোনও রান না দিয়েই। এমনিতে অস্ট্রেলিয়া চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম বড়সড় প্রত্যাবর্তনের নজির গড়েছে। ৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে প্রায় তিনশো রান স্কোরবোর্ডে তুলেছেন অজিরা। তারপরে বল হাতে এসেই ঝলক। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন সাই হোপ। ২ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানরা ১ উইকেট হারিয়ে ৭ রান।
৭৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলটা শেষ পর্যন্ত ২৮৮ রান তুলল। সৌজন্য়ে ন্য়াথান কুল্টার নাইল (৬০ বলে ৯২) ও স্টিভ স্মিথ (১০৩ বলে ৭৩)। একসময় অস্ট্রেলিয়া ১৫০ রান তোলা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে অজিদের দুরন্ত কামব্যাক বুঝিয়ে দিল কেন তারা পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল। আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরেই মাঠে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আপাতত সাময়িক বিরতি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার লাইভ ব্লগে ম্যাচের সব আপডেট ও ছোট-বড় ঘটনার বিবরণ থাকবে আপনার জন্য়।
ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো! নটিংহ্য়ামের রঙ মেরুন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে নিল অষ্টম উইকেট। কোটরেলে বলে ফিরে গেলেন কামিন্স। মাত্র ২ রান যোগ করেছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস প্রায় শেষের পথে। ৪৭ ওভারে ২৭৭ রান তুলল তারা। হাতে আর অন্তিম তিন ওভার। অজিদের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন দেখল ট্রেন্ট ব্রিজ।
অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে। সম্ভবত টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ক্যাচটা নিয়ে ফেললেন কোটরেল। লং লেগে স্মিথের বল প্রায় বাউন্ডারি লাইন থেকে এক হাতে ছোঁ মেরে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তারপর বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারসাম্য হারিয়ে তিনি বাউন্ডারি পার করে যেতে পারেন। পরিস্থিতি বুঝেই বলটিকে শূন্যে তুলে দিয়ে ফের বাউন্ডারির ভিতর থেকে বাইরে এসে ক্যাচটি নেন। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তও উইন্ডিজের সঙ্গেই গেল। অস্ট্রেলিয়া সাত উইকেট হারিয়ে ৪৫ ওভারে ২৫২ রান তুলল। ওশেন থমাসের বলে স্মিথের ইনিংস থামল ৭৩ রানে। আজ অনবদ্য ক্রিকেট উপহার দিয়েছেন তিনি। এখন শেষ পাঁচ ওভারে কুল্টার-নাইলের সঙ্গে প্যাট কামিন্স।
একসময় ৭৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল অস্ট্রেলিয়া। তাঁরা ১৫০ রান করতে পারবে কি না তাই নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছিল। কিন্তু স্টিভ স্মিথ আর ন্যাথান কুল্টার-নাইল এসে ম্য়াচের রঙটাই বদলে দিলেন। ১০০ রানের পার্টনারশিপ করে ফেললেন তাঁরা। ৪৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর নিয়ে গেলেন ২৪৫ রানে। শেষ ৬ ওভার রয়েছে অজি ইনিংসের। শেষ ৫ ওভারে ৮.৬০-এর গড়ে ৪৩ রান উঠেছে। এখন একটা ভদ্রস্থ স্কোরের আশা করতেই পারেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার।
ফিফটি! প্রত্য়াশিত অর্ধ-শতরান পেয়ে গেলেন স্টিভ স্মিথ। প্রয়োজনে নিজের জাত চেনালেন অস্ট্রেলিয়ার এই বিশ্ববন্দিত ব্যাটসম্য়ান। ২০১৭-র সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম ওয়ান-ডে হাফ সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। মাঝে এক বছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিলেন স্মিথ। স্যান্ডপেপারগেট কাণ্ডে মুখ পুড়িয়ে বাইশ গজ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এদিন ট্রেন্ট ব্রিজে ৭৭ বলে ৫০ করলেন স্মিথ। খেলছেন নিজের চেনা ছন্দেই। ৩৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া তুলল ১৮৯ রান। তাদের হাতে আর শেষ ১৩ ওভার।
অবেশেষে স্মিথ-ক্যারির জুটি ভাঙতে পারল উইন্ডিজ। ক্যারির উইকেটটি তুলে নিলেন রাসেল। ফের ম্য়াচে উইন্ডিজরা। ৩১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান তুলল ক্য়ারিবিয়ানরা। ৫৫ বলে ৪৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন ক্যারি। প্রায় হাফ-সেঞ্চুরি করেই ফেলেছিলেন তিনি। ড্রে রাসের ১৩২ কিমি বেগে ধেয়ে আসা বলে হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ক্যারি। ক্রিজে স্মিথের নতুন সঙ্গী কুল্টার-নাইল। অস্ট্রেলিয়ার হাতে আর অন্তিম ১৯ ওভার। ক্যারিবিয়ানরা তাদের বাকি চার উইকেট ফেলতে মরিয়া। এখন দেখার শেষ চার উইকেটে কত রান তুলতে পারে গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল!
