ICC World Cup 2019, India vs Australia Highlights ৩৫২-র জবাবে অস্ট্রেলিয়া তুলল মাত্র ৩১৬। পঞ্চাশ ওভার টিকলেও অলআউট হয়ে গেল অজিরা। ভারতের জয় এল ৩৬ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মোটামুটি সহজে জয় পাওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়াকেও কার্যত তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেল ভারত। সামনে ছিল অবিশ্বাস্য টার্গেট। সেই টার্গেটের জন্য ঠিক ভারতের মন্ত্রেই ব্যাট শুরু করেছিলেন ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ।
উইকেট হাতে নিয়ে পরের দিকে ঝড় তোলা। তবে মাঝপথেই খেই হারিয়ে ফেলল অজিরা। ফিঞ্চ আউট হওয়ার পরে স্মিথ ও ওয়ার্নার ভাল-ই টানছিলেন। তবে দু-জনে আউট হওয়ার পরে আর এই রান তোলা সম্ভব ছিল না। হয়ওনি। মাঝে খোয়াজা ৪২ রান করে যান। শেষ দিকে দারুণ ব্যাটিং করে যান অ্যালেক্স ক্যারে। ৩৫ বলে ৫৫ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন তিনি। ভারতীয় বোলাররা সারাক্ষণই অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রেখে গেল। হার্দিক পাণ্ডিয়া বাদে ভারতের প্রত্যেক বোলারই সফল। ভুবনেশ্বর কুমার ও বুমরা- দুজনেই তিনটে করে উইকেট দখল করেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২ উইকেট নেন চাহাল।
India vs Australia Highlights, India vs Australia 2019 World Cup 2019
আর ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ ফর্মে থাকলে কী হয়! হাড়ে হাড়ে টের পেলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। কার্যত ওভালে অজি বোলারদের শাসন করলেন প্রত্যেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান। স্কোরবোর্ডে ভারত ৩৫২। শুরুতে ধাওয়ান (১১৭) ও রোহিত শর্মা (৫৭) ১২৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ার সঙ্গেই নিশ্চিত হয়ে যায় বড় টার্গেটের সামনেই পড়তে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। কোহলি মিডল অর্ডারে রানের গতি ধরে রেখে ৭৭ বলে ৮২ করে যান। আর চার নম্বরে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে তুলে আনার ফাটকা পুরোপুরি সফল। হার্দিক মারমুখী মেজাজে ২৭ বলে ৪৮ করে যান। ধোনি (১৪ বলে ২৭) ও রাহুল (৩ বলে ১১)-ও ব্যাট হাতে সফল।
অজি বোলারদের মধ্যে কেউই দাগ কাটতে পারেননি। শুরুতে স্টার্ক ও কামিন্স টাইট বোলিং করলেও ইনিংস গড়ানোর সঙ্গেই তাঁদের প্রভাব উধাও। কুইল্টার নাইল, স্টোয়িনিস, অ্যাডাম জাম্পা, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা মাঝের ওভারে ভারতের ব্যাটসম্যানদের সামনে কোনও সমস্যাই তৈরি করতে পারেননি।
Live Blog
দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে অজিদের বোলিং অনেক অভিজ্ঞ আর ধারালো, একটা ঝাঁঝ রয়েছে। শুরুতেই উইকেট হারালে কিন্তু অজিরা চেপে বসবে ভারতের ঘাড়ের ওপর। ভারতকে মাথায় রাখতে হবে বিপক্ষ যদি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে তারাও দু’বারের। অস্ট্রেলিয়ার চোখে চোখ রেখে খেলতে হবে। চোখ সরানোর কোনও জায়গা নেই। এমনটাই মনে করেন আমাদের বিশেষজ্ঞ তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর কলাম পড়ুন এখানে।
