ভারত: ২৩৫/৪
অস্ট্রেলিয়া: ১৯১/৯
প্ৰথম ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াই উপহার দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারত রিঙ্কু সিংয়ের সৌজন্যে নার্ভ শক্ত রেখে শেষ ওভারে ম্যাচ বের করে নিয়েছিল। দ্বিতীয় টি২০'তে কোনও উত্তেজনার অবকাশ-ই রাখল না ভারত। একপেশেভাবে অজিদের দুমড়ে দিল সূর্যকুমারের টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ২৩৬ রানের টার্গেটের সামনে অজিরা মুখ থুবড়ে পড়ল ১৯১/৯-এ।
জয়ের জন্য অজিদের সামনে রানের পাহাড় তুলে দিয়েছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড-যশস্বী জয়সোয়ালরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া কখনই ম্যাচে ছিল না। পাওয়ার প্লে-তেই ক্যাঙারুরা তিন উইকেট হারিয়ে ফেলায় ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে যায়।
পাওয়ার প্লে-তে রবি বিশ্নোইয়ের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার। হতাশ করেননি তারকা স্পিনার। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পরপর আউট করে দেন ম্যাট শর্ট এবং প্ৰথম ম্যাচের বিধ্বংসী শতরানকারী জস ইংলিশকে। পাওয়ার প্লে-র একদম শেষ ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল লং অনে অক্ষর প্যাটেলের বলে যশস্বীর হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেওয়ার পরেই অজিরা ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
পাওয়ার প্লে-র সেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি অজিরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে ম্যাথু ওয়েডের দল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আউট হওয়ার পরের ওভারেই স্মিথ ফেরেন রান তোলার গতি বাড়াতে গিয়ে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে যশস্বীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন স্মিথ। এরপর শেষ চেষ্টা হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছিল মার্কাস স্টোয়িনিস-টিম ডেভিডের পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপ। দুজনে মিলে ৮১ রানের জুটি গড়ে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ২২ বলে ৩৭ করা ডেভিডকে ফেরান রবি বিশ্নোই। এরপর স্টোয়িনিস-ও হাফসেঞ্চুরির আগে আউট হয়ে যান। শেষদিকে ক্যাপ্টেন ওয়েড ২৩ বলে ৪২ করে নটআউট থাকলেও কাজের কাজ হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯১-এর বেশি তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতের টপ অর্ডারের প্ৰথম তিন ব্যাটার-ই হাফসেঞ্চুরি করায় স্কোরবোর্ডে রানের পাহাড় তুলেছিল ইন্ডিয়া। টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে ডেকেছিল অস্ট্রেলিয়া। রুতুরাজ, যশস্বী জয়সোয়াল দুরন্ত সূচনা উপহার দিয়েছি মাত্র ৫.৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে দুজনে ৭৭ তুলে দেন। পাওয়ার প্লে-তে শন আবটের এক ওভারেই বাউন্ডারির হ্যাটট্রিক, জোড়া ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে যশস্বী তুলে দেন ২৪ রান। জয়সোয়াল ২৫ বলে ৫৩ করে ফেরেন। এরপরে রুতুরাজ গায়কোয়াডের সঙ্গে রানের উৎসবে যোগ দেন ঈশান কিষান। দুজনে দলের বড় রান নিশ্চিত করে যান।
প্ৰথমে ক্রিজে থিতু হতে কিছুটা সময় নেন ঈশান কিষান। তারপরেই রান তোলার গতি বাড়ান। ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ২৯ বলে। ৩২ বলে ৫২ করে শেষে ঈশান কিষান মার্কাস স্টোয়িনিসের শিকার হয়ে ফেরেন।
রুতুরাজ দলের শিট আঙ্করের ভূমিকা পালন করেন। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে রুতুরাজ ৪৩ বলে ৫৮ করে যান। শেষের দিকে স্লগিং করেন রিঙ্কু সিং। নিজের চেনা মেজাজে ৯ বলে ৩১ করে অপরাজিত থাকেন। এর মধ্যে শেষ ওভারে ২৫ তুলে যান রিঙ্কু একাই। চার ছক্কার ঝড় তোলেন এদিন-ও। নিজের নয় বলের ইনিংসের ছয়টি বলেই চার-ছক্কা হাঁকালেন তিনি।
সূর্যকুমার এদিন ১০ বলে ১৮-এর বেশি করতে পারেননি। তিলক ভার্মা-ও ২ বলে ৭ করে দলকে ২৩৫ রানে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন।
ভারত এদিন আগের ম্যাচের একাদশ খেলালেও অজি দল জোড়া বদল ঘটিয়ে নেমেছিল। আরন হার্ডি এবং জেসন বেহরনডর্ফকে বাইরে রেখে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং আডাম জাম্পা প্ৰথম একাদশে ঢোকেন।