চশমা কাকে মানিয়েছ ভাল? বিরাট কোহলি না মিচেল স্যান্টনার! এমনটাই প্রশ্ন আইসিসি-র। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা টুইটারে পোল করে ভোট দিতে বলছেন ফ্যানেদের। ১২ ঘণ্টা পর পোলটি শেষ হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত ৩৮০০-র বেশি ভোট পড়েছে। ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক। স্যান্টনার পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ। বিশ্বকাপের মধ্যে নানারকম মজার পোস্ট করেই আইসিসি খেলার ফিভারটা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
২৪ ওভারে ১১০ রান তুলল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথের সঙ্গে ৫০ রানে পার্টনারশিপ করে ফেলেলেন অ্যালেক্স ক্যারি। একটা বড় পার্টনারশিপের প্রয়োজন অজিদের। ক্যারি দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছেন। ৩৫ বলে ২৫ রানের ইনিংসে পাঁচটা চার মেরেছেন তিনি। দৃষ্টিনন্দন ক্রিকেট উপহার দিচ্ছেন ক্যারি। স্মিথও চেষ্টা করছেন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮০০ নম্বর ওয়ান-ডে ম্য়াচ খেলছে। দ্বীপপুঞ্জের দেশের কাছে এ এক ঐতিহাসিক দিন। দু'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা চাইবে জয় দিয়েই এই মাইলস্টোন ম্য়াচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে। আইসিসি টুইট করেই ক্যারিবিয়ানদের শ্রদ্ধার্ঘ জানাল। অন্যদিকে ২১ ওভারের খেলা শেষ। অস্ট্রেলিয়া পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান তুলেছে। স্মিথ একা লড়ে যাচ্ছেন কুম্ভ সামলে। তাঁর নতুন পার্টনার ক্যারি।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে স্টিভ স্মিথ আর মার্কাস স্টােইনিস ড্যামেজ কন্ট্রোলের কাজটা করতে শুরু করেছিলেন সবে। কিন্তু হোল্ডার থামিয়ে দিলেন স্টোইনিসকে। পুল করতে গিয়ে অজি অলরাউন্ডার মিডউইকেটে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন। অজিদের কার্যত শেষের শুরু হয়ে গেল। ১৭ ওভারে মাত্র ৭৯ রান তুলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলল তারা। অ্যালেক্স ক্যারি এখন সঙ্গে দেবেন স্মিথকে। অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিতে আর রইল কুল্টার নাইল, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও অ্য়াডাম জাম্পা
১৫ টি ওভার হয়ে গেলে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে স্টিভ স্মিথ আর মার্কাস স্টােইনিস ড্যামেজ কন্ট্রোলের কাজটা করছেন। ক্যারিবিয়ান বোলাররাও মুখিয়ে রয়েছেন উইকেটের জন্য়। কিন্ত স্মিথের মতো একজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান এত সহজে আসবে না, সেটা ভালভাবেই জানে উইন্ডিজ শিবির। দু'দলই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
১০ ওভার শেষ। ৪৮ রান তুলল অজিরা। চলে গিয়েছে চার উইকেট। এই মাঠেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল উইন্ডিজ। সাত উইকেটে পাকিস্তানকে হারানোর ম্যাচে রাসেল সেদিন জোড়া উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। বিষাক্ত সব বাউন্সারও দিয়েছিলেন। ম্যাচের পর তিনি বলেছিলেন, "অনেকে বলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আমি বিগ হিটার হিসেবেই খেলছি। তাঁরা ভুলে গিয়েছেন আমি একজন ফাস্ট বোলার। তাঁরা আমাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। শেষ কয়েক বছর আমাকে মিডিয়াম পেসারের তকমা দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি বড় স্ক্রিনেও মিডিয়াম পেসার হিসেবেই আমার নাম ফুটে উঠত। আমার ভেতরটা জ্বলত এটা দেখে। ওঁরা জানেন না কার ব্যাপারে কথা বলছেন। ওঁদের দেখিয়ে দেব আমি ৯০-তে বল করতে পারি। ওঁরা আমাকে এবার শ্রদ্ধার চোখে দেখবেন। বুঝিয়ে দেব মিডিয়াম পেসারও জোরে বল করতে পারে।”
অনবদ্য ক্রিকেট খেলছে উইন্ডিজরা। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাক-টু-ব্যাক উইকেট পতন। আন্দ্রে রাসেলের শর্ট বলে ব্যাকফুট ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন খোয়াজা। শে হোপ বাজ পাখির মতো ঝাঁপিয়ে এক হাতে ক্যাচ নিয়ে নিলেন। অষ্টম ওভারে ফের উইকেট পেলেন কোটরেল। সোজা ক্যাচ তুলে দিলেন ম্যাক্সওয়েল । অস্ট্রেলিয়ার বুকে আতঙ্ক ধরিয়ে দিচ্ছে ক্যারিবিয়ান বোলাররা। আট ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলল অস্ট্রেলিয়া। কী খেলাটাই না হচ্ছে!