৩৫২-র জবাবে অস্ট্রেলিয়া পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলে অলআউট। ৩১৬ রানেই থেমে গেল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ভারতের জয় ৩৬ রানে। শেষ ওভারেই জোড়া উইকেটের পতন। প্রথম বলে ভুবনেশ্বর রান আউট করেছিলেন স্টার্ককে। আর শেষ বলে জাম্পা তুলে মারতে গিয়ে আউট জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে। সবমিলিয়ে দাপুটে জয় পেল ভারত। অস্ট্রেলিয়া যদিও শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছে। তবে সেই লড়াই যথেষ্ট ছিল না।
ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে কার্যত হারা ম্যাচে নজর কাড়লেন উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারে। মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সান্ত্বনা আপাতত তিনিই।
প্যাট কামিন্সকে আউট করলেন সেই বুমরা। ডেথ ওভারে বরাবরের মতো ভয়ঙ্কর তারকা পেসার। আর তাঁর স্লোয়ারেই ঠকে গিয়ে ধোনির হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় কামিন্স (৭ বলে ৮)। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫৩।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে নাথান কুইল্টার নাইল ভারতের বিরুদ্ধে পারলেন না। বুমরাকে মিড অনে তুলে মারতে গিয়ে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাট তুলে আউট। ৪৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ২৮৪। হাতে রয়েছে কেবল ৩ উইকেট। শেষ পাঁচ ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে তুলতে হবে ৬৯।
জোড়া উইকেট পতনের পরেও ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে একটা দুঃশ্চিন্তার চোরাস্রোত ছিল-ই। এবার সেই ম্যাড ম্যাক্সকেও ফেরালেন চাহাল। চাহালের ফ্লাইটে তুলে মারতে গিয়ে সোজা ক্যাচ তুললেন তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্ধর্ষ ক্যাচ রবীন্দ্র জাদেজার। ষষ্ঠ উইকেটের পতন। খেলছেন কুইল্টার নাইল ও ক্যারে।
একই ওভারে জোড়া ধাক্কা দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। প্রথমে স্মিথ এবং সেই ওভারেই সদ্য ক্রিজে আসা মার্কাস স্টোয়িনিস। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালাচ্ছিলেন স্টিভ স্মিথ। তবে ভুবনেশ্বর কুমারের হঠাৎ নিচু হয়ে যাওয়া বলে লেগ বিফোর হয়ে আউট স্মিথ। প্রথমে আম্পায়ার আবেদন নাকচ করে দিলেও পরে ডিআরএস নিয়ে দেখা যায় স্মিথ আউট ছিলেন। ৪০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া । স্টোয়িনিস নিজের দু-নম্বর বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন। ভারতের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল কার্যত।
৩৯ বলে ৪২ রান করে আউট খোয়াজা। ওভার পিছু সাড়ে ১১ করে দরকার এমন অবস্থায় রানের গতি বাড়াতে চাইছিলেন স্মিথ ও খোয়াজা। বুমরার বল ফাইন লেগ দিয়ে ঠেলতে গিয়ে বোল্ড তিনি। স্মিথ ৬৩ বলে ৫৬ রানে ব্যাট করছেন। ৩৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ২০৭। ৭৮ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৬ রান।
বাউন্ডারি হাকিয়ে ধৈর্য্যশীল হাফসেঞ্চুরি স্মিথের। ৬০ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত তিনি। ৩৪ ওভারে অজিরা ১৮০। জেতার জন্য ৯৬ বলে প্রয়োজন ১৭৩ রান। জিততে হলে রানের গতি বাড়াতে হবে অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের প্রয়োজন উইকেট।
