ICC World Cup 2019, England vs Afghanistan 2019 Live Cricket Score: প্রায় ৪০০ রান তাড়া করে জেতা আফগানিস্তান কেন, যে কোনও টিমের পক্ষেই দুরূহ। আফগানিস্তানের পক্ষে প্রত্যাশামতোই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াল। ৩৯৮ রানের টার্গেটের মুখে ম্যানচেস্টারে কার্যত ব্যাটিং প্র্যাক্টিস করল তারা। শেষমেশ ২৪৭ রানে শেষ হলো আফগান ইনিংস।
টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইয়ন মর্গান। ইংল্যান্ডের ক্য়াপ্টেন আজ ১৪৮ রানের ইনিংস খেলে আক্ষরিক অর্থেই ম্যাচের হিরো। চোট আঘাতে জর্জরিত ইংল্যান্ড আজ আফগানদের হারিয়েই শেষ চারের দরজায় কড়া নাড়ল। ক্যাপ্টেন মর্গান থেকে শুরু করে জেসন রয়, প্রত্যেকেই চোটে কাবু, কিন্তু আজ সেসব মনে ছিল না কারোরই।
আফগানিস্তানের ওয়ার্ল্ড কাপ এযাত্রা মোটামুটি শেষ। অভিজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই নিয়ে দেশে ফিরবেন না সেদেশের ক্রিকেটাররা। আজকের ম্যাচে সেই অর্থে লড়লেন একমাত্র হাশমাতুল্লাহ শাহিদি এবং আসগর আফগান। কিন্তু দলের বাকি সদস্যদের দেখে বোঝা গেল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও কতদূরের পথ পেরোতে হবে তাঁদের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন আইপিএল-এর 'বিস্ময় বোলার' রশিদ খানও, যিনি ৯ ওভারে ১১০ রান দিয়ে 'ওয়ার্ল্ড কাপ সেঞ্চুরি' করলেন!
H2: England vs Afghanistan Live Scorecard: England vs Afghanistan, 2019 World Cup 2019
Live Blog
H2: England vs Afghanistan Live Scorecard: England vs Afghanistan, 2019 World Cup 2019
গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২১ রান তাড়া করে সাত উইকেটে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ। মাশরাফিদের এই জয় প্রত্য়াশা করেননি অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাও। কিন্তু শাকিব আল হাসান (১২৪) আর লিটন দাসের (৯৪) অনবদ্য় ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ ৫১ বল বাকি থাকতে জয় ছিনিয়ে আনে।
শেষমেশ অল আউট হলো না আফগানিস্তান, ৫০ ওভার টিকেও গেল তারা। আজকের ম্যাচের 'পজিটিভ' বলতে তাদের পক্ষে এটাই। তার সঙ্গে জুড়তে পারেন বিশ্বের এক নম্বর ওয়ান ডে টিমের বিরুদ্ধে প্রায় ২৫০ রানের দলগত স্কোর। ঠিক ১৫০ রানে জিতল ইংল্যান্ড। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ কে হবেন, বলতে পারলে কোনও পুরস্কার পাবেন না। ৩৯৭ রানের পাহাড় যে ডিঙোতে পারবে না আফগানরা, তা তো শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিল। একটা বিষয়েই কৌতুহল ছিল, কতটা লড়বে আফগানিস্তান?
ম্যাচের আর দশ ওভার বাকি। নিয়মরক্ষার খাতিরে খেলতেই হবে। জিততে হলে ২০২ রান আরও করতে হবে আফগানিস্তানকে। এটা বোধহয় ধরে নেওয়া যায় যে কোনোরকম অপ্রাকৃত কিছু ঘটবে না, কাজেই বিপুল রানে জয় পাবে ইংল্যান্ড। ইতিমধ্যে লড়াকু ৪৮ করে আউট আসগর আফগান! এঁর পঞ্চাশ না পাওয়াটা সত্যিই আক্ষেপের বিষয়। স্কোর ২০৫-৪, ৪১.২ ওভারে।
আচমকাই যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন হাশমাতুল্লাহ শাহিদি এবং আসগর আফগান। ৩২ এবং ৩৩ নম্বর ওভারে যথাক্রমে ১৪ এবং ১৩ রানের দৌলতে মরা ম্যাচে কিছুটা হলেও হৃদস্পন্দনের আভাস পাওয়া গেল। অনেকটাই শাহিদির কৃতিত্ব, কারণ দুটি ছক্কা এবং একটি চার মেরেছেন তিনি গত দুই ওভারে। আফগান হাঁকিয়েছেন একটি ছক্কা। ফলত ৩৩ ওভারের শেষে স্কোর ১৫৩-৩। আহামরি কিছুই না, তবু এটুকু বলা গেল যে গত পাঁচ ওভারে উঠেছে ৪১ রান।
৭৪ বলে ৪৬ রান করে ব্যাটিং যন্ত্রণা থেকে অব্যাহতি পেলেন রহমত শাহ। আদিল রশিদের প্রথম ওভারে সহজতম ফুল টসের সদ্ব্যবহার করতে না পেরে ডিপ মিড উইকেটে বেয়ারস্টো'র হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি। এতক্ষণ ছিলেনই যখন, ব্যক্তিগত পঞ্চাশ করতে না পারার আক্ষেপ থেকেই যাবে। ২৫ ওভারের শেষে আফগানদের স্কোর ১০৪-৩
