অস্ট্রেলিয়া: ১৮৮/১০
নিশ্চিত তিনশোর পথে এগোচ্ছিল ইনিংস। সেই ইনিংস যে এভাবে ধসে যাবে অজিদের ইনিংস। কে ভাবতে পেরেছিল! ১২৯/২ থেকে অস্ট্রেলিয়া খতম হয়ে গেল মাত্র ১৮৮ রানে। মাত্র ৫৯ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে গেল ওয়াংখেড়ের পিচে। আর অজিদের ধ্বংস করে দিলেন মহম্মদ সিরাজ এবং মহম্মদ শামি।
রোহিতের অনুপস্থিতিতে ওয়াংখেড়েতে হার্দিক পান্ডিয়া টসে জিতে প্ৰথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। শামি, সিরাজ, শার্দূল এবং ক্যাপ্টেন হার্দিক চার সিমার নিয়ে খেলতে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। জাদেজার সঙ্গী স্পিনার হিসাবে বাছা হয়েছিল কুলদীপ যাদবকে।
আরও পড়ুন: হৃদকম্প দিয়ে ভারতের দুর্ধর্ষ জয়! শামি-সিরাজের তান্ডবের পর ইন্ডিয়াকে বাঁচিয়ে নায়ক KL রাহুল
অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার জশ ইংলিশ নামেন আলেক্স ক্যারের বদলে। ক্যারে অসুস্থতার জন্য সিরিজ শুরুর আগেই দেশে ফিরে গিয়েছেন। ডেভিড ওয়ার্নার পুরোপুটি ফিট না হয়ে ওঠায় মিচেল মার্শ তাঁর জায়গায় ওপেন করতে নেমেছিলেন।
কেরিয়ারে প্ৰথমবার ওপেন করতে নেমে মার্শ শুরুটা দারুণ করেছিলেন। দ্বিতীয় ওভারেই অন্য ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ফিরে গেলেও মার্শ ৬৫ বলে ৮১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দেন। ১০ বাউন্ডারির সঙ্গে পাঁচটা বিশাল ছক্কাও হাঁকান তিনি। এর মধ্যে শেষ ৩০ রান করে যান মাত্র ১৫ বলে।
ঠিক যখন মনে হচ্ছিল মার্শের ব্যাটে ভারতের দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে, সেই সময়েই জাদেজা ফিরিয়ে দেন মার্শকে। সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি অজিরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে ক্যাঙারুরা।
মার্শ আউট হওয়ার আগেই স্টিভ স্মিথকে হার্দিক পান্ডিয়া ফেরত পাঠান। মার্শ যখন আউট হন তখন অজিরা ১২৯/৩। এর পরে ১৮৮-তে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে ধসে যায় অজি ইনিংস।
মহম্মদ শামি ৬ ওভারে ২ মেডেন সহ মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। মহম্মদ সিরাজ ৩ উইকেট নেন ২৯ রানে। রবীন্দ্র জাদেজা ২ উইকেট নেন। কুলদীপ যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়া একটি করে উইকেট নেন।