দেড়শো পেরিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ হাফসেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন (৪৫ বলে ৪১)। সঙ্গে রয়েছেন উসমান খোয়াজাও (৯)। ২৯ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ১৫৪। উইকেট নিতে হবে কোহলিদের।
স্মিথ-ওয়ার্নারের জুটি চাপ বাড়ছিল। জুটিতে হাফসেঞ্চুরিও হয়ে গিয়েছিল। ক্রমাগত যখন ভারতীয় বোলাররা চাপে পড়ে যাচ্ছেন, তখনই ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে মোক্ষম সময়ে ব্রেক থ্রু চাহালের। ৮৪ বলে ৫৬ রানের ওয়ার্নারের ধৈর্য্যশীল ইনিংসে ইতি। ক্রিজে এখনও স্মিথ (৩১ বলে ৩১)। উসমান খোয়াজা নামলেন ক্রিজে। ২৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ১৩৪। ২ উইকেট হারিয়ে।
খেলা ধরে নিয়েছেন ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার। হাফসেঞ্চুরিও করে ফেললেন তারকা ওপেনার। অ-ওয়ার্নারোচিত এই হাফসেঞ্চুরি। এত ধীরে খেলতে তাঁকে সম্ভবত আগে দেখা যায়নি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওয়ার্নার একশো শতাংশ সফল, অস্ট্রেলিয়াকে ভাল শুরু উপহার দিতে। ভারতীয় বোলারদের ভালই সামলাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াও ২০ ওভারে ১০০ করে ফেলেছে। ২১ ওভার শেষে অজিদের স্কোর ১০৫। স্মিথ ব্যাট করছেন ১৬ বলে ১৪ রানে।
ওয়ার্নার নয়, ভারতের মাথা ব্যথা বাড়াচ্ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। তিনিই এবার আউট। কেদার যাদবের থ্রোয়ে হার্দিক পাণ্ডিয়ায় সহায়তায় আউট ফিঞ্চ (৩৫ বলে ৩৬)। প্রতিপক্ষের ৬১ রানের মাথায় ভারত প্রথম উইকেটের স্বাদ পেল। ১৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ৬৩। ক্রিজে ব্যাট করতে এলেন স্টিভ স্মিথ।
রান রেট ৩ রেখে ব্যাট করছিলেন অজিরা। সেই টার্গেটই ১০ ওভার শেষে ৪৮। সৌজন্যে হার্দিক পাণ্ডিয়ার এক ওভারে ফিঞ্চের বাউন্ডারির হ্যাটট্রিক। কুলদীপকে আক্রমণে আনা হল।
ব্রিস্টল থেকে খারাপ খবর। সোমবারেই বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা শ্রীলঙ্কার। সেই ম্যাচের আগেই নিজের আঙুল ভেঙে ফেললেন নুয়ান প্রদীপ। সম্ভবত, টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেলেন তিনি।
বিশাল টার্গেট সামনে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের স্ট্র্যাটেজিই নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। উইকেট ধরে রেখে পরে আক্রমণে যাওয়ার কৌশল। ৮ ওভার শেষে ৩ রান রেট ধরে রেখে অস্ট্রেলিয়া আপাতত ২৪। ওয়ার্নার (৯) ও ফিঞ্চ (১৩) রানে ব্যাট করছেন।
ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়া ইনিংসেও তার প্রতিচ্ছবি। বুমরার প্রথম বলেই আউট হয়ে যেতে পারতেন ওয়ার্নার। বল উইকেটে লাগলেও স্ট্যাম্প নড়ল না। বেঁচে গেলেন ওয়ার্নার। ৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ১৬। কোনও উইকেট না হারিয়ে।
দুর্ধর্ষ ব্যাটিং প্রদর্শন ভারতের। ধাওয়ান, রোহিত, কোহলি, হার্দিক- মাঠ মাতালেন প্রত্যেকেই।
অস্ট্রেলিয়ার সামনে ম্যামথ টার্গেট খাড়া করল ভারত। শেষ ওভারে ধোনির সঙ্গে কোহলি (৭৭ বলে ৮২) আউট হয়ে গেলেও লোকেশ রাহুলের ৩ বলে ১১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভারত ৩৫২ তুলল স্কোরবোর্ডে। অস্ট্রেলিয়াকে জিততে হলে ৩৫৩ করতে হবে। ভারতের ব্যাটিং এদিন সফল। প্রত্যেকেই রান পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া লড়াই কতটা দিতে পারবে ভারতকে?
