বিজয়নের নাম পদ্মশ্রীর জন্য মনোনয়ন ফেডারেশনের

কেরিয়ারের শুরুতে ত্রিশুর করপোরেশনের মাঠে সোডা বিক্রি করতেন। কেরালা পুলিশের জার্সিতে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফুটবল মাঠে আত্মপ্রকাশ।

কেরিয়ারের শুরুতে ত্রিশুর করপোরেশনের মাঠে সোডা বিক্রি করতেন। কেরালা পুলিশের জার্সিতে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফুটবল মাঠে আত্মপ্রকাশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য আইএম বিজয়নের নাম মনোনয়ন করল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। দেশের চতুর্থ সাম্মানিক পুরস্কারের জন্য কালো চিতাকেই বাছলেন ফেডারেশনের কর্তারা।

Advertisment

নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটে বিজয়নের। ৫১ বছরের প্রাক্তন তারকা স্ট্রাইকার জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৯ ম্যাচে ৪০টি গোল ও করেছেন। ২০০৩ সালে আগেই বিজয়নকে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ১৯৯৩, ১৯৯৭, এবং ১৯৯৯ সালে দেশের সেরা ফুটবলারও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিজয়নের নাম পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য পাঠানো হয়েছে।" ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে আপফ্রন্টে স্বপ্নের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ক্লাব স্তরে মোহনবাগান, কেরালা পুলিশ, জেসিটি, এফসি কোচিনের জার্সিতে চুটিয়ে খেলেছেন।

কেরিয়ারের শুরুতে ত্রিশুর করপোরেশনের মাঠে সোডা বিক্রি করতেন। কেরালা পুলিশের জার্সিতে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফুটবল মাঠে আত্মপ্রকাশ। সেখান থেকে বিচ্ছুরণ ছড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও।

Advertisment

আন্তর্জাতিক ফুটবলে অন্যতম দ্রুততম গোলের মালিক তিনি। ১৯৯৯ সালের সাফ গেমসে ভুটানের বিরুদ্ধে ১২ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০০৩ সালে আফ্রো-এশিয়ান গেমসে চার গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার হন তিনি। এটাই তার কেরিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট। কারণ এই টুর্নামেন্টের পরেই অবসর নেন বিজয়ন।

ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর নিজের শহরে ফুটবল একাডেমি গড়ে কোচিং করছেন তিনি।

AIFF Indian Football