ভারত: ১১৭/১০ (২৬ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া: ১২১/০ (১১ ওভার)
বিশাখাপত্তনমে শোচনীয়ভাবে হারল ভারত। রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া যেন পাড়ার টিম। এমনভাবেই একপেশে ম্যাচ জিতল অজিরা। প্ৰথম ম্যাচে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটা জানাই ছিল। তবে কামব্যাকের ক্যাঙারুরা যে এরকম হিংস্র হয়ে উঠবে, কে ভাবতে পেরেছিল। প্ৰথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে মাত্র ১১৭ রানে অলআউট করে দেওয়া। তারপরে মাত্র ১১ রানে টি২০-র মেজাজে সেই রান তাড়া করে তুলে দেওয়া। তাও হাতে দশ উইকেট নিয়ে। ভারত এই হার মনে রাখবে। এমনই কদর্যভাবে হার, স্মৃতিতে হানা দেবেই এই হার।
টার্গেট মাত্র ১১৮। যে পিচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা হাবুডুবু খেয়েছেন, সেই পিচেই দ্বিতীয় ইনিংসে রনংদেহী মুর্তিতে আবির্ভাব ঘটল দুই অজি ওপেনারের। ট্র্যাভিস হেড এবং মিচেল মার্শ। ওয়াংখেড়েতে মার্শের প্রহার পূর্ণতা পায়নি বাকি অজি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। এবার অবশ্য। মার্শের সঙ্গে জ্বলে উঠলেন হেড-ও। ট্র্যাভিস হেড ৩০ বলে ১০ বাউন্ডারির সাহায্যে নট আউট থাকলেন ৫১ রানে। মিচেল মার্শ হাফডজন করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে গেলেন ৩৬ বলে ৬৬ করে যাওয়ার পথে। হাফসেঞ্চুরি করলেন মাত্র ২৮ বলে। হার্দিক পান্ডিয়ার ওভারে তিনটে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি করে যান তিনি।
১১ ওভারের রান চেজের সময় ক্যাপ্টেন রোহিত পাঁচ জন বোলার ব্যবহার করলেন। গত ম্যাচের নায়ক সিরাজ-শামি তো বটেই অজিদের বিক্রমের কাছে থই পেলেন না কুলদীপ, অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়ারাও।
ভারতের ইনিংসের স্থায়িত্ব হয়েছিল মাত্র ২৬ ওভার। ১১৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং। বৃষ্টিতে খেলা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছিল। তবে মিচেল স্টার্কের পেসে ভারতের ইনিংস বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। একাই আগুনে পেসে ভারতকে দুমড়ে মুচড়ে দিলেন। ৫৬ রানের বিনিময়ে দখল করলেন পাঁচ উইকেট।
ভাইজ্যাগের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় পূর্ণ সদ্ব্যবহার করলেন স্টার্ক। এই নিয়ে ওয়ানডেতে নয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন অজি স্পিডস্টার। স্টার্কের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটিং ধ্বংস করার কাজ চালিয়ে গেলেন নাথান এলিস (৩/২৩) এবং শন আবট (২/১৩)। অজি পেসারদের সিম এবং সুইংয়ের সামনে কোনও ভারতীয় ব্যাটারই নূন্যতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ। প্ৰথম থেকেই বিপদের মুখে পড়েছিল ভারত। প্ৰথম ওভারের তৃতীয় বলেই স্টার্ক ফেরত পাঠান শুভমান গিলকে। এরপরে রোহিত শর্মা (১৩) এবং বিরাট কোহলি (৩১) ২৯ রানের জুটি গড়েন। সেটাই ভারতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। রোহিত পঞ্চম ওভারে স্টার্কের শিকার হয়ে ফেরার পরে আর দাঁড়াতে পারেনি ভারত। কোহলি (৩১) এবং অক্ষর প্যাটেল (২৯) করে যান। ভারতীয় ইনিংসে দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এতেই প্রকট ভারতীয়দের ব্যাটিং ব্যর্থতা।