১৪ বলে ২৭ রান করে আউট ধোনি। ৫০তম ওভারের প্রথম বলেই হাফভলিতে সোজা ব্যাট চালিয়েছিলেন ধোনি। বলা সরাসরি স্টোয়িনিসের হাতে জমা হয়।
৪৮ ওভারে ভারত ৩২৫। ধোনি ৮ বলে ১৪ এবং কোহলি ৭৪ বলে ৮০ রানে ব্যাট করছেন। সাড়ে তিনশো টার্গেট ছুতে পারবে টিম ইন্ডিয়া?
ব্যাটিং অর্ডারে আগে পাঠানো হয়েছিল। হার্দিক পাণ্ডিয়া প্রথম বলেই আউট হয়ে যেতেন। উইকেটকিপার ক্যারে ক্যাচ মিস করেন। সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে গেলেন হার্দিক। হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে আউট তিনি। মাত্র ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করার দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। তবে কামিন্সের হাফ ভলিতে ক্যাচ তুলে বিদাত তাঁর। আদর্শ স্লগিং বলতে যা বোঝায়, সেটাই দেখাচ্ছিলেনন হার্দিক। ৪৬ ওভারে ভারত ৩০১। নিজের ইনিংসে চারটে বাউন্ডারি সমেত তিনটে ওভার বাউন্ডারি হাকিয়েছেন হার্দিক। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে কোহলি ব্যাটিং করছেন ৬৯ বলে ৭১ রান করে।
হাফসেঞ্চুরি এবার বিরাট কোহলির। ৫৪ বলে এল কোহলির অর্ধশতরান। নিজের সংযত ইনিংসে মাত্র তিনটে বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। ভারত ৪১ ওভারে ২৪৬ । কোহলির সঙ্গে ক্রিজে খেলছেন হার্দিক পাণ্ডিয়াও (১১ বলে ১৫)।
রানের গতি বাড়ানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। সেই হার্দিকই প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইল্টার নাইলের বলে। তবে উইকেটের পিছনে সহজ ক্যাচ মিস করেন অ্যালেক্স ক্যারি। হার্দিক এই সুযোগের ফায়দা কতটা নিতে পারেন, সেটাই দেখার।
প্রথম উইকেটে একশো পার্টনারশিপ। দ্বিতীয় উইকেটেও সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ের দিকে এগোচ্ছিলেন ধাওয়ান (১০৯ বলে ১১৭)- কোহলি। তবে রানের গতি বাড়াতে গিয়েই স্টার্কের বলে আউট ধাওয়ান। শতরান পূর্ণ করার পরে গব্বর মেজাজে ঢংয়ে বোলারদের ওড়াচ্ছিলেন। কোহলিও হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় (৪৩ বলে ৪০)। ৩৭ ওভারে ভারত ২২০। শেষ ১৩ ওভারে ভারত কত তুলতে পারে, এখান থেকে, সেটাই আপাতত দেখার।
আগের ম্য়াচে ছিলেন রোহিত। দ্বিতীয় ম্য়াচ স্মরণীয় করে রাখছেন শিখর ধাওয়ান। পার্টনার ফিরে গেলেও, ধাওয়ান সেঞ্চুরি করে ফেললেন ৯৫ বলে। শতরানের সময়েও নাটক থাকল। ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। স্টোয়িনিসের বলে শেষমেষ লং অনে ঠেলে রান নেওয়ার চেষ্টা করলেও ফিল্ডার সরাসরি থ্রোয়ে উইকেট ফেলে দিয়েছিলেন। বিরাট নো কল পেয়ে নন স্ট্রাইকিং এন্ডেই ফিরে আসার চেষ্টা করছিলেন। তবে বল উইকেটে লেগে অন্যত্র যেতেই রান পূর্ণ করেন ধাওয়ান। পরে থার্ড আম্পায়ারের রিভিউয়ে দেখা যায় কোহলি নট আউট। দু-একবার বাদে গোটা ইনিংসে দাপট নিয়ে খেলেছেন। নিজের ইনিংসে ১৩টা বাউন্ডারি হাকিয়েছেন। অন্যদিকে, বিরাট কোহলিও (৩২ বলে ২৮) জাকিয়ে বসার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। ৩৩ ওভারে ভারত ১৯০।
