বোলারদের কাছে সাক্ষাৎ ত্রাস ছিলেন তিনি। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনারের স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। সেই বীরেন্দ্র শেওয়াগের থেকেও নাকি প্রতিভাবান ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ওপেনার ইমরান নাজির। এমনটাই মনে করেন শোয়েব আখতার।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার জানিয়ে দিয়েছেন, শেওয়াগের থেকেও বড় ক্রিকেটার হওয়ার ক্ষমতা ছিল নাজিরের। তবে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিকমত ওকে ব্যবহার করতে পারেনি। পাক সুপারস্টার বলেন, "আমার মনে হয় শেওয়াগের বুদ্ধি নাজিরের থেকে বেশি ছিল। আবার নাজির প্রতিভায় এগিয়ে ছিল শেওয়াগের থেকে। প্রতিভা নিয়ে কোনো তুলনাই হবে না। আমরা ওকে একটু শান্ত রাখতে চেয়েছিলাম। নাজির যখন ভারতের বিরুদ্ধে দুরন্ত এক শতরান হাকিয়েছিল আমি টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিলাম ওকে ধারাবাহিক ভাবে খেলানোর জন্য। তবে আমার কথা শোনা হয়নি।'
পাকিস্তানের সেই সময়ের টিম ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিয়ে শোয়েব আরো বলেছেন, "আমরা নিজেদের প্রতিভাদের ঠিকমত যত্ন করতে পারি না। এটা দুর্ভাগ্যের। আমরা হয়ত শেওয়াগের থেকেও বড় ক্রিকেটার পেতাম নাজিরের মধ্যে। ভালো ফিল্ডার হওয়ার পাশাপাশি ওর হাতে সমস্ত রকম শট ছিল। ওকে আরো দারুণভাবে ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু পারিনি।"
নাজিরকে গড়ে তোলার জন্য পাক বোর্ড ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগ করার পাশাপাশি শোয়েব জানান, নাজিরকে কীভাবে জাভেদ মিয়াঁদাদ সাহায্য করেন।
শোয়েব বলছিলেন, "ইমরান নাজির যখনই ভাল খেলেছে, তা জাভেদ মিয়াঁদাদের জন্য। ও ব্যাট করতে নামলে জাভেদ ভাই ড্রেসিংরুমে থেকে ওকে সাহায্য করত। একটা খারাপ শট খেললে মিয়াঁদাদ ড্রেসিংরুম থেকে ওঁকে বার্তা পাঠাতো যাতে ও ফোকাসড থাকে।"
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটে ইমরান নাজিরের। সেই সময় বিশ্বের ক্রিকেটবোদ্ধাদের একাংশ নাজিরকে ভবিষ্যতের সুপারস্টার বলে দিয়েছিলেন। তবে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি নাজির। ৮ টা টেস্ট, ২৫টি টোয়েন্টি এবং ৭৯টি ওডিআই খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফুরিয়ে যান তিনি। ফরম্যাটে তাঁর রান সংখ্যা যথাক্রমে ৪২৭, ৫০০ এবং ১৮৯৫। অন্যদিকে, শেওয়াগ নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।