গুলবদিন নায়েব আউট হওয়ার পর থেকে একেবারেই ঝিমিয়ে পড়েছে আফগান ইনিংস। ১৯ ওভার শেষ, স্কোর ৮৩-২, এক আধটা ছক্কা বা চার রহমত শাহের ব্যাট থেকে এসেছে বটে, কিন্তু দিনের শেষে অঙ্কটা সোজা - বর্তমান রান রেট ৪.৩৪, প্রয়োজনীয় রান রেট ১০.২৩
শুরুতেই এক উইকেট খুইয়ে ধাক্কা খেয়েছিল আফগানিস্তান, এবার ফিরে গেলেন সেট ব্যাটসম্যান গুলবদিন নায়েব! মার্ক উডের প্রথম ওভারেই দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে নায়েবকে ফেরালেন জস বাটলার। হাত খুলছিলেন নায়েব, ২৮ বলে ৩৭ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরত গেলেন। ১৩ ওভার প্রায় শেষ, আফগানিস্তানের স্কোর ৫৬-২
১১ ওভারের শেষে ৫১ রান আফগানিস্তানের। ব্যাটিং প্র্যাক্টিস ছাড়া আপাতত আর কিছু বলা যাচ্ছে না এই ম্যাচকে। কিন্তু একটাই কথা, ইংল্যান্ড কিন্তু শুরুটা করেছিল এর চেয়েও ঢিমে তালে। ইয়ন মর্গানের মতন আফগানিস্তানের হয়ে কেউ অবিশ্বাস্যভাবে জ্বলে উঠবেন, সেই আশায় সম্ভবত রয়েছেন সেদেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা। ক্ষীণ আশা, তবে এখনও ছাড়া যাচ্ছে না।
৩৯৭ রানের এভারেস্টে চড়ার দুর্গমতম কাজটা করার পথে শুরুতেই ধাক্কা খেল আফগানিস্তান। ওপেনার নূর আলি বোল্ড আর্চারের বলে। ৩ ওভারে আফগানিস্তান ৬-১। ম্যাচের ফলাফল কী হবে সে নিয়ে বাজি ধরার লোক খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। এই ম্যাচ জেতার কাছাকাছিও যদি আসতে পারে আফগানরা, সেটা হবে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন।
টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইয়ন মর্গ্যান। ইংল্যান্ড ক্য়াপ্টেন বুঝিয়ে দিলেন তিনি কত’টা ঠিক। এদিন ১৪৮ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে আফগানিস্তানকে ৩৯৮ রানের টার্গেট দিল। বোঝাই যাচ্ছে আফগানদের কাছে কার্যত পর্বত সমান টার্গেট। বিশ্বকাপে এটাই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোর
রশিদ খানকে এক ওভারে তিনটি ছয়, ৫৭ বলে ঝকঝকে শতরান মর্গ্যানের। ৪৫ ওভারে ইংল্যান্ড ৩২৩ রান তুলে ফেলল। হাতে আর অন্তিম পাঁচ ওভার তাদের সামনে। অন্যদিকে রুটও শতরানের দোরগোড়ায়। আর ১৭ রান প্রয়োজন তাঁর। মর্গ্যান এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছয় হাঁকালেন। অজি ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চকে টপকে গেলেন তিনি। মর্গ্যানের ঝুলিতে এল ১৬টি ছয়। ওয়ান-ডে ক্রিকেটে তাঁর ২০০টি ছয় মারা হয়ে গেল।
জো রুট আর ইয়ন মর্গ্যানের জোড়া অর্ধ-শতরান। ইংল্যান্ড ৪০ ওভারে ২৫৫ রান তুলল। মর্গ্যান আগুনে ফর্মে ব্য়াট করছেন। বোঝাই যাচ্ছে ইংল্যান্ড ৩০০ প্লাস স্কোর করতে চলেছে। মর্গ্যান দ্রুত খেলার গিয়ারটা বদলে নিয়েছেন। আফগান বোলারদের মহম্মদ নবি আর রশিদ খান এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান হজম করেছেন। অন্তিম ১০ ওভারে ইংল্য়ান্ড কত রান তুলতে পারে, এটাই দেখার!
ভিন্সের পর বেয়ারস্টোর উইকেট তুলে নিল আফগানিস্তান। এদিন প্রায় সেঞ্চুরির দরজা থেকে ফিরতে হল বেয়ারস্টোকে। ৯০ রানে আউট হলেন তিনি। অন্যদিকে রুট হাফ সেঞ্চুরির পথে। ৩১ ওভারের খেলা শেষ। ইংল্য়ান্ড ১৬৭ রান তুলল। ক্যাপ্টেন মর্গ্যান এলেন ক্রিজে।
জেমস ভিন্স আর জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরু হয়। ৩১ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর বেয়ারস্টোর সঙ্গে জো রুট এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডকে। ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড ৪৬ রান তুলেছে। আফগান বোলাররা উইকেটের খোঁজে মরিয়া।
টস জিতলেন ইয়ন মর্গ্যান। আফগানিস্তানকে বল করার আমন্ত্রণ জানালেন তিনি।
ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন ইয়ন মর্গ্যান বলছেন তাঁর চোট সেরে গিয়েছে। তিনি অনেকটা উন্নতি করেছেন। মাঠে নামার বিষয় আশাবাদী। শেষ দু'দিন তিনি কঠিন চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন বলেই তাঁর চোট অনেকটা সেরে উঠেছে। আফগানদের বিরুদ্ধে নামতে মুখিয়ে আছেন তিনি।