দেড়শো রান পেরিয়ে গেল ভারত। ২৭ ওভারে ভারত ১৫৩। ধাওয়ান দ্রুত গতিতে রান তুলছেন। ইতিমধ্যেই ৮২ করে ফেলেছেন। বিরাটও স্বমেজাজে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
বিরাটের ব্যাটে ঝলক দেখা যাবে, সেটাই প্রশ্ন। অপেক্ষায় আপামর ক্রিকেটপ্রেমীরা।
১২৭ রান ওপেনিং পার্টনারশিপে যোগ করে গেলেন রোহিত-ধাওয়ান। ক্রিজে এলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিলেন কুইল্টার নাইল। ফেরালেন রোহিত শর্মাকে। নাইলের অতিরিক্ত বাউন্স সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল হিটম্যাটের কাছে। বল ব্যাটে ছুয়ে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে জমা হল। রোহিতের অবদান ৭০ বলে ৫৭।
ওভালের গ্যালারিতে নীল সমুদ্র।
বাউন্ডারির মাধ্যমে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন রোহিত শর্মা। ৬১ বলের ইনিংসে রোহিত শর্মা অনেক সংযত। মাত্র তিনটে বাউন্ডারি এবং একটা বাউন্ডারি হাকিয়েছেন মাত্র। ২১ ওভার শেষে ভারত ১২১। রোহিত (৬৫ বলে ৫৫) এবং শিখর ধাওয়ান (৬১ বলে ৬৩) রানে ব্যাটিং করছেন।
ভারতের খেলার মূল মন্ত্র ধীরে, সতর্ক থেকে খেলা! সেই খেলারই অঙ্গ হিসেবে ভারতের রান একশো ছুল। ১৯ ওভারে। ওভার পিছু রান রেট ৫.২৬।
হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন শিখর ধাওয়ান। ৫৩ বলের ইনিংসে ধাওয়ান ৭টা বাউন্ডারি হাকিয়েছেন। ১৮ ওভার শেষে ভারত ৯৬। হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় রয়েছেন রোহিত শর্মাও (৫৪ বলে ৪২)।
বিশ্বে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে রোহিত শর্মা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০০ রান করে ফেললেন। এর আগে সচিন তেন্ডুলকর (৩০৭৭). ডেসমন্ড হেইন্স (২২৬২) এবং ভিভ রিচার্ডসের (২১৮৭) এই কীর্তি ছিল। মহাতারকাদের ব্র্যাকেটে এবারও রোহিতও।
শুরুতে সতর্ক। তারপরে জাম্পা, ম্যাক্সওয়েল এলে ধাওয়ানরা হাত খুলে খেলবেন, জানাই ছিল। সেই রণকৌশল মেনেই ধাওয়ান (৩৪)-রোহিত (২১) বাউন্ডারি হাকাচ্ছেন নিয়ম করে! ১৩ ওভার শেষে ভারত কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬২। শুরুর দশ ওভারে ৪ রান রেট ছিল। সেই রান রেটই আপাতত ৫-এর কাছে।
কুইল্টার নাইলের শুরুর ওভারেই তিনটে বাউন্ডারি। কুইল্টার নাইল প্রথম ওভারেই দিলেন ১৪ রান। ভারতের স্ট্র্যাটেজি খুব পরিষ্কার শুরুর দিকে দুই পেসার স্টার্ক ও কামিন্সকে দেখে খেলা। এবং কুইল্টার নাইল এলেই আক্রমণ শুরু করা। ঠিক সেটাই করছেন রোহিত-ধাওয়ানরা। ৮ ওভার শেষে ভারত ৩৬।
৫ ওভারের শেষে ভারত ১৮। প্রথমন বাউন্ডারি এল পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে। সতর্ক ভঙ্গিতে ধরে খেলাতেই অস্ত্র করছে ভারত। উইকেট না খোওয়ানোই উদ্দেশ্য। হাতে উইকেট বাঁচিয়ে শেষ দিকে ঝড় তোলাই কী লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার?
