অস্ট্রেলিয়া: ৯০/৫
ভারত: ৯২/৪
বৃষ্টিতে খেলা হওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছিল নাগপুরের জামথা স্টেডিয়ামে। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচেই বাজিমাত ভারতের। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে বৃষ্টির পরে মনমাতানো ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন। রোহিতের দুর্ধর্ষ ইনিংসে ভর করেই অস্ট্রেলিয়াকে ৮ ওভারের ম্যাচে ভারত হারাল ৬ উইকেটে। সেই সঙ্গে সিরিজও ১-১ করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া।
৮ ওভারে ৯১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত লক্ষ্যে পৌঁছল ৪ বাকি থাকতে। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে। কেএল রাহুল এবং রোহিত শর্মা জস হ্যাজেলউডের প্ৰথম ওভারেই ২০ রান তুলে ফেলেছিল। তারপরে রোহিত শর্মা বিধ্বংসী মেজাজে ২০ বলে ৪৬ করে যান।
আরও পড়ুন: BCCI ছেড়ে এবার কি ICC সিংহাসনে সৌরভ! প্রবল জল্পনায় সত্যিটা জানালেন মহারাজ
ওভার পিছু ১১-র বেশি রান তাড়া করতে নেমে ভারত ওপেনিং জুটিতেই ৩৯ তুলে দেয়। কেএল রাহুল আউট হয়ে যাওয়ার পরে বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদবকে একই ওভারে পরপর বলে ফিরিয়ে দিয়ে জাম্পা অজিদের প্রায় সিরিজ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। শেষ ৩ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩৩ রান। হার্দিক পান্ডিয়া এই ম্যাচেই ৯ বলে মাত্র ৯ করে ভারতকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। তবে রোহিতকে আটকে রাখা যায়নি। সপ্তম ওভারে প্যাট কামিন্স ১৩ রান খরচ করে বসায় ভারতের ম্যাচ জেতা ছিল সময়ের অপেক্ষা। অষ্টম ওভারের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৭ রান। ড্যানিয়েল স্যামসের ওভারে প্ৰথম দুই বলেই চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করে দেন দীনেশ কার্তিক।
তার আগে ভিজে আউটফিল্ডের কারণে টস হতে দেরি হয়েছিল। ভারতের একাদশে জোড়া বদল ঘটেছিল। জসপ্রীত বুমরা এবং ঋষভ পন্থকে ফেরানো হয়েছিল যথাক্রমে উমেশ যাদব এবং ভুবনেশ্বর কুমারের বদলে। অস্ট্রেলীয় একাদশে শ্যেন এবট এবং ড্যানিয়েল স্যামসকে রাখা হয় নাথান এলিস এবং জস ইংলিশের বদলে। টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্ৰথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারত।
ক্যাপ্টেন ফিঞ্চ অজিদের দুর্দান্ত শুরুয়াত উপহার দিলেও মাঝে জসপ্রীত বুমরা এবং অক্ষর প্যাটেলের দাপটে পরপর উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অস্ট্রেলিয়াকে শেষমেশ ম্যাচে ফেরান প্ৰথম ম্যাচের হিরো ম্যাথু ওয়েড। নাগপুরেও ২০ বলে ৪৩ করে ওয়েড অজিদের বড়সড় টার্গেটে পৌঁছে দেন।