igor Stimac on Indian Football: কল্যাণ চৌবে যত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, ভারতীয় ফুটবলের জন্য ততই মঙ্গল। এআইএফএফ সভাপতিকে একহাত নিয়ে নিন্দায় সরব হলেন ভারতের অপসারিত ফুটবল কোচ ইগর স্টিম্যাচ। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছতে দলীয় ব্যর্থতার জন্য স্টিম্যাচকে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এআইএফএফ সভাপতির বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ এনেছেন ৫৬ বছর বয়সি স্টিম্যাচ। তিনি অভিযোগ করেছেন, শুধুমাত্র ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্ব সম্পর্কে এআইএফএফকে বোঝানোর চেষ্টা করার জন্য এশিয়ান কাপের আগে তাঁকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছিল। স্টিম্যাচের অভিযোগ, ওই বৈঠকের জেরে তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হতে হয়েছিল। হৃদরোগের চিকিত্সার জন্য অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করা হয়েছিল।
সোমবার বরখাস্ত হওয়া স্টিম্যাচের দাবি, এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে ভারতীয় ফুটবলকে নিজের হাতে বন্দি করে রেখেছেন। চৌবে সরলেই ভারতীয় ফুটবলের অগ্রগতি ঘটবে। স্টিম্যাচের কথায়, 'কল্যাণ চৌবে যত তাড়াতাড়ি এআইএফএফ ছাড়বেন, ভারতীয় ফুটবলের ততই মঙ্গল হবে। ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু, কেবল ভারতই একমাত্র জায়গা, যেখানে ফুটবলের অগ্রগতি ঘটছে না।'
ক্রোয়েশিয়া থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে স্টিম্যাচ অভিযোগ করেছেন, 'আমার কেরিয়ারে, আমাকে এখনও পর্যন্ত বরখাস্ত করা হয়নি। এটাই প্রথমবার করা হল। আর, সেটাও ভুলভাবে হল। এআইএফএফ থেকে আমি যথেষ্ট সাহায্য পাইনি। তাঁদের সাহায্য ছাড়া আমার পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। আমার চারপাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আমাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূরণ করেননি। আর, ওই সব লোকজন কেবল নিজের স্বার্থ নিয়েই চিন্তা করে যেতেন।'
এতেই না থেমে স্টিম্যাচের অভিযোগ, 'আমি যখন তাঁদের বলেছিলাম যে এশিয়ান কাপের চেয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব গুরুত্বপূর্ণ, তখন এআইএফএফ থেকে আমাকে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়। ২ ডিসেম্বর আমাকে সতর্ক করা হয়। সেই সতর্ক করার পর আমি হাসপাতালে ছুটতে বাধ্য হই। গোটা বিষয়টা নিয়ে আমি অত্যন্ত বিরক্ত ছিলাম। এই মানসিক চাপের জেরে আমার হার্টে তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। আমি এই ব্যাপারে কারও সঙ্গে কথা বলিনি।'
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের গর্জন থামাতে ভারত নামাচ্ছে ছক্কার ঝড় তোলা তারকাকে, বাদ ফর্মে না থাকা বিগহিটার
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছতে ভারতীয় দলের ব্যর্থতার কারণে স্টিম্যাচকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার একদিন পরেই, ক্রোয়েশিয়ার এই কোচ হুমকি দিয়েছেন, যদি তাঁর বকেয়া পাওনা ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধ না করা হয়, তবে তিনি ফিফা ট্রাইব্যুনালে এআইএফএফ-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।