জোর রক্ষা পেলেন রোহিত শর্মা। মিচেল স্টার্কের বল স্কোয়্যার লেগে খেলেছিলেন রোহিত। শক্ত হলেও অসম্ভব ক্যাচ ছিল না। মিস করলেন নাথান কুইল্টার নাইল। স্টার্ক ও কামিন্সের দুই ওভারে সতর্ক ভঙ্গিতে পাওয়া গেল রোহিত-শিখরকে। রোহিতের ক্যাচ মিসে অস্ট্রেলিয়া ভুগবে কিনা, সময়ই বলবে।
বিশ্বকাপে শেষবার অস্ট্রেলিয়া রান তাড়া করতে গিয়ে হারে ১৯৯৯ সালে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দশ রানের ব্যবধানে। বিশ্বকাপে তার পর থেকে ১৯ বার রান তাড়া করে জিতেছে তারা। আজ সেই ধারা বদলাতে পারবে টিম ইন্ডিয়া?
ম্যাচ শুরুর আগে পাঠকদের জানিয়ে রাখি একটা ছোট্ট তথ্য, কিং কোহলি আজ এক ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে। আজ ২৯ রান করতে পারলেই রাহুল দ্রাবিড়কে পেরিয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে নবম সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হয়ে যাবেন কোহলি। তবে ২৯ আর আজ কে চায় বিরাটের ব্যাট থেকে, একশো তিরিশ কোটির দেশ আজ তাদের ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে চায় ১২৯! বা তারও বেশি।
টস জিতলেন বিরাট, প্রথমে ব্যাট করবে ভারত। বিরাটের সাফ কথা, "ওভালে রোদ থাকলে এই শুকনো এবং শক্ত পিচে যে কেউ প্রথমে ব্যাট করবে। আমরা চাইব, বোর্ডে বড় রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে, উইকেট পরের দিকে স্লো হবে একটু।" ফিঞ্চও বললেন, জিতলে আগে ব্যাটই করতেন। দুই টিমই নামছে আগের ম্যাচের দল নিয়ে। কোন বদল নেই। বিশেষজ্ঞরা এক বাক্যে বলছেন, "গুড টস টু উইন"। টসভাগ্য ভারতের পক্ষে গেছে, কিন্তু ম্যাচভাগ্য? সময় বলবে।
ওভালের আকাশ এখন রোদ-ঝলমল, মেঘ নিরুদ্দেশ। টিম ইন্ডিয়ার সমর্থকরা নীল জার্সিতে গ্যালারি ভরাতে শুরু করে দিয়েছেন। এবং পিচ দেখে সঞ্জয় মঞ্জরেকর আর মাইকেল স্লেটারের মত, টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং নিতে পারেন বিরাট বা ফিঞ্চ। দু'জনেরই মত, বড় রানের ম্যাচ হবে। ২৮০ প্লাসের উইকেট।
মিডল ওভার্স। ১৫ থেকে ৩৫ ওভার, এই সময়টায় যারা খেলাটা ধরে নিতে পারবে, দাঁড়িপাল্লা ক্রমে হেলবে তাদের দিকে। এবং সেজন্যই সৌরভ গাঙ্গুলি সহ অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, কুলদীপ-চাহালের কুড়ি ওভার ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবে দেখা দেবে আজ। 'কুলচা' জুটি মাঝের ওভারগুলোয় অন্তত দু-তিনটে উইকেট তুলতে পারলে রক্তচাপ বাড়বে অস্ট্রেলিয়ার। আবার ওই ওভারগুলো স্মিথ-সহ বাকিরা নির্বিঘ্নে সামলে দিতে পারলে পাল্টা চাপ ধেয়ে আসবে বিরাট-বাহিনীর দিকে।