ফিঞ্চের পর ওয়ার্নার। কোটরেলের বাইরের দিকে থাকা লেন্থ বলে ড্রাইভ মারার প্রলোভন সামলাতে পারলে না ওয়ার্নার। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শিমরন হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। ওয়ার্নার মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন তিনি কী ভুল করলেন। অন্য়দিকে কটরেল স্যালুট করে অভিবাদন জানালেন সতীর্থদের। শুরুতেই বিপাকে অজিরা। দুই ওপেনারই ফিরে গেলেন। এখন খোয়াজার সঙ্গী স্মিথ। পাঁচ ওভারের খেলা হয়ে গেল। অস্ট্রেলিয়া ৩২ রান তুলল। ক্য়ারিবিয়ান বোলাররা দাপট দেখাচ্ছেন ট্রেন্টব্রিজে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের চাপে রেখেছেন তাঁরা।
দ্বিতীয় ওভারে এসেই সাফল্য পেলেন ওশেন থমাস। দ্বিতীয় বলেই তুলে নিলেন ফিঞ্চকে (৬)। থমাসের অফ স্টাম্পের ওপর রাখা গুড লেন্থ বলে খোঁচা দিয়ে শে হোপের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন অজি অধিনায়ক। ওয়ার্নারের সঙ্গী এখন উসমান খোয়াজা। তিন ওভারে অজিরা তুলল ২২ রান। অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিতে এখনও স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর মার্কাস স্টোইনিসের মতো ব্যাটসম্য়ানরা রয়েছেন। এনাদের পর অ্যালেক্স ক্যারে ও ন্য়াথান কুল্টার-নাইলরা রয়েছেন।
শুরুতেই দারুণ মেজাজে অ্যারন ফিঞ্চ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম ওভারেই ১০ রান তুলে নিলেন তাঁরা। ওশেন থমাস ও এস কোটরেলের ওপেনিং স্পেল চলছে। ফিঞ্চ বলেছেন তিনি টস জিতলেও ব্যাটিং করতেন। শুষ্ক উইকেটে ভাল রান তোলার প্রাথমিক টার্গেট রয়েছে তাঁর। ওয়ার্নারও আছেন দুরন্ত ছন্দে। তাঁকে নিয়ে আইসিসি-র বিশেষ এক নিবেদন রয়েছে টুইটারে। দেখে নিন এক ক্লিকে।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক হোল্ডার বলছেন, "উইকেটে দেখে খুব ভাল লাগছে। আশা করি সকালের শুরুতেই উইকেট তুলে নিতে পারব। শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়েই আমাদের আগ্রাসন দেখাতে হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। দলে আজ একটাই পরিবর্তন এনেছি। ড্যারেন ব্র্যাভোর জায়গায় এভিন লুইস খেলছে। কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল এটা। এভিন আমাদের প্রকৃত ওপেনার। মিডল অর্ডারে নিকোলাস রয়েছে।" ফিঞ্চ জানাচ্ছেন যে, তিনি টস জিতলে ব্যাটিং করতেন। তাঁর টিমে কোনও পরিবর্তন নেই।
ইংল্যান্ডের প্রাচীনতম মাঠে খেলা হবে আজ। এখানে প্রথম ইনিংসের গড় স্কোর ওঠে ২৫১। দ্বিতীয় ইনিংসের গড় স্কোর ২১৯। এখানে ৫০ ওভারের ম্য়াচে সর্বোচ্চ রান উঠেছিল ৪৮১/৬ (ইংল্য়ান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া)। সর্বনিম্ন স্কোর রয়েছে ৮৩/১০ (দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড)। এখানে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার নজির রয়েছে ৩৫০/৩ (৪৪ ওভার, ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড)। ১৯৫/৯ রান করেও ডিফেন্ড করা গিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্য়ান্ড ম্যাচে এই ঘটনা ঘটেছিল। শেষবার ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও এই মাঠে ম্য়াচ হয়েছিল। আইসিসি আজ ট্রেন্টব্রিজের যে ছবি শেয়ার করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ঝকঝকে মেঘমুক্ত রোদেলা আকাশই সাক্ষী হতে চলেছে ম্য়াচের।