টিকিট তো আর আমি ছাপাই না: আইএফএ সচিব

ডার্বির ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট নিঃশেষিত। যা এক কথায় বেনজির। শুক্রবার টিকিটের জন্যই মহানগর দেখল দর্শকদের বিক্ষোভ, পথ অবরোধ।

ডার্বির ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট নিঃশেষিত। যা এক কথায় বেনজির। শুক্রবার টিকিটের জন্যই মহানগর দেখল দর্শকদের বিক্ষোভ, পথ অবরোধ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mohanbagan Supporters collecting ticket at Mohanbagan Ground 1

পুলিশি প্রহরায় টিকিটের প্রতীক্ষা। ছবি; শশী ঘোষ।

ডার্বির ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট নিঃশেষিত। যা এক কথায় বেনজির। প্রতীক্ষিত মহারণের টিকিটের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে চারদিকে। শুক্রবার টিকিটের জন্যই মহানগর দেখল দেখল দর্শকদের বিক্ষোভ, পথ অবরোধ। যার ফলে পুলিশকেও ময়দানে নামতে হলো।

Advertisment

টিকিট নিয়ে নাটক অব্যাহত থাকল দিনভর। সমস্যা একটা নয়, দু’টো। প্রথম সমস্যাটা গতকাল থেকেই মাথাচাড়া দিয়েছিল। আজ প্রকট আকার ধারণ করল। অফলাইন-অনলাইন, কোথাও টিকিট নেই। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ক্লাব থেকে শুরু করে আইএফএ-র দফতর। যুবভারতীতেও মিলল না টিকিট। হল পথ অবরোধ। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিল।

আরও পড়ুন: “বিদেশি সাংবাদিক সেজে মোহনবাগানের গুপ্তচর ইস্টবেঙ্গলে”

Supporters collecting ticket IFA office Express Photo Shashi Ghosh আইএফএ অফিসের সামনে টিকিটের জন্য অপেক্ষারত সমর্থকরা। ছবি: শশী ঘোষ

Advertisment

কেন এই টিকিটের হাহাকার? কী বলছেন রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়? অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য নতুন সাজে সজ্জিত যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এখন দর্শকাসন সংখ্যা ৬৬,০০০। মানুষের একটা ধারণাই ছিল, যে হয়তো এই পরিমাণ টিকিটই থাকবে সাধারণের জন্য। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও বলে রাখা ভাল, টিকিট ইস্যুতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে আইএফএ-এর ভূমিকা রয়েছে একটা। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ছাড়াও সাংবাদিক বৈঠক করেছে তারা।

তীর্থের কাকের মতো টিকিট প্রত্যয়ী দর্শকরাই এক সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন টিকিট না পেয়ে। যদিও উৎপলবাবু দর্শকদের কাছে নিঃস্বার্থ ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। বলছেন, "দেখুন, টিকিট আমি ছাপাই না। টিকিটের যা চাহিদা ছিল, সেই পরিমাণ টিকিট আমরা দিতে পারিনি। আমরা দর্শকদের খুশি করতে পারিনি। গতকালই অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। যেটা শনিবার পর্যন্ত পাওয়ার কথা ছিল। এবার মোট ৪৫ হাজারের কিছু বেশি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছিল। দুই ক্লাবের সদস্যদের জন্য ৭,০০০ করে ১৪,০০০ টিকিট বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তারা পাঁচ পাঁচ করে ১০,০০০ টিকিট কিনেছে।"

Eastbengal Supporters collecting ticket at Eastbengal Ground 1 ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে টিকিটের লাইন। ছবি: শশী ঘোষ

এছাড়াও টিকিট নিয়ে আরও একটা সমস্যা দেখা গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু টিকিটে দুটো গেট নম্বর রয়েছে। অর্থাৎ দর্শকদের হাতের টিকিট আর কাউন্টারপার্টের নম্বরে গরমিল। এখন বোঝা দায়, তাঁরা ডার্বির দিন কোন গেট দিয়ে ঢুকবেন? উৎপলবাবু সমাধান করলেন এর। বললেন, "দর্শকদের কাছে টিকিটের যে পার্ট থাকবে সেটাই গেট নম্বর বিবেচ্য হবে।"

ডার্বির টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগও উঠেছে। এরকমও হয়েছে, যে অনেকেই ২৫-৩০টা করে টিকিট কিনে নিয়ে ব্ল্যাক করছেন। যদিও টিকিট ব্ল্যাকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উৎপলবাবু। অবশ্য তিনি জানালেন, "কেউ যদি টিকিট কিনে ব্ল্যাক করে থাকেন, সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।"