বছরের এই সময়টা ইংল্যান্ডের আবহাওয়া অনেকটা শাস্ত্রে বর্ণিত নারীচরিত্রের মতো, 'দেবা না জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ'। এই রোদের আস্ফালন, তো এই মেঘের আহ্লাদিপনা। আজকের ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই, তবে ম্যাচ শুরুর সময় ওভালের আকাশ মেঘলা থাকলে টস মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিং করতে চাইবেন বিরাট বা ফিঞ্চ। অবশ্য রোদ-ঝকমকে আকাশ থাকলেও, আগে যারাই ব্যাট করুক, প্রথম ১৫ ওভার সামলানোটা জরুরি, খুব জরুরি। রান কম ওঠে উঠুক, উইকেট একটার বেশি হারালেই অনন্ত চাপ দেখা দেবে মিডল ওভার্স-এ। মনে রাখুন, ওভালের পিচে বাউন্স আছে যথেষ্ট। আমাদের বুমরা থাকলে অজিদেরও স্টার্ক আছেন। যাঁর ভিতরে ঢুকে আসা বলে রোহিত-শিখর, দুই ওপেনারেরই দুর্বলতা আছে। ভারতকে জিততে হলে আজ কোহলিকে খেলতে হবে। লম্বা খেলতে হবে।
ম্যাচের আগের দিনই বোমা ফাটিয়েছেন অজি ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চ। সাফ বলেছেন প্রেসের সামনে, "সব ফরম্যাট মিলিয়ে স্টিভ স্মিথই এখন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান।" বক্তব্য পরিষ্কার, ওহে ইন্ডিয়া, শুনে রাখো, তোমাদের কোহলি নয়, আমাদের স্টিভই সেরা। উদ্দেশ্যও স্পষ্ট, ক্যাপ্টেন কোহলির উপর মনস্তাত্বিক চাপ তৈরির চিরকালীন অজি কৌশল। ফিঞ্চের মন্তব্য কোহলির কানে পৌঁছয় নি, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। জবাবটা কি আজ বিরাট ব্যাটেই দেবেন? কোহলি আর স্মিথ, বর্তমান ক্রিকেট দুনিয়ার দুই সর্বোত্তম ব্যাটের লড়াই আজকের ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ হাত যাচ্ছে।
ছোট ছোট ডুয়েলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আজকের ম্যাচের জেতা-হারার প্রাণভোমরা। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া রোহিত শর্মা বনাম আগের ম্যাচেই পাঁচ উইকেট পাওয়া মিচেল স্টার্ক। বিশ্বের এক নম্বর ওয়ান ডে বোলার জসপ্রীত বুমরা বনাম রান পেতে মুখিয়ে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার। আগের ম্যাচে রান না পাওয়া কিং কোহলি বনাম অজি পেসার প্যাট কামিন্স। চাহাল বনাম অ্যাডাম জাম্পা, দুই লেগস্পিনারের টক্কর। এই ব্যক্তিগত লড়াইগুলোয় শেষ হাসি যাঁরা হাসবেন, ম্যাচ ঢলে পড়বে তাঁদের দিকে।
আজ ম্যাচে যাই হোক, ইতিহাস কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। বিশ্বকাপের জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের মাথাব্যথার কারণ হয়ে থেকেছে অজিরা। স্রেফ একবার মুখোমুখি হতে হয় নি তাদের। জানেন কি কোন বার? কী বলছে আমাদের বিশ্বকাপ বৃত্তান্ত?