আর কয়েক ঘন্টা পরেই লন্ডনে বিরাট কোহলির বাহিনী মুখোমুখি হচ্ছে অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়ার। একদিকে পরপর দুটো ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী ব্যাগি গ্রিন ব্রিগেড, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ম্যাচে অনায়াসে হারিয়ে প্রত্যয়ী টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপের অন্যতম হাই-ভোল্টেজ এই দ্বৈরথের আগে এক নজরে ফিরে দেখা যাক বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে দুই দেশের টক্করের খতিয়ান।
দুই দেশ এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার, যার মধ্যে ৮ বার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত শেষ হাসি হেসেছে মাত্র ৩ বার।
১৯৮৩-র বিশ্বকাপে দু'বার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচ গোহারান হেরেছিল ভারত, অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ১৬২ রানে। ফিরতি ম্যাচেই কিন্তু বদলা নিয়েছিল কপিল দেবের টিম, অস্ট্রেলিয়া হেরেছিল ১১৮ রানে। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন রজার বিনি।
পরের বিশ্বকাপে, ১৯৮৭-তে, দুটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। প্রথমটায় টানটান উত্তেজনার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জেতে মাত্র এক রানে। দ্বিতীয়টা আজহারউদ্দিনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ভারত জেতে ৫৬ রানে।
১৯৯২-এর কাপে একটা ম্যাচ, যাতে শেষ হাসি হেসেছিল অস্ট্রেলিয়াই, জিতেছিল তুমুল লড়াইয়ের পর মাত্র এক রানে। ১৯৯৬-এও একটাই ম্যাচ, জয়ী সেই অস্ট্রেলিয়াই, ১৬ রানে। ১৯৯৯-এর বিশ্বকাপেও ভারত হারাতে পারেনি ক্যাঙ্গারুর দেশকে, হেরেছিল ৭৭ রানে।
২০০৩ সালে গ্ৰুপ লিগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল হেসেখেলে, ৯ উইকেটে। ফাইনালে ফের অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলির ভারত। রিকি পন্টিংয়ের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে ভারতের অধরা থেকে গিয়েছিল বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ১২৫ রানে।
২০০৭-এর বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়নি দুই দেশ। ২০১১-র কাপে গ্ৰুপ লিগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল ধোনির ভারত। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন যুবরাজ সিং। গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল অনায়াসে, ৯৫ রানে।
যা দাঁড়াচ্ছে, লন্ডনের মহাযুদ্ধের পরিসংখ্যান সংশয়াতীত ভাবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। তবে ক্রিকেট আর কবেই বা শুকনো পরিসংখ্যানের তোয়াক্